ঢাকা বাংলাদেশ

চতুর্থ বিয়ে করার ঘোষণা আদম তমিজী হকের

04a1a75bb59b2b3e60912f2cfb9fdb53 6509b5ff21226
print news

ফেসবুক লাইভে এসে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কথাবার্তা ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণে দেশে আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন আলোচিত ও সমালোচিত হক গ্রু‌পের ব্যবস্থাপনা প‌রিচালক ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সদস্য ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক। এবার ডিসেম্বরে সৌদিতে ৪র্থ বিয়ে করার ঘোষণা দেন তিনি। যা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আদম তমিজী হক লিখেন, ‘ইনশাআল্লাহ, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে এবং আমি সময়মতো সৌদিতে তার (৪র্থ স্ত্রী) জন্য বাড়ি বানাতে পারি তাহলে আগামী ডিসেম্বরেই আমি ৪র্থ বিয়ে করব। সবাইকে দাওয়াত। সৌদিতে বিয়ে করাই সর্বোত্তম।’

আদম তমিজী হকের বর্তমানে তিন স্ত্রী রয়েছে। তার স্ত্রীরা হলেন, লিজা হক, সাইরা হক ও নুসরাত হক। আদম তমিজী হক তিন স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে বর্তমানে সৌদিতে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
আদম তমিজী হকের এক ফেসবুক পোস্টে জানা যায় তিনি আরেকটি বিয়ে করেছিলেন তার নাম ছিল জোছনা। তবে সে বিয়ে টিকেনি কারন তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, আদম তমিজী হক গত তিন দিন ধরে একের পর ফেসবুক পোস্ট, লাইভ ও ভিডিও নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

তমিজী হকের অভিযোগ-গাজীপুর-২ আসনের সংসদ-সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতির লুটপাটের কারণে ঐতিহ্যবাহী শিল্প প্রতিষ্ঠান হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা অবৈধ হস্তক্ষেপ, লুটপাট ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলেন। ওই লাইভে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।’

শুক্রবার রাতে বিদেশে অবস্থানকালে আদম তমিজী হক ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘শুভ বিকাল, আমার কারখানা থেকে বেআইনিভাবে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তিনি আমার বাবার বন্ধু। প্রতিমন্ত্রী রাসেল, তার চাচা মতিউর রহমান মতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরু আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনিভাবে টাকা-পয়সা নিতেন।’
শনিবার মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আর বাকি কিছু নেই, শ্রমিক, ব্যাংকস এবং সরবরাহকারীদের টাকা জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে আছে। উনার থেকে বুঝে নিবেন। আমি সৌদি যাচ্ছি। তারপর আমার জন্মভূমি ইউকে চলে যাচ্ছি। বাদশাহী দীর্ঘজীবী হোক।’

আরেক ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘আমার ফ্যামিলির যদি কিছু হয়, আপনারা দয়া করে খুঁজবেন কারা করছে। আর আমি এই কথাটা বলে রাখব, আওয়ামী লীগের মতো নিকৃষ্ট দলকে আপনারা ভোট দিবেন না। বাই; বাই; বাংলাদেশ, আপনারা অনেক সুখে থাকবেন আওয়ামী লীগকে নিয়ে। এ দেশের জন্য আমি প্রযোজ্য নাগরিক না, আমি ব্রিটিশ, আই বর্ন ইন ইংল্যান্ড, আই রিটার্ন টু মাই কান্ট্রি।’

আদম তমিজী হক ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা এবং মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এ সংগঠন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *