বরিশাল বাংলাদেশ

কুয়াকাটায় যাতায়াতে সড়কের বেহাল দশা

Untitled 7 copy 12
print news

কুয়াকাটায় যাতায়াতের একমাত্র সড়কের বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। মামলা জটিলতায় দীর্ঘ এক যুগেও হয়নি সংস্কার কাজ। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। আবার কোন কোন স্থানে কাপের্টিং উঠে গেছে। অসংখ্য খানাখন্দে ভরা সড়কটির উপর দিয়ে প্রতিদিন পর্যটক ও যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ দূরপাল্লার যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এর ফলে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। পাখিমারা বাজার থেকে মৎস্যবন্দর আলীপুর পর্যন্ত এ সড়কের এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মহাসড়ক পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের কাজ পায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে সড়কের উন্নয়নের কাজ শেষ হওয়ার পর কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ নিয়ে ঠিকাদারের সাথে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত মামলাও গড়ায় আদালতে। দীর্ঘদিন মামলাটি চলমান থাকায় বন্ধ থাকে সংস্কার কাজ।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এই সড়কটি ব্যস্ত সড়কে পরিণত হয়েছে। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ছয় কিলোমিটার রাস্তা কিছুটা ভালো। কিন্তু বাকি ১৬ কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে খানাখন্দে ভরা। রাস্তা খারাপ হওয়ায় নানা ভোগান্তি পেরিয়েই সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় যেতে হচ্ছে পর্যটকদের। বর্তমানে এ সড়কের গর্তগুলোতে ইটের খোয়া ও বালু ফেলে যান চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি।একাধিক যানবাহন চালক জানান, পাখিমারা বাজার থেকে মৎস্য বন্দর আলীপুর থ্রি পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা একেবারেই নাজেহাল। ঝুঁকি নিয়ে তাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে।পর্যটক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুয়াকাটা এখন বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এছাড়া পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খুব সহজেই পর্যটকরা আসছেন। কিন্তু কুয়াকাটায় যাতায়াতের একমাত্র সড়কের বেহাল দশার কারণে অনেকেই এখানে আসার আগ্রহ হারাচ্ছেন।পর্যটক ফারুক হোসাইন বলেন, স্বাচ্ছন্দ্যেই ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় এসেছি। তবে, কলাপাড়ার পরে সড়কটি অনেক খারাপ। ৩০ মিনিটের পথ আসতে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে গেছে।সওজ পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় সড়ক সংস্কার করা যায়নি। শুধু রুটিন মেরামত করে ওই অংশটুকু সচল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে। সড়ক সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *