বিনোদন

সালমানের সঙ্গে প্রেম ছিল না : মৌসুমী

image 720194 1695201136
print news

১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্ম নেওয়া সালমান শাহ বেঁচে থাকলে এ বছর ৫৩ বছরে পা রাখতেন। কিন্তু মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ঢালিউডের ক্ষণজন্মা নায়ক পরপারে পাড়ি জমান।তবে বাংলা ছবিপ্রেমীরা কেউ তাকে মন থেকে মুছে যেতে দেননি। যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন সালমান আরও বেশি মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছেন।সালমান-মৌসুমী জুটির কেয়ামত থেকে কেয়ামত ও অন্তরে অন্তরে সিনেমা এখনো দর্শকদের মনে দোলা দেয়।প্রথম সিনেমায় বাজিমাত করেন মৌসুমী ও সালমান শাহ। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিটি আজও একটি বাঁকবদলের নাম। এই ছবিতে অভিনয় করেই সবার মনের কোণে জায়গা করে নেন মৌসুমী ও সালমান শাহ।

অনেকের ধারণা— তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও ছিল। বিষয়টিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেন মৌসুমী।তিনি জানান, প্রেমের সম্পর্ক নয়, সালমান ও তার মধ্যে গভীর সম্পর্ক ছিল।দুজন ভালো বন্ধু ছিলেন।ঢালিউডের ক্ষণজন্মা এই নায়ককে আজও মনে পড়ে তার ছোটবেলার বন্ধু এবং ঢালিউডের প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর। প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’–এ মৌসুমীর সঙ্গে সালমানের জুটি দারুণ জনপ্রিয় হয়।এর পর অনেক নির্মাতাই তাদের নিয়ে ছবি করতে আগ্রহী হতে থাকেন। তারা শুরু করেন ‘অন্তরে অন্তরে’ নামে নতুন একটি ছবির শুটিংও। কিন্তু ব্যক্তিদ্বন্দ্বে জড়িয়ে এই জুটি আর তেমন করে কাজ করেননি অনেকটা সময়।পরবর্তী সময়ে মৌসুমীর সঙ্গে সালমান শাহ অভিনয় করেন ‘দেনমোহর’ চলচ্চিত্রে। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে। এ ছাড়া সালমান-মৌসুমী জুটি অভিনয় করেন ‘স্নেহ’ নামের আরও একটি সিনেমায়। তবে সালমান ও মৌসুমীর মধ্যকার সম্পর্ক ছিল বেশ চমৎকার।মৌসুমী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অনেকে ভাবতে পারেন, আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আসলে সালমান ও আমার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তবে সালমান আর আমার সম্পর্ক গভীর ছিল।

অনেক খুঁটিনাটি বিষয় আমরা শেয়ার করতাম, যা কাউকে বলতে পারতাম না। আমার জ্বর হলে ওর ভালো লাগত না, ওর কোনো অসুখ হলে আমার না। আমাদের আত্মার একটা টান ছিল।

দেখা গেল, জ্বরের কারণে আমি শুটিংয়ে যেতে পারিনি, পরিচালকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেখা করতে চলে আসত। ওর কোনো ভালো হলে আমার ভালো লাগত, ওর খারাপ হলে আমার খারাপ লাগত। এমনই ছিল আমাদের অনুভূতি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *