বরগুনায় প্রথমবারের মত ভিন্ন আয়োজনে মাসব্যাপী শরৎ উৎসব


ইবরাহীম সোহেল, বরগুনা : বরগুনায় এই প্রথমবারের মত এক ভিন্ন আয়োজনে উদ্বোধন হলো শরৎ উৎসব। ঋতুচক্রের বর্ষ পরিক্রমায় শরতের আগমন ঘটে বর্ষার পরেই। বর্ষার বিষন্নতা পরিহার করে শরৎ আসে। প্রকৃতি এ সময় নববধূর সাজে সজ্জিত হয়ে উঠে। শরতের মেঘহীন নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা কেড়ে নেয় প্রকৃতি প্রেমিকদের মন। শ্রাবণ শেষে মুষলধারায় বৃষ্টির সমাপ্তি ঘটলে বাংলার নিসর্গ নতুনভাবে সজ্জিত হয়।ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে আসে শরৎ। শরৎ আগমনের অন্যতম প্রতীক কাশফুল আর নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো শুভ্র মেঘের ভেলা।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বহমান বিষখালী আর খাকদোন নদীর মিলনস্থলে গড়ে তোলা সুরঞ্জনা ইকো টুরিজম এন্ড রিসোর্ট এর আয়োজনে জেলা পর্যটন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কমিটি ও বরগুনা থিয়েটারের সহযোগীতায় এই ঝমকালো মাসব্যাপী শরৎ উৎসবের উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম। এসময় জেলার পর্যটন শিল্প বিকাশে নানা পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
মাসব্যাপী শরৎ উৎসবে পুলিশ সুপার আবদুস সালাম বলেন, বরগুনা জেলা একটি পর্যটন সম্ভাবনাময় জেলা। তাই সকল পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিয়তার কথা তুলেধরেন তিনি।
জেলা পর্যটন উন্নয়ন উদ্যোক্তা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ খান বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর থেকেই দেশের দক্ষিণাঞ্চল তথা বরগুনা জেলায় বেড়েছে পর্যটকদের পদচারণ। জেলার পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। এসময় পর্যটন এলাকার উন্নয়নের বিভিন্ন সসমস্যার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সুরঞ্জনা ইকো ট্যুরিজম এন্ড রিসোর্টের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ বলেন, একসময় বরগুনায় দেশের বৃহত্তম ইলিশ উৎসবের পাশাপাশি জোছনা উৎসব অনুষ্ঠিত হলেও করোনার ধাক্কায় তা বন্ধ হয়ে যায়। শরৎ উৎসবের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাওয়া সকল উৎসব আবার পুনরায় চালুর পাশাপাশি উৎসবের জেলা হিসেবে খ্যাতি পাবে বরগুনা। এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় পর্যটক উদ্যোক্তাসহ সকলের।
মাসব্যাপী এই ব্যতিক্রমী নানা আয়োজন সরৎ উৎসবে রয়েছে, পর্যটনকেন্দ্রটিতে গ্রামীণ সংস্কৃতির হারিয়ে যাওয়া বধূ উৎসব, ইলিশ উৎসব, পিঠা উৎসব, পুঁথি পাঠ উৎসব, ঘুড়ি উৎসব, জোছনা উৎসব এবং ফানুস উৎসবসহ হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন খেলাধুলা।