জনতার হাতে গাঁজাসহ আটক মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের দুই সদস্য


নগরীর পলাশপুরে গাঁজা বিক্রি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের দুই সদস্য। সোমবার ভোরে তাদের আটক করে র্যাব-৮ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় দুই সদস্যের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। আটককৃতরা হলো-মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের এসআই মো. ওবায়েদুল্লাহ খান ও সিপাহী মো. সবুর। ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়েছি স্থানীয় জনতা নগরীর পলাশপুর ৫ নম্বর গলিতে গাঁজাসহ মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের দুই সদস্যকে আটক করেছে। এ খবরে সেখানে গিয়ে জনতার কাছ থেকে দুই জনকে উদ্ধার করেন। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে এক কেজি ৪৭০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় কাউনিয়া থানার এসআই মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে দুই জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। ওসি আসাদ আরো জানান, আটক দুই সদস্য এরআগেও পলাশপুরে মাদক বিক্রি করেছে। পলাশপুর এলাকার মাদক বিক্রেতা সোহাগ ওরফে কানা সোহাগের কাছে সকালে ওই দুইজন মাদক বিক্রি করতে এসেছিলো। এ জন্য রোববার রাতে কানা সোহাগ দুই দফায় বিকাশের মাধ্যমে ২৭ হাজার টাকা মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের এএসআই আজিজের কাছে পাঠিয়েছে। এ খবর জানতে পেরে স্থানীয়রা তাদের আটকের পরিকল্পনা করে। ভোর রাতে গাঁজা নিয়ে যাওয়ার পর জনতা আটক করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন সদস্যদের সাথে পলাশপুর ও মোহাম্মদপুরের মাদক বিক্রেতাদের সু-সম্পর্ক রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কয়েকজন তাদের কাছ থেকে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করে। সাধারণ মানুষকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যরা হয়রানি করতো। এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত ছিলো। সকালে গাঁজা বিক্রির সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যদের স্থানীয়রা হাতে নাতে আটক করেন। পরে তাদের মারধর করে র্যাব-পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফয়সাল মাহমুদ বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। তারা যে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।