বিনোদন

বিপাকে ‘মিস পাকিস্তান’

339d3670ba30b74063c8beee60a1ce32 65111ce24c8b3
print news

গত সপ্তাহে মিস পাকিস্তান ইউনিভার্সের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন এরিকা রবিন। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটেছে ছন্দপতন। দেশের ইসলামিক ঐতিহ্য নষ্ট হয়েছে এমন অভিযোগ তুলেছে দেশটির কিছু ধর্মীয় নেতা। ফলে প্রথমে প্রশংসা পেলেও পরে ঘটনার মোড় ঘুরে এখন উলটো বিপাকে পড়েছেন ঐ সুন্দরী।

জানা গেছে, মালদ্বীপে আয়োজিত হয়েছিল ‘মিস পাকিস্তান ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার আসর। পাকিস্তানের প্রথম সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে প্রশংসাও করা হয় সেখানে। সেখানেই সব প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সেরার মুকুট পরেন এরিকা। এই প্রথম পাকিস্তানে কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতা আয়োজিত হলো। আগামী নভেম্বরে এল সালভাদোরে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় যোগদানও পাকা হয়ে গিয়েছিল এরিকার। কিন্তু এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়েই শঙ্কিত হতে হচ্ছে তাকে। ধর্মীয় নেতারা তাদের বিবৃতিতে বলেছেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এবং মিস পাকিস্তানের শিরোপা জয় করে এরিকা দেশকে অপমান করেছেন।

ঐ প্রতিযোগিতার পর দেশটির গণমাধ্যমগুলো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছিলেন এরিকা। কিন্তু দুই-এক জন ধর্মীয় নেতা এই প্রতিযোগিতাকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিতেই অনেকেই বিবৃতি দিতে থাকেন। তাদের বক্তব্য, কীভাবে সরকারের অনুমতি ছাড়া একটি বেসরকারি সংস্থা পাকিস্তানের নাম ব্যবহার করে ঐ প্রতিযোগিতার আয়োজন করল তা সরকারকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। দেশটিতে নির্বাচন আসন্ন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও তাই বিষয়টি নিয়ে ঝামেলায় জড়াতে চায়নি। ফলে গোয়েন্দাসংস্থা আইএসআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ারুল হক কক্কর।

জানা গেছে, সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার প্রতিযোগীর নাম জমা পড়েছিল এই প্রতিযোগিতার জন্য। গত বৃহস্পতিবার মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। এতে শেষ হাসি হাসেন করাচির বাসিন্দা এরিকা। বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাত্রী এরিকা মডেল হিসেবে কয়েক বছর ধরেই পরিচিত মুখ। মিস পাকিস্তান হওয়ার পর জাতীয় পর্যায়ে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বিষয়টিতে ধর্ম জড়িয়ে পড়ায় এখন গাঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় তার যোগদান করা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *