ইলিশের প্রজনণ মৌসুমে ২২ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা পেছানোর দাবীতে মহিপুরে সংবাদ সম্মেলন


আব্দুল কাইয়ুম (আরজু), উপকূল প্রতিনিধি (পটুয়াখালী) :
২২ অক্টোবরের পরিবর্তে ৩০ অক্টোবর থেকে ইলিশের প্রজনণ মৌসুম নির্ধারন করার দাবিতে পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আড়তদার মালিক সমিতি এক সংবাদ সম্মেলন করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু অহম্মেদ রাজা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস রেজা, মজনু গাজীসহ মৎস্য আড়তদাররা।
সংবাদ সম্মেলনে আড়তদার সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভবে গভীর সমুদ্রের মাছ ইলিশের জীবন ধারায় পরিবর্তন এসেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের দেয়া সময়সীমার সাথে মিলছে না। দেরীতে মা ইলিশ প্রজনণ হচ্ছে। এই বাস্তবতার আলোকে ২২ অক্টোবরের পরিবর্তে ৩০ অক্টোবর থেকে ইলিশের প্রজনণ মৌসুম নির্ধারন করার দাবি করছেন তারা। অন্যথায় সরকারের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা ভেস্তে যাবে। তারা আরো বলেন, মা ইলিশের পেটে এখনো ডিম আসেনি। উপকূল কিংবা নদী মোহনায় এখনো দেখা মিলছেনা প্রজননক্ষম ইলিশের। ফলে ইলিশ প্রজননের যে মৌসুম মৎস্য অধিদপ্তর নির্ধারণ করেছে তা সঠিক নয়। এমন বাস্তবতায় ইলিশের প্রজনণ মৌসুমের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পেছানোর দাবীতে আমাদের এ যৌক্তিক সংবাদ সম্মেলন।
মৎস্য আড়তদার এবং জেলেদের দাবি ভারতীয় সমুদ্রে ইলিশ ধরা পড়ছে না। যার কারনে নিষেধাজ্ঞাকালীন ভারতীয় জেলেরা অবাধে বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় জেলেদের রুখতে না পারলে আগামী ৫ বছর পর ইলিশ শুন্য হয়ে পড়বে বঙ্গোপসাগর। কর্মহীন হয়ে পরবে লাখো জেলে পরিবার।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সরকার ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশের প্রজনন মৌসুমের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।