কুয়েতে কমেছে পার্টটাইম কাজের সুযোগ, বেকার অনেক প্রবাসী


জাহিদ হোসেন জনি,
কুয়েত প্রতিনিধি :
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। দেশটির রাস্তাঘাট,দালাল ও অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশের শ্রমিকদের রয়েছে উ্ল্লেখযোগ্য ভূমিকা। বাড়তি আয়ের আশায় কোম্পানির নিদিষ্ট সময় কাজের শেষে নিজের দক্ষতা অনুযায়ি অবসর সময়ে অন্যত্র কাজ করনে অনেক প্রবাসী।যাহা প্রবাসীদের ইনকামে ভালো একটি অংশ যুক্ত হতো। যেটা স্থানীয় আকামা আইন লঙ্গন হিসেবে ধরা হয়।
এছাড়াও দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালানা করে। গ্রেফতারকৃতদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সহ আইন অনুযায়ি জেল জরিমানা কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির সরকার।চলতি বছরে শুরু থেকে সাঁড়াশি অভিযানের ভয়ে আতংকিত হয়ে নিজ কোম্পানি কাজ শেষে আগের মত অন্যত্র পার্ট টাইম কাজের খোঁজে বের হন না প্রবাসীরা। যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বাড়তি আয়ের উৎস কমে গেছে প্রবাসীদের আয়।
এছাড়া কিছু কোম্পারি বিভিন্ন সাইটের কন্ট্রাক বাতিল হয়ে যাওয়া কষ্টে দিন কাটাচ্ছে অনেক কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশি।কাজের উৎস গুলোতে আঘাতের ফলে কমে গেছে প্রবাসীদের আয় এবং কমে গেছে কুয়েত থেকে রেমিট্যান্সের পরিমাণ।
দেশটি শ্রম আইন অনুযায়ি কোন কারণে অথবা নিদিষ্ট সময়ের পরে কোন কোম্পানির কন্ট্রাক বাতিল হয়ে গেলে শ্রমিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে হয় ।নিজ কোম্পানিতে অথবা রিলিজ নিয়ে অন্য কোম্পানিতে আকামা নবায়ন করতে চাই সরকারি নিদিষ্ট ফি প্রদান করতে হয় শ্রমিককে।
ভারত,নেপাল ও মিশররের শ্রমিকরা কম খরচে আসে বিধায় তারা ফিরে গিয়ে পুরনায় নতুন ভিসা নিয়ে আসে কিন্তু বাংলাদেশিরা ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে ক্লিনিং ভিসা এসে ৭৫ কুয়েতি দিনার বেতন যাহা বাংলা টাকা প্রায় ২৬ হাজার টাকা। সব দিক বিবেচনায় একজন বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য বড় ধরণের ছাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বর্তমানে দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় প্রায় দুই লক্ষ বছর ৫০ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে। যার বড় একটি অংশ স্থানীয় কুয়েতিদের বাসাবাড়ীর কাজে, বিভিন্ন কোম্পানিতে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত।