যশোরে ছাত্রলীগ কর্মী ইমন খুন ভিন্নখাতে নিতে আদালতে চাঁদাবাজি মামলা !


যশোর জেলা প্রতিনিধি : চার লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকসহ পাঁচজনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল সদর উপজেলার নিমতলা গ্রামের মফিজুর রহমান ধাবক এই মামলাটি করেছেন। সিআইডি পুলিশকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে নিমতলা গ্রামে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ইমন খুন হন। এ হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে এই মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আলী।
আসামিরা হলেন, নিমতলা গ্রামের হাদিউজ্জামানের ছেলে ও জেলা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আলী, আবু বক্কার সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম, মৃত রুপোই মোল্যার ছেলে আনিচুর রহমান মুক্তি, গোলাম হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেন ও দেয়াপাড়া গ্রামের কাজী সেলিম রেজার ছেলে মোহাম্মদ আলী ক্লে।
মামলা মতে, দীর্ঘদিন ধরে মফিজুর রহমান ধাবক লিজ নেয়া জমিতে শাকসবজি চাষ করে আসছিলেন। আসামিরা এলাকার সন্ত্রাসী হওয়ায় কিছুদিন আগে তার কাছে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসামিরা নিমতলা বাজার সংলগ্ন ওই জমিতে আসে। এসময় দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে মফিজুর রহমান ধাবককে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। কাছে থাকা এক লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা স্বরূপ নিয়ে নেয়। একই সাথে আরো এক লাখ টাকার সবজি নষ্ট করে ফেলে। এরপর মফিজুর রহমান ধাবকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা জীবননাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে এই মামলার প্রধান আসামি যশোর জেলা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান আলী জানিয়েছেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ইমনকে নিমতলা বাজারে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী তিনি (ইমরান আলী) ও মোহাম্মদ আলী ক্লে। তাই হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে নিয়ে মিথ্যা ও সাজানো এই চাঁদাবাজি মামলাটি করা হয়েছে।