বাংলাদেশ রংপুর

কিশোরগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে চাকুরী দেয়ার পায়তারা মাদ্রাসা সুপার ও ডিজি প্রতিনিধির

1696517435619
print news
লাতিফুল আজম,কিশোরগঞ্জ ,নীলফামারী :
 কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাহাগিলী দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার ২ পদে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আপনজনকে গোপনে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছে মাদ্রাসা সুপার শামসুল আলম ও ডিজি প্রতিনিধি মেহেরুন নেছা। সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ বাহাগিলী দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সৃষ্ট পদে নিরাপত্তা কর্মী একজন ও আয়া পদের জন্য জাতীয় পত্রিকা ও স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আর সেই পদ দুটিতে মাদ্রাসা সুপার শামসুল আলম তার আপন দুই ভাইয়ের ছেলে ও ছেলের বউকে গোপনে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করে আসছে। ওই মাদ্রাসার জমিদাতা আব্দুল করিম জানান,মাদ্রাসা সুপার মাদ্রাসায় চাকুরী দেয়ার কথা বলে ৬ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে লিখে নেয়। কিন্তু জমি লিখে নেয়ার পর থেকে আব্দুল করিমকে ও তার পরিবারের কোন সদস্যকে চাকুরী দেয়নি। অথচ ওই মাদ্রাসায় কৌশলে সহ-সুপার পদে তার আপন জামাতা আব্দুল কাদের,আপন ছোট ভাই লুৎফর রহমান ও নৈশ প্রহরী হিসাবে বড় ভাই আকতার হোসেনকে চাকুরী দেয় মাদ্রাসা সুপার শামসুল আলম। আর এসবের বিনিময়ে শামসুল আলম মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবার তান্ত্রিক ভাবে মাদ্রাসাকে গড়ে তুলতে তার আপন ভাই মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আল আমিনকে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে নিয়োগ দেয়ার জন্য ৮ লক্ষ টাকা ও আর এক আপন ভাই কেতাব উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোস্তফার স্ত্রী রিফাত জাহান কাছনাকে আয়া পদে চাকুরী দেয়ার জন্য ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছে মাদ্রাসা সুপার। অথচ চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী বহুল প্রচারিত পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা থাকলেও স্বল্প প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পকেট নিয়োগের পায়তারা করছে মাদ্রাসা সুপার। আর তার সাথে নিয়োগ কমিটির প্রধান মেহেরুন নেছাও জড়িত আছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। চলতি বছরের গত ৭ সেপ্টেম্বর গোপনে ওই দুই পদে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নিয়োগ কমিটি। বিষয়টি এলাকাবাসী ও সংবাদকর্মীরা জানতে পেয়ে মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে ভূয়া কারণ দেখিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেন। সেই থেকে টালবাহানা করে আগামীকাল ৬ অক্টোবর লোক দেখানো পরীক্ষা গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়োগ কমিটি।
এ ব্যাপারে শামসুল আলম বলেন,নিয়োগ পরীক্ষা হলে সকল সাংবাদিকদের প্যাকেট দেয়া হবে। আপনাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হবে না। আপনজনকে চাকুরী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তারা ছাড়া কোন প্রার্থীই নাই। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নুরুল আমিন শাহ্কে কয়েকবার মুঠো ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের লাইব্রেরিয়ান কাম ডকুমেন্টশন অফিসার (ডিজি প্রতিনিধি) মেহেরুন নেছার মুঠো ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

*গুরুত্বপূর্ণ  সব সংবাদ লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *