১৯৭১ এ গনহত্যা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মৈত্রী জুলিয়ান ফ্রান্সিস


এম জি রাব্বুল ইসলাম পাপ্পু,কুড়িগ্রাম : মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় আমেরিকার সমাজ সেবী জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে। তিনি স্মৃতিচারন করে বলেন,আমি যখনই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কিছু লিখি তখন খুব আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি । এটি আমাকে ১৯৭১-এর কলকাতার স্মৃতিতে নিয়ে যায়। আমি তখন যুবক। অনেক বছর আমি ১৯৭১ এ আমার স্মৃতিগুলো নিয়ে কিছু বলিনি। এগুলো খুব কষ্টদায়ক ছিল। এই মাত্র ২০০৭ সালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনের সময় আমি আমার একাত্তরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ পাই। বছরদুয়েক পূর্বে আমি প্ল্যানিং কমিশনের একটা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে জানতে পারলাম যে, দেশের বর্তমান জনসংখ্যার ৭৬% হচ্ছে ৪০ বছরের নিচে এবং তারা তাদের দেশের ইতিহাস পুরোপুরি জানে না। আমাকে একাত্তরের অভিজ্ঞা লিখতে বলা হলো এবং বছরের পর বছর একই জিনিস লেখা আমার জন্যে খুব কষ্টদায়ক । আমি যখন দেখি কেউ বাংলাদেশের গণহত্যাকে অস্বীকার করছে, তখন আমরা যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি তারা খুব কষ্ট পাই, খুব রাগ হয়। হত্যার শিকার বিধ্বস্ত বাঙালিদের নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি আছে। বর্তমানের প্রেক্ষাপটে আমি এগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো । পাশাপাশি আগামীতে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে কিছু কথা বলার চেষ্টা করবো।
লেখক জুলিয়ান ফ্রান্সিস মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অক্সফামের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে আসাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের শরণার্থী শিবিরে দক্ষতার সঙ্গে ত্রাণকার্য পরিচালনা করেন । অক্সফামের দলিল টেস্টিমনি অফ সিক্সটি প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, যার মাধ্যমে বিশ্ববাসী বাংলাদেশের গণহত্যা সম্বন্ধে অবহিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশেও তিনি যমুনার চরাঞ্চলের মানুষের জীবন উন্নয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত । বাংলাদেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করেন।