বাংলাদেশ রংপুর

কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের মনোনীত ব্যক্তিকে নিয়োগ দিলেন ডিজি প্রতিনিধি

News Photo
print news

লাতিফুল আজম,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাহাগিলী দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপারের ভাতিজা ও ভাতিজার স্ত্রীকে লোক দেখানো পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার সকালে মাদ্রাসায় সুপারের আপন বড় ভাই মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আল আমিনকে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে ও আর এক ভাই কেতাব উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোস্তফার স্ত্রী কাছনাকে আয়া পদে নিয়োগের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় মাদ্রাসার সুপার শামসুল আলম। দুই পদের জন্য শামসুল আলমের দেয়া নামধারী কতিপয় পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলে সংবাদকর্মীরা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের লাইব্রেরিয়ান কাম ডকুমেন্টশন অফিসার (ডিজি প্রতিনিধি) মেহেরুন নেছাকে অবহিত করলে তিনি কারো কোন কথা না শুনিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে গোপনে পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করেন। ওই মাদ্রাসা সুপার শামসুল আলমসহ তার পরিবারের মোট ৪ জন ওই মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে পরিবারতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। সুপার কৌশলে সহ-সুপার পদে তার আপন জামাতা আব্দুল কাদের,আপন ছোট ভাই লুৎফর রহমান অফিস সহকারী ও নৈশ প্রহরী হিসাবে বড় ভাই আকতার হোসেনকে চাকুরী দেয় মাদ্রাসা সুপার শামসুল আলম। আবার নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে আপন ভাতিজা ও ভাতিজা বউকে চাকুরী দেয়ার পায়তারা করছে সুপার শামসুল আলম। আর এ বিষয়ে মাদ্রাসা সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন কিছু না জেনেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে কৌশলে নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর গ্রহন করেন। পরীক্ষা কমিটিতে সুপার শামসুল আলম না থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের লাইব্রেরিয়ান কাম ডকুমেন্টশন অফিসার (ডিজি প্রতিনিধি) মেহেরুন নেছা তার উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহন করেন।

মোটা অঙ্কের বিনিময়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহকে ম্যানেজ করে এ পরীক্ষা নেয়া হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। নিয়োগের পূর্বে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে দর কষাকষি নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় গতমাসের ৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয় এবং আজ শুক্রবারের পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

যাদেরকে নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে কাছনা ও আল আমিন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির তারিখ ও পত্রিকার নাম বলতেও পারেনি। কাছনাকে জিজ্ঞেস করা হলে স্থানীয় পত্রিকার যুগের আলোর নাম বলতে পারলেও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার স্থানে মানববন্ধন পত্রিকা বলে দেয়। একই ভাবে আল আমিনও পত্রিকার নাম মানববন্ধন বলে দেয়। এর ফলে যোগ্য প্রার্থীরা ওই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওই এলাকার আব্দুল করিম বলেন,এ নিয়োগ বাতিল না করলে আমরা প্রশাসনের ঊর্ব্ধতন কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিব।

বাহাগিলী দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার শামসুল আলম বলেন,টাকা ছাড়া কি নিয়োগ এমনি হয়। আপনাদের কাজ আপনারা করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদূত্তোর দিতে পারেনি।

ওই মাদ্রাসার সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন,আমি নিয়োগের বিষয় কিছু জানি না। আপনারা সুপারের সাথে কথা বলেন।

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের লাইব্রেরিয়ান কাম ডকুমেন্টশন অফিসার (ডিজি প্রতিনিধি) মেহেরুন নেছাকে প্রশ্ন করা হয় কত টাকার বিনিময় পকেট নিয়োগ দিয়েছেন? এ বিষয়ে কোন উত্তর না দিয়ে মুখ ঢেকে গাড়িতে উঠার চেষ্টা করনে তিনি। সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি পরে জোর জবর করে গাড়ীতে উঠে বসেন এবং ফলাফল প্রকাশ না করে দ্রুত ওই মাদ্রাসা থেকে চলে যান।# সাথে ছবি আছে।

 

*গুরুত্বপূর্ণ  সব সংবাদ ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *