বরিশাল ডাকঘরের ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ


মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল :
বরিশালের প্রধান ডাকঘরের ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১২ হাজার ৬শ’ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নারী তহমিনা রেনু। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর গ্রামের বাসিন্দা তহমিনা রেনু। রেনুর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান জিলন বলেন, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বরিশাল প্রধান ডাকঘর অফিসে একটি সেভিংস এ্যাকাউন্ট খুলে ১ লাখ টাকা জমা করেন তহমিনা রেনু। চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি তার লভ্যাংশসহ জমাকৃত ওই টাকা উত্তোলন করতে অফিসে আসেন। এসময় ক্যাশিয়ার নুরুল কবির রেনুর তিনটি স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। প্রথম স্বাক্ষর তহমিনা রেনু, পরবর্তী দুইটি স্বাক্ষরে শুধু রেনু লিখে নেয়। পরে ক্যাশিয়ার রেনুকে বসতে বলেন। তখন রেনুর ছোট বোনের স্বামী মো. মজিবুর ওই ক্যাশিয়ারকে প্রশ্ন করেন, সবাইকে টোকেন দিলেন, কিন্তু রেনুর টোকেন দিলেন না।
ক্যাশিয়ার তখন বই দেখে ৪৩ নম্বর টোকেন দেন। রেনু তার সিরিয়াল নম্বর আসার অপেক্ষায় থাকে। ৪২ টোকেন নম্বরের পরই ৪৪ নম্বর টোকেন ডাকলে রেনু ক্যাশিয়ারকে বলেন, আমার টোকেন নম্বর ৪৩ কিন্তু ডাকলেন না। তখন ক্যাশিয়ার রেনুকে জানান, আপনার বই স্বাক্ষর হয়ে এখনও আসেনি। কেন বই আসেনি জানতে চাইলে খাতা চেক করে বলেন, আপনার টাকা দেওয়া হয়েছে। রেনু বলেন, আমার টোকেন আমার হাতে এবং আমি যেখানে নিজে সশরীরে উপস্থিত, সেখানে আমার টাকা কে নিয়েছে? ক্যাশিয়ারের আপত্তিকর ভাষায় রেনু ও তার ছোট বোনসহ বোনের স্বামী ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।এ ঘটনায় ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় পুরো ঘটনা উল্লেখ করে রেনু বেগম একটি অভিযোগ দেন। পরে কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুবায়ের বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান।পুলিশ কর্মকর্তা জুবায়ের বলেন, ডাকঘরের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। তাতে তার টাকা অন্যকে দেওয়ার সত্যতা মিলেছে। যত দ্রুত সম্ভব সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।এ ব্যাপারে ডাকঘরের অভিযুক্ত ক্যাশিয়ার নুরুল কবিরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে বরিশাল প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. আ. রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, সহ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। ঘটনার সঙ্গে অপরাধের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।