গাজায় ১৩শ’র ও বেশি ভবন ধ্বংস : জাতিসংঘ


অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে অন্তত ৩২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে আরো অন্তত ১ হাজার জন। ভিকটিমদের অন্তত ৬৬ শতাংশই নারী ও পুরুষ। শনিবার গাজার হাসপাতালগুলো সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজা শহরের তাল আল-হাওয়া এলাকা এবং রেড ক্রিসেন্টের আল-কুদস হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যেখানে শত শত পরিবার ইসরাইলি বোমা হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিল।ওয়াফা আরো জানিয়েছে, বোমা হামলায় উপত্যকার আরো বহু আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে।বার্তা সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত নাসের ও আবু ইউসেফ আল-নাজর হাসপাতাল আর আহতদের চিকিৎসা দিতে পারছে না।এদিকে, গাজা থেকে আলজাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইসরাইলের হুঁশিয়ারির পর হাজারো ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিক উত্তর গাজায় পালিয়ে গেছেন।
হতাহতের সর্বশেষ পরিসংখ্যান
ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় অন্তত ২ হাজার ২১৫ নিহত এবং ৭ হাজার ৭১৪ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭২৪টি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে, ইসরাইলি নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০-তে পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ জন। উত্তর গাজা থেকে হাজারো মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে। মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা এটাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সরে যেতে হুঁশিয়ারি প্রত্যাখ্যান হাসপাতালের স্টাফদের
ইসরাইলের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করতে অস্বীকার করেছে অবরুদ্ধ গাজার হাসপাতালের স্টাফরা। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, রোগীরা মারাত্মক অবস্থায় রয়েছে। তাদের এ অবস্থায় ফেলে রেখে হাসপাতালের স্টাফরা সরে যাওয়ার ইসরাইলি হুঁশিয়ারি প্রত্যাখ্যান করেছে।
জাবালিয়া এলাকার আল-আওদা হাসপাতালের কর্মকর্তা আহমেদ মুহন্না তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘আমি শুক্রবার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছি। আমাদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটা অসম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘কিছু রোগী সরিয়ে নেয়া হলেও অন্য রোগীদের তাদের খারাপ অবস্থার কারণে সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। কিছু রোগী ইনটেনসিভ মেডিক্যাল কেয়ারেও রয়েছে।‘হাসপাতালের ৩৫ জন চিকিৎসক ও চিকিৎসা সহযোগী দৃঢ়প্রতীজ্ঞ যে তারা এখানেই অবস্থান করবেন এবং রোগীদের সেবা দিয়ে যাবেন,’ বলেন তিনি। এর আগে এক খবরে প্রকাশ, ইসরাইলি সেনাবাহিনী হাসপাতালটিকে দুই ঘণ্টা সময় দিয়েছে, সবাইকে সরে যাওয়ার।
* দেশ বিদেশের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।