বাঞ্ছারামপুর ট্রিপল হত্যা, আটক ৩


মো খোকন মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে রাতের আধারে জবাই করে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে আড়াই টায় হত্যাকান্ডের জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চরছয়ানী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. সুমন, মো. সবুজ ও তানজিনা আক্তার। এর আগে সকাল ১০টার দিকে চরছয়ানী গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার খবর পায়। নিহতরা হলেন চরছয়ানী গ্রামের জেসি আক্তার (৩৫), তার ছেলে মাহিন (১৪) ও মহিন (৭)। নিহতরা ওই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী-সন্তান। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সৌদিপ্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী ও দুই ছেলেসন্তানকে নিয়ে চরছয়ানী গ্রামের একটি পাকা ভবনে বসবাস করেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় কাজ করতে আসা গৃহপরিচারিকা জেসমিন আক্তার দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। দরজা না খোলায় পাশের বাড়ি থেকে চাবি নিয়ে প্রধান ফটক খুলে ভেতরে গিয়ে বাসার দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। এলাকাবাসী এসে পুলিশে খবর দেন। পরে বাসার দরজা ভেঙে রুমের মেঝেতে জেসি ও বড় ছেলে মাহিনের এবং বাথরুমে ছোট ছেলের লাশ এবং বিছানায় ৯ মাসে মেয়ে শিশু ওজিয়াকে দেখতে পায় পুলিশ। জেসি আক্তারের ভাই শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বাড়ি উপজেলার দাড়িয়ার চরে। সকালে বোন ও ভাগনেদের হত্যার খবর পেয়ে ছুটে আসি। এরপর বোন ও তার বড় ছেলের রক্তাক্ত লাশ মেঝেতে ও আরেক ছেলের লাশ বাথরুমে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ আইয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাতে আধারে ঘরে ঢুকে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। এমন মর্মান্তিক ঘটনা এর আগে দেখিনি। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’ এ ব্যাপারে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতদের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করছি, মঙ্গলবার সকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাদের বাড়ির কোনও মালামাল নেয়নি তারা। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইম সিন হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করেছে উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এখনও মামলা হয়নি। কেন, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে আড়াই টায় হত্যাকান্ডের জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চরছয়ানী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. সুমন, মো. সবুজ ও তানজিনা আক্তার। এর আগে সকাল ১০টার দিকে চরছয়ানী গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার খবর পায়। নিহতরা হলেন চরছয়ানী গ্রামের জেসি আক্তার (৩৫), তার ছেলে মাহিন (১৪) ও মহিন (৭)। নিহতরা ওই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী-সন্তান। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সৌদিপ্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী ও দুই ছেলেসন্তানকে নিয়ে চরছয়ানী গ্রামের একটি পাকা ভবনে বসবাস করেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসায় কাজ করতে আসা গৃহপরিচারিকা জেসমিন আক্তার দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। দরজা না খোলায় পাশের বাড়ি থেকে চাবি নিয়ে প্রধান ফটক খুলে ভেতরে গিয়ে বাসার দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। এলাকাবাসী এসে পুলিশে খবর দেন। পরে বাসার দরজা ভেঙে রুমের মেঝেতে জেসি ও বড় ছেলে মাহিনের এবং বাথরুমে ছোট ছেলের লাশ এবং বিছানায় ৯ মাসে মেয়ে শিশু ওজিয়াকে দেখতে পায় পুলিশ। জেসি আক্তারের ভাই শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বাড়ি উপজেলার দাড়িয়ার চরে। সকালে বোন ও ভাগনেদের হত্যার খবর পেয়ে ছুটে আসি। এরপর বোন ও তার বড় ছেলের রক্তাক্ত লাশ মেঝেতে ও আরেক ছেলের লাশ বাথরুমে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ আইয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাতে আধারে ঘরে ঢুকে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। এমন মর্মান্তিক ঘটনা এর আগে দেখিনি। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’ এ ব্যাপারে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতদের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করছি, মঙ্গলবার সকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাদের বাড়ির কোনও মালামাল নেয়নি তারা। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইম সিন হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করেছে উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এখনও মামলা হয়নি। কেন, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
* দেশ বিদেশের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।