অনুসন্ধানী সংবাদ

উজিরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক মনিরুলের ২ লক্ষ টাকা উৎকোচ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল

received 697115569024921 1024x568 1
print news

উজিরপুর প্রতিনিধি : বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক ও বামরাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলামের ২ লক্ষ টাকা উৎকোচ নেয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এবার থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসলো।সূত্রে জানা যায়- খোলনা গ্রামের সুলতান হাওলাদারের মেয়ে ফাতেমা বেগমের আশুকাঠী গ্রামের শাহজামান নামের এক ব্যবসাীয়র সাথে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়েছিল। কিছু দিন যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি হয়। একপর্যায়ে গত বুধবার উভয়কে নিয়ে ইদগাঁহ বাজার নামক স্থানে শালিষ বৈঠক হয়। উক্ত সালিশ বৈঠকে প্রধান শালিষ মনিরুল ইসলাম মাষ্টার ও তার বাহিনী নিয়ে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে খোলা তালাকের রায় প্রদান করেন এবং নগদ টাকা শালিষ বৈঠকে জমা নিয়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।এ ব্যপারে ফাতেমা বেগমের ভাই রানা হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন- মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম আমার বোনের কাছে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকি ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর এক লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলেছেনা। এদিকে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিডিও বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়েছে।এ বিষয়ে গৃহবধুর ভাই রানা হাওলাদার অভিযোগ করে আরো বলেন, মনিরুল ইসলাম মাষ্টার মাদ্রাসা ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে সালিশি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের আখের গোছাচ্ছে। ক্ষমতার দাপটে সে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। যেন দেখার কেউ কেউ নেই। তার অপরাধের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন- মনিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে খোটবাজি ও নামে বেনামে কাউন্টার এবং সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে সালিশির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রায়ই দেখা যায় ঈদগাঁ বাজারে খুটিনাটি বিষয়ে বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে সালিশির নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইউনিয়নবাসী।এদিকে মনিরুল ইসলাম তার ঘুষ বানিজ্যের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সাংবাদিক ম্যানেজ মিশনে ব্যস্ত। ক্ষমতাধর এই নেতার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা। কে এই মনিরুল ইসলাম মাষ্টার। এলাকায় মূর্তীয়মান আতঙ্কের নাম মনিরুল ইসলাম মাষ্টার।অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম বিষয়টি এড়িয়ে যান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম জাহিদুল ইসলাম জানান- বিষয়টি জানা নেই, তবে কোন অপরাধীই পাড় পাবেনা। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

* দেশ  বিদেশের  সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *