চরফ্যাশনে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তিন যুবককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ


ভোলা সংবাদদাতা : ভোলার চরফ্যাশনের আমিনাবাদ ইউনিয়নের মাঝিরহাট বাজার থেকে তুলে নিয়ে তিন যুবককে ‘ক্রাসফায়ার’এর ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাকারোক্তি আদায় করে ৭ কেজি গাঁজা দিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসানো অভিযোগ উঠেছে চরফ্যাসন থানায় কর্মরত দুই এসআই’র বিরুদ্ধে।৪২ দিন কারাবাসের পর জামিনে এসে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আমিনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন মামলার আসামি ভুক্তভোগী তিন যুবক।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো. মনির দালাল, মুসফিকুল আলম ও মো. ইলিয়াছ অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন ২৩ আগস্ট আমিনাবাদ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁন মিয়া হাওলাদারের ছেলে ফাহাদ গাঁজাসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গাঁজা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় এসআই সিদ্দিকুর রহমান ও এসআই সাইফুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স ফাহাদকে আমিনাবাদ ইউনিয়নের মাঝিরহাট বাজারস্থ তহসিল অফিসের সামন থেকে আটক করে। এ সময় পুলিশ যুবক ফায়াদের সঙ্গে আঁতাত করে তাকে ছেড়ে দিয়ে একইস্থান থেকে অন্যায়ভাবে মুসফিকুল আলম ও ইলিয়াছকে আটক করে পৌর সভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিএড কলেজসংলগ্ন এলাকায় নিয়ে প্রাচীরের ভেতরের পূর্ব পাশ থেকে গাঁজা ভর্তি একটি ব্যাগ নিয়ে তাদের হাতে দেয় এবং এনকাউন্টারের ভয় দেখিয়ে ফায়াদের কাছ থেকে জব্দকৃত মাদক তাদের এই মর্মে একটি স্বীকারোক্তি আদায় করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। ফের পুলিশ ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন মূল সড়ক থেকে মনির নামের অপর আসামিকে আটক করে বিএড কলেজে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মাদকসহ তাদের তিন জনকে থানায় নিয়ে যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করেন।সংবাদ সম্মেলনে কোরান শরিফ হাতে নিয়ে তারা দাবি করেন তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। ফায়াদের সঙ্গে পুলিশের সখ্যতা থাকায় প্রতিহিংসা বসত ফায়াদ অহেতুকভাবে তাদেরকে এমন একটি মিথ্যা মাদক মামলায় জড়িয়ে দিয়েছেন।তারা আরও জানান, গাঁজা বহনকারী যুবকদের সঙ্গে ফাহাদের কথোপকথনের একটি ভিডিও ফুটেজ তাদের হাতে আসলে প্রকাশ হয় যুবক ফাহাদ দুই যুবকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া মাদক দিয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে অন্যায়ভাবে মাদক দিয়ে তাদেরকে ফাঁসিয়েছে। ওই ভিডিও রেকর্ডে যে দুই যুবক এসব মাদক কুমিল্লা থেকে এনেছেন বলে স্বীকার করেছেন এরা আইনের আওতায় আসেনি।তারা আরও জানান, তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে আটক করলেও পুলিশ মামলায় তাদেরকে বিএড কলেজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। এমন অহেতুক সাজানো মামলায় ৩ জনের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তারা এই মামলা থেকে তাদেরকে অব্যাহতির দাবি জানিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তিন যুবক ও তাদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।চরফ্যাশন থানার উপ-পরিদর্শক ছিদ্দিকুর রহমান জানান, তাদের কাছ থেকে মাদক পাওয়া গেছে বলেই তাদেরকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। আসামিরা বিভিন্ন অভিযোগ করতেই পারে।চরফ্যাশন থানার ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, আমি সদ্য যোগদান করেছি। এ মামলা আমি যোগদানের আগে হয়েছে। এই মামলা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই।
* দেশ বিদেশের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।