বরিশাল বাংলাদেশ

ঝালকাঠিতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

jhalokathi 20231020 164351361
print news

মো: ইমরান হোসেন ,ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতিতা স্ত্রী ডলি আক্তার (৩০)।দ্বিতীয় স্ত্রী মিন্নি আক্তার রিয়াকে নিয়ে প্রথম স্ত্রী ডলি ও তার নয় বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু কন্যা জিনিয়া ইসলামকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।অভিযুক্ত স্বামী সৈয়দ জুলহাস ঝালকাঠি সদরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার লাটিমসার গ্রামের আব্দুস সত্তারের ছেলে। জুলহাস বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে সংসার করেন বলেও জানাগেছে।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে জুলহাসের সঙ্গে ডলির আনুষ্ঠানিক বিবাহ হয়।বিয়েতে জুলহাসকে ৩ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দেয় ডলির বাবা আব্দুল রশিদ খান। পরের বছর ২০১৪ সালে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।এর দেড় বছর পরে ২০১৬ সালে ডলির বাবার পেনশনের টাকা থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ধার বাবদ চেয়ে নেয় জুলহাস। শ্বশুরকে ধারের টাকা ফেরৎ না দিয়ে আরও ২ লাখ টাকা ঠিকাদারী কাজের জন্য দাবি করেন। এবার স্ত্রী এবং শ্বশুরকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন জুলহাস।টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে দ্বিতীয় বিবাহ করেন জুলহাস। এবার জুলহাসের বাড়ির পাশের এলাকা বীরকাঠি গ্রামের শাহজাহান মীরের কন্যা মিম্মি আক্তার রিয়াকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বিবাহের ঘটনা জানাজানি হলে স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে প্রথম স্ত্রী ডলির সঙ্গে।বর্তমানে নয় বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে ডলি থাকেন তার বাবার বাড়িতে। আর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে জুলহাস থাকেন তার নিজ বাড়িতে। তাদের কন্যা জিনিয়া ইসলাম মায়ের কাছে থেকে ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।এদিকে জুলহাস তার প্রথম স্ত্রী ও কন্যার ভরণপোষণ বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে শালিস বৈঠক করেও কোনো সুরাহা হয়নি। তবে সুরাহা পেতে ঝালকাঠি আদালতে একটি মামলা করেছেন ডলি আক্তার। যা বর্তমানে চলমান। আদালতের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ডলিকে মারধরসহ বিভিন্ন সময়ে নানা রকম অত্যাচার এবং হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে স্বামী জুলহাস।সংবাদ সম্মেলে ডলি আক্তার বলেন, চলতি মাসের ১৪ অক্টোবর শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঝালকাঠি কামারপট্টি সড়ক দিয়ে হেটে যাওয়ার পথে আমার স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিম্মিকে নিয়ে আমাকে ও আমার মেয়েকে প্রকাশ্যে মারধর করে। তাদের এলোপাথারী আঘাতে আমার মেয়ে জিনিয়া ইসলামের একটি দাত পড়ে যায় এবং রক্তাক্ত জখম হয়। আর আমার শরীর ও মুখ জথম হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ডলিআক্তার বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে ঝালকাঠি থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেননি। বর্তমানে আমাকে এবং আমার মেয়েকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভয়ভীতির মধ্যে জীবন যাপন করছি।

 

* দেশ  বিদেশের  সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

 

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *