বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিলনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ


বরিশাল অফিস : বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-পরিচালকের কাছে দিয়েছে ১২ সদস্য। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপির সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বিলকিস বেগম। অভিযোগের অনুলিপি বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও দেয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মো. আক্তার উজ জামান মিলন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। বিলকিস বেগম বলেন, ১২ জন সদস্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের দুর্নীতির অভিযোগে স্বাক্ষর দিয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে অভিযোগ স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক গৌতম বাড়ৈর কাছে দেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মৃধা মো. আক্তার উজ জামান মিলন বলেন, শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয় নিয়ে ইউপির সদস্যদের সাথে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, দুই সদস্য বিশেষ বরাদ্ধ আনার কথা বলে স্বাক্ষর নিয়েছে।অভিযোগের বরাতে ইউপি সদস্য বিলকিস বেগম বলেন, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে সকল সরকারী বরাদ্দ সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করে চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছেমতো বন্টন করেছেন । ইউনিয়নে মাসিক কোন সভা না ডেকে সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যান ও সচিব সমস্ত কাজ পরিচালনা করেন। এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সহযোগিতায় তারা সমস্ত সরকারী বরাদ্দ ভাগ বাটোয়ারা করেন। চেয়ারম্যান সকল ইউপি সদস্যকে পরিষদে যেতে নিষেধ করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।এছাড়াও চেয়ারম্যান জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ ও ট্রেড লাইসেন্সে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া এবং বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা, বাহিরের আবেদন গ্রহন না করা। ডানিডা, ননওয়েল, ওয়ান পার্সেন্ট, এডিবি, ট্যাক্স আদায়, টিআর, কাবিখা, কাবিটা কর্মসুচী, মাতৃত্বকালীন ভাতা, রেশন কার্ড, টিসিবি, ভিজিডি কার্ড নিজের কাছে রেখে কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে নিজের পছন্দমত লোকদের দিয়েছেন। পরিষদে চাল না দিয়ে সরকারী গোডাউনে চাল দেয়া, ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা না দেয়া, মৎস্য চাল, উন্নয়ন তহবিল, গভীর নলকুপ,মাসিক মিটিং না করা, প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন না করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার নিজের আত্মীয়দেরকে উদ্যোক্তা বানিয়ে তাদের দিয়ে ইউপি সদস্য ও সাধারন জনগনকে হয়রানী করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এছাড়াও সকল সদস্যগন যাতে শান্তিপুর্ন ভাবে পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে এবং অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জনগনের স্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষ ভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
* দেশ বিদেশের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।