পেকুয়ায় ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত স্কুল ছাত্র ছোটনের জীবন প্রদীপ নিভূ নিভূ,অর্থ সংকটে চিকিৎসা বন্ধ


পেকুয়া প্রতিনিধি: পেকুয়ায় স্কুল ছাত্র মোহাম্মদ ছোটন (১৭) কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে ভারতের মাদ্রাজে। পরীক্ষায় ব্রেইন টিউমার ধরা পড়েছে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ৮ম শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থী ছোটনের জীবন প্রদীপ নিভূ নিভূ। অর্থ সংকটে চিকিৎসা এখন বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছোটন ব্রেইন টিউমার আক্রান্ত। তাকে বাঁচাতে হলে মাথায় অস্ত্রোপাচার দ্রুত করতে হবে। অন্যথায় তার জীবন বিপন্ন হবে। ছোটন একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। পিএসসিতে এ প্লাসসহ টেলেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে। এরপর বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ওই স্কুলের নিয়মিত ছাত্র। তবে নিয়তির ভাগ্যে তার আর স্কুলে যাওয়া আসা সম্ভব হচ্ছে না। শারীরিক অক্ষমতায় সে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত ও প্রশংসিত ছিলেন। ছোটনের বাড়ি উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা আবদুল্লাহপাড়ায়। তার পিতার নাম মোহাম্মদ হোসেন। ভাই-বোন ১১ জনের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেনের ১০ম সন্তান ছোটন।
সুত্র থেকে জানা গেছে, গত ২ বছর আগে ছোটনের চোখে মেহেদীর রসের ছিটকে পড়ে। এতে করে তার চোখটিতে যন্ত্রণা দেখা দেয়। সেখান থেকে ওই চোখের কর্ণিয়া ছোট হতে থাকে। কেমিক্যাল মিশ্রণ মেহেদীর ছিটকে পড়া রস থেকে তার চোখে বিরুপ প্রভাব তৈরী হয়েছে। এরপর তার ওই চোখটিতে এখন আর আলো নেই। জ্যোতি নেই তার বাম চোখে। ১ বছর আগে থেকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের ডান অংশ অবস হয়ে গেছে। তাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থেকে শুরু করে অনেক ডাক্তারের কাছে ছোটন চিকিৎসা নিয়েছে।
সর্বশেষ নিউরো সার্জন বিভাগের ব্রেইন ও স্পাইন সার্জনরা বলেছেন ছোটন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। তার মাথায় অস্ত্রোপাচার দ্রুত করতে হবে। না হলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে এ মেধাবী শিক্ষার্থীর জীবন প্রদীপ। ছোটনরা তিন ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই বাকপ্রতিবন্ধী। আরেক ভাই সবেমাত্র বিদেশ গেছেন। বাবাও অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য যা ছিল তা ব্যয় করেছেন। এখন ছেলেকে বাঁচানোর মতো কোন সামর্থ্য নেই। ছোটনের চাচা সাবেক গ্রাম পুলিশ নুরুল হোসাইন জানান, ছোটনকে মাদ্রাজ গিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক বলেন, ছোটন আমার প্রতিষ্টানের ছাত্র। টিউমার ধরা পড়েছে। স্কুলে আসা বন্ধ।
ছোটনের বোন নজির আহমদ ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী নাজমা জন্নাত বলেন, আমরা ভাইকে বাঁচাতে হলে মাদ্রাজ নিতে হবে। চিকিৎসা খাতে ব্যয়িত অর্থ আমার বাবার নেই। বড় বোন জিগারু বেগম বলেন, আমি সমাজের বিবেকবানদেরকে এগিয়ে আসার আহবান করছি। বোন রিমন জানান, আমার ভাইকে বাঁচাতে যারা সহায়তা পাঠাতে চান আমার বিকাশ ও নগদ নাম্বার- ০১৮৭০-৫৬৪৮৩৮ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি। নাছির উদ্দিন মদন, দফাদার নুরুচ্ছবি, ডাক্তার এহেছান, বারবাকিয়া হোসনে আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আলী, ফৈয়জুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো: ইউসুফ, মাওলানা নুর মোহাম্মদসহ স্থানীয়রা জানান, ছোটন মেধাবী ছাত্র। তাকে বাঁচাতে হলে সমাজের বিবেকবান ও মানবিক ব্যক্তিবর্গকে সাহায্য দিতে হবে। আমরা কি পারি না ১ জন শিক্ষার্থীকে সহায়তা দিয়ে বাঁচাতে।ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন ছোটনের জন্য সকলে দোয়া করবেন। তাকে আর্থিক সহায়তা করবেন।
* দেশ বিদেশের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।