ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয়া দশমীতে মেতেছে সিঁদুর খেলায় দেখি ভক্তরা


মো খোকন মিয়া,ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গার বিদায়ের বেলায় ভক্তদের মাঝে সর্বত্র বিষাদের সুর লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি এদিন দুর্গাদেবী মহিষাসুরকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করায় বিজয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন ভক্তরা। একদিকে বিদায়ের বেদনা, অন্য দিকে বিজয়ের আনন্দে বিজয়া দশমী পূজা উদযাপন করছেন ভক্তরা। পুরোহিতের বিদায়ী প্রণাম মন্ত্রের মাধ্যমে সকালে দর্পণ বিসর্জন করা হয়। এরমধ্য দিয়ে মা-দুর্গাকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়। বিদায় লগ্নে অনেক ভক্ত কান্নায় ভেঙে পড়েন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মেড্ডা খালপাড়, পৌদ্দার বাড়ি, রামঠাকুর আশ্রম, গগন সাহাবাড়ি রোড সার্বজনীন পূজামণ্ডপ এবং টাউন সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, শ্রী শ্রীয় আনন্দময়ী কালিবারি মন্দির, কান্দিপাডা জগন্নাথ মন্দির, দক্ষিন কালিবারি জয়কালি মন্দির, শিমরাইলকান্দির, মধ্যপারা পূজা মন্ডপে সিঁদুর খেলায় অংশ নেন সব বয়সের ভক্তরা। এ সময় শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবারি মন্দিরে পূজামণ্ডপে উপস্থিত পার্থ কুমার শীল, অপরুপা শীল, গিতা রানী শীল ও শিল্পী শীল জানান, তারা দেবী দুর্গা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছেন- মা যেন সবাইকে সুখে শান্তিতে রাখেন প্রতিটি মুহূর্ত। দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সুখে শান্তিতে থাকে সেই প্রার্থনাও করেছেন তারা। একই কথা জানান জেলা শহরের রামঠাকুর ক্লাবের পূজামণ্ডপে সিঁদুর খেলায় অংশ নেয়া অভয় মালাকা, রিপা সেনও আকাশ মালাকার। তারা জানান, মায়ের বিদায়ের সুরে যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি আবার আসবে বলে মনে সান্ত্বনা পাচ্ছি। এরই মাঝে আগামী এক বছর স্বামী সংসারে যেন ভালো থাকি- সেই প্রার্থনা করছি। পাশাপাশি সিঁদুর খেলার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশা- মা আমাদেরকে সুখে শান্তিতে রাখবেন। পরে সুখ শান্তির প্রত্যাশায় একে অপরকে সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে দেন। দক্ষিন কালিবারি জয়কালি মন্দিরে পূজামণ্ডপের পুরোহিত কৃষ্ণ চক্রবর্তী জানান, দেবী দুর্গা অশুভ শক্তি অসুরকে দশম দিনে পরাজিত করেন। সেটি পৌরাণিক কাহিনিতে বিস্তারিত বর্ণনা করা আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাস হোসেন বলেন, সদর উপজেলার ৭৯টি মণ্ডপেই কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বছর জেলা সদরসহ নয় উপজেলায় মোট ৬০২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৪৮টি মণ্ডপে পূজা হয় নাসিরনগর উপজেলায়। এছাড়া নবীনগরে ১৩৩টি, সদরে ৭৯টি, বিজয়নগরে ৫৭টি, কসবায় ৫২টি, সরাইলে ৪৮টি, বাঞ্ছারামপুরে ৪৬টি, আখাউড়ায় ২৩টি এবং আশুগঞ্জে ১৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
* দেশ বিদেশের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।