অর্থনীতি

আলু-ডিম-পেঁয়াজে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষিত

f9ccc5aaf49140befe9ed628d9ffe3b3 650554fd6840c
print news

ঢাকা প্রতিনিধি : বাজার অস্বস্তিতে ভোগান্তির অন্ত নেই। নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। সবজির বাজার দীর্ঘদিন ধরে চড়া, যা এখন লাগামছাড়া। এরই মাঝে নতুন করে বেড়েছে দাম ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম।  এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া।শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।সম্প্রতি ভোক্তাপর্যায়ে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও চিনির দাম সহনীয় রাখতে দাম বেঁধে দেয় সরকার। সে অনুযায়ী প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও ৬৫ টাকা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা কেউ মানছে না, উল্টো দাম বাড়িয়ে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে।রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খুচরা পর্যায়ে দাম যাচাই করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা। স্থানভেদে প্রতি প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।খুচরাপর্যায়ে আলু বিক্রির নির্দেশনা উপেক্ষা করে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পরিশোধিত খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৪৫ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা কেজি হলেও ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

5cf4a1980986954abb1dbc1bbe7d62b6 642fda264065f

এদিকে শীতকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৫০-৬০ টাকা, স্থানভেদে বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়ার দামও চড়া। আলু ৫০-৬০ টাকা কেজি, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, মূলা ৭০-৮০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কাটা টুকরো বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০-৯০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০, উস্তা ১০০ ও কচুর লতি ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, প্রতি পিস জালি ৪০-৫০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থানভেদে লাল শাকের আঁটি ৩০-৪০ টাকা, লাউ শাক ৬০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।অপরদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়ে ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। কিছু স্থানে ৭০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্থানভেদে কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানভেদে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অল্প কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। এক কেজির রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। দুই থেকে আড়াই কেজির রুই-কাতলার দাম কেজিতে ৩৭৫ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৬৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *