রাজনীতি

দেশে সরকার আছে বলে টের পাই না: মুজিবুল হক

chunnu
print news

ঢাকা প্রতিনিধি :  জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে কোথাও কোনও নিয়ন্ত্রণ আছে, সরকার আছে বলে আমরা টের পাই না। বুধবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে ‘ফিন্যান্স কোম্পানি বিল–২০২৩’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।ভারতীয় রফতানিকারকরা পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর সংবাদে বাংলাদেশে পেঁয়াজের কেজি ১৫০ টাকা হয়ে গেছে বলে জানান মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও, কোথাও নিয়ন্ত্রণ আছে বলে… সরকার আছে বলে আমরা টের পাই না।’এ সময় তার পেছনে বসা কয়েকজন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাসি দেন। জবাবে চুন্নু বলেন, ‘আহা করেন…বাজারে যান না, পেঁয়াজ কত করে দেখেন, আহা করেন। এই আহা বাহা হয়ে যাবে।’সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা মাইক ছাড়াই কথা বললে চুন্নু বলেন, ‘ভাই, ডিস্টার্বটা করেন! ডিস্টার্ব কইরেন না বাস্তবতায় আসেন।’তিনি বলেন, ‘ফিন্যান্স কোম্পানির কথা মনে হলেই পিকে হালদার, যিনি এখন কলকাতায় আছেন, যিনি লিজিং কোম্পানির এমডি ছিলেন। বান্ধবীর নামে ১০০ কোটি, তিন নম্বর বান্ধবীর নামে ৫০ কোটি, স্ত্রীর নামে ১০০ কোটি, শালীর নামে ৫০ কোটি, মানে শালী, বান্ধবী, স্ত্রীর নামে শত শত কোটি টাকা পাচার করেছেন। আইনতো ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংকতো ছিল, তারা কি তখন ঘাস কেটেছিল? আইন করে লাভ কী? দিয়ে দেন না ফ্রি…যা।’জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘লিজিং কোম্পানি থেকে পিকে হালদার হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছেন। তখনও আইন ছিল। আইন কার্যকর না হলে আইন করে লাভ হবে না। পিকে হালদাররা এভাবে টাকা নিয়ে চলে যাবে। আইন থাকবে আইনের জায়গায়।’বিরোধী সদস্যদের জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। বিলে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ফিন্যান্স কোম্পানির শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাবে না। কোনও ব্যক্তি বা একই পরিবারের সদস্যরা কোনও ফিন্যান্স কোম্পানির ১৫ ভাগের বেশি শেয়ার কিনতে পারবেন না। এক পরিবার থেকে দুই জনের বেশি পরিচালক নিয়োগ করা যাবে না।বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষ অথবা একই পরিবারের সদস্যরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একক বা যৌথভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৫ ভাগের বেশি শেয়ার কিনতে পারবেন না। কোনও ব্যক্তি বা তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ-প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একক বা যৌথভাবে কোও ফিন্যান্স কোম্পানির উল্লেখযোগ্য (কোনও ফিন্যান্স কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৫ ভাগের বেশি শেয়ার) শেয়ারধারক হলে অন্য কোনও ফিন্যান্স কোম্পানি বা ব্যাংক কোম্পানির উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক হতে পারবে না।বিলে বলা হয়, কারও কাছে ১৫ শতাংশের অতিরিক্ত শেয়ার থাকলে এই আইন কার্যকর হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অতিরিক্ত শেয়ার হস্তান্তর করতে হবে। এটি না করলে অতিরিক্ত শেয়ার সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।তবে এসব বিধান সরকারি মালিকানাধীন ফিন্যান্স কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।বিলে বলা হয়েছে, কোনও পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে দুই জনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না। শতকরা ৫ ভাগের বেশি শেয়ারের অধিকারী হলে ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ দুই জন পরিচালক থাকতে পারবেন। আর দুই থেকে শতকরা ৫ ভাগ শেয়ারের অধিকাফি কোম্পানির পরিচালক হতে পারবেন।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *