মৎস্য বিভাগের মাঠ সহায়ককে ম্যনেজ করে চলছে ইলিশ নিধন


সালমান ফার্সী,ঝালকাঠি : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের দেশীয় শামুক ও ঝিনুক রক্ষা প্রকল্পের মাঠ সহায়ককে নিয়মিত উৎকোচ দিয়ে সুগন্ধায় ইলিশ নিধন করছে জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অসাধু মৌসুমী জেলেদের সাথে যোগসাযস করে মাঠ সহায়ক আরিফ সিকদার কামিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ এবং জাটকা ইলিশ।গনমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা মৎস্য অফিসের এক কর্মচারী বলেন, অসাধু জেলেদের নামের তালিকা করে তাদের সাথে লিয়াজো করেছে ঐ মাঠ সহায়ক আরিফ। এতথ্য অনেক জেলেরাও স্বীকার করে বলেন, ‘আরিফের সাথে বিনিময় চুক্তি করে অসাধু জেলেরা জাটকা ধরছেন।’পেশাদার জেলেদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাহলো, প্রতিদিন নগদ ২ হাজার টাকা এবং ৫ কেজি করে ইলিশ দিয়ে সারারাত সুগন্ধা নদীতে কারেন্ট জাল ফেলে ইলিশ নিধন করা হচ্ছে।নলছিটি এলাকার মগড় গ্রামের জেলে নজরুল ইসলাম, এনায়েত শরীফ, মো. রুবেল এবং মিরাজ হোসেন বলেন, ‘নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারী আরিফ শিকদার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অনেকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ২ হাজার করে নগদ টাকা এবং ৫ কেজি করে ইলিশ মাছ নিয়েছে।জানা গেছে নলছিটি উপজেলার কুশংগল ইউনিয়নের সরমহল গ্রামের এম এ সামাদের ছেলে আরিফ সিকদার ২০২১ সালে ৪ বছর মেয়াদি দেশীয় শামুক ও ঝিনুক রক্ষা প্রকল্পের মাঠ সহায়ক হিসেবে চাকুরী নেন।অভিযুক্ত আরিফ সিকদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অসাধু কিছু জেলেরা যে অভিযোগ করেছে তা পুরোপুরি মিথ্যো ও বানোয়াট। অসাধূ জেলেরা অবৈধ সুবিধা না পেয়ে এমন অভিযোগ করেছে।’নলছিটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রমনী কুমার মিস্ত্রী বলেন, এ বিষয় আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ আসলে এবং অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।