অব্যাহতি নিচ্ছেন মেয়র সাদিক, দেখা হবে না চাচা-ভাতিজার : চারদিন মেয়রশূন্য থাকবে বরিশাল নগরভবন


বরিশাল অফিস : সাদিক আব্দুল্লাহর অব্যাহতির সিদ্ধান্তের কারণে আগামী শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চারদিন মেয়রশূন্য থাকবে নগরভবন। বরিশাল সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়েই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। এতে করে একই পরিবারের এ দুই মেয়রের মধ্যে দূরত্ব আবারো স্পষ্ট হয়ে উঠলোঘনিষ্ঠসূত্রগুলো বলছে, অবস্থান জানান দিতে দুজনেই আড়ম্বর আয়োজন করেছেন। এরমধ্যে দায়িত্ব নিতে যাওয়া মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর অভিষেক অনুষ্ঠানে সাজানো হচ্ছে পুরো নগরী। অন্যদিকে, সাদিক আব্দুল্লাহর বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে একাধিক সংগঠন। সাদিক আব্দুল্লাহ নিজের পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ায় চাচা-ভাতিজার মধ্যে নগর ভবন-কেন্দ্রিক দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। তিনি বলেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আগামীকাল ৯ নভেম্বর পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন বর্তমান পরিষদের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে ১৩ নভেম্বর। পরের দিন নতুন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দায়িত্ব নিবেন।রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, সাদিক আব্দুল্লাহ অব্যাহতি নেওয়ায় নতুন মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর সাথে দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা তাঁর মনে হয় নেই।সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাহী কর্মকর্তা চলে যাওয়ায় নতুন পদায়নকৃত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত যোগ দেননি। এছাড়া সচিব পদটিও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য আছে।সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠজনসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর নগর ভবন থেকে পায়ে হেটে কালীবাড়ি সেরনিয়াবাত ভবনে ফিরবেন সাদিক আব্দুল্লাহ।
অপরদিকে ১৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর অভিষেক অনুষ্ঠান আড়ম্বরপূর্ণ করতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহানগর যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন। তিনি জানান, অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এমপির।সাদিক আব্দুল্লাহর অব্যাহতির সিদ্ধান্তের কারণে আগামী শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চারদিন মেয়রশূন্য থাকবে নগরভবন।
আরও পড়ুন…..
শত চ্যালেঞ্জ নিয়ে চেয়ারে বসবেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র খোকন
উল্লেখ্য, চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর বিপরীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন হারান সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। সাদিক আব্দুল্লাহ নগরীর উন্নয়ন করতে না পারার সমালোচনার মুখে রয়েছেন। এ ছাড়া, রাজনৈতিক দিক দিয়েও বির্তকিত কর্মকাণ্ডের ফলে মনোনয়ন হারান ।
যে কারণে ভাগ্য বিপর্যয় সাদিকের :
সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক নম্বর সদস্য। তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল-১ আসনের এমপি। তাঁর ছেলে মেয়রের পাশাপাশি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় কাঠামোর বড় দুই পদে বাবা-ছেলের অবস্থানের বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে নানাভাবেই সমালোচিত হয়ে আসছে। অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলার সাহস নেই কারও।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা মনে করছেন দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বড় ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ উত্তরাধিকার সূত্রে বরিশালের রাজনীতিতে জায়গা করে নেন। তাঁকে কখনোই রাজনীতির ঘাত-প্রতিঘাতের মুখোমুখি হতে হয়নি। দলে এসেই মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে বেপরোয়া হয়ে পড়েন তিনি। একে একে সবই কিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি করেন যা নগরবাসীকে ক্ষুব্ধ করে। এছাড়া ভবনের নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়া তিনি দীর্ঘায়িত করেছিলেন।
সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সম্পর্ক খুব একটা সুখকর নয়। একাধিকবার তিনি প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছেন। তা ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতার গায়ে হাত তোলার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ফলে দলের সিনিয়র ও ত্যাগী নেতারা কখনোই তাঁর একক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পেতেন না।
সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের গভীর রাত পর্যন্ত তাঁর কালিবাড়ি সড়কের বাসভবনে বসিয়ে রাখতেন। সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যখন-তখন বাসায় ডেকে পাঠাতেন। কোনো কর্মকর্তা তাঁর ডাকে সাড়া না দিলে অপমান-অপদস্থ হতে হতো। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের সঙ্গে তাঁর বনিবনা নেই।
২০২১ সালের ১৮ আগস্ট রাতে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর বাসভবনে হামলা ছিল তখনকার সময়ে দেশব্যাপী আলোচিত ঘটনা।এ ঘটনায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনও তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
মেয়র অনুসারীরা জাহিদ ফারুক শামীম এমপির ব্যানার অপসারণ করতে গেলে বাধা দেওয়ায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। আরেকটি আলোচিত ঘটনা ছিল গত ডিসেম্বরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন। জিলা স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তাঁকে দলবলসহ কেন্দ্রে না ঢোকার জন্য অনুরোধ করলে সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ‘স্টুপিড’ বলে গালমন্দ করেন মেয়র।দায়িত্ব গ্রহণের পরই সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ কাঁচা বালু পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে নগরবাসীকে ফেলেন দুর্ভোগে। তিনি নগরের বাড়ি তৈরির নকশা অনুমোদন বন্ধ করে দেন। হোল্ডিং ট্যাক্স কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেন। এতে নগরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নামে। নানা অভিযোগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।এমনকি নগরের দুটি বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও হাটবাজারসহ নগদ আয়ের অনেকগুলো খাত দখলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। তা ছাড়া প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পরিবহন সেক্টরকে ব্যবহার করার অভিযোগও আছে। সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সময়কালে সড়কের ওপর সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনাও ঘটেছে।৩০ জন সাধারণ এবং ১০ সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের অভিযোগ, মেয়র তাঁর একক সিদ্ধান্তে সিটি করপোরেশনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ২০২১ সালের আগস্টে। ১০ জন কাউন্সিলর একযোগে মেয়রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে অবস্থান নেন।
পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বহুতল ভবনের প্ল্যান পাস নিয়ে : কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির
সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দুবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জিয়াউর রহমান বিপ্লব এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এনামুল হক বাহার। তারা জানান, চতুর্থ পরিষদে সিটি মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সিটি করপোরেশনে তেমন একটা আসতেন না। বেশিরভাগ কর্মকাণ্ড ছিল কালিবাড়ি সেরনিয়াবাত বাসভবনে। এ কারণে সিটি করপোরেশন ভবনের বেহাল অবস্থা। মেয়রের নির্ধারিত কক্ষ থেকে শুরু করে প্রতিটি কক্ষের অবস্থা বেহাল। এমনকি বিসিসি ভবনের ছাদ এবং ভবন ঘেঁষে বড় বড় গাছ জন্মেছে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। পঞ্চম পরিষদের মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার আগে এসব বেহাল অবস্থা সংস্কারের কাজ চলছে।
সিটি করপোরেশন থেকে চাকরিচ্যুত নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার আগেই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ১০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর অনুগতদের একাধিক পদ দিয়ে বিসিসির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সাদিক আব্দুল্লাহ যাওয়ার আগেই কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এছাড়া অনিয়মতান্ত্রিকভাবে দেওয়া হয়েছে পদোন্নতি। পরিসংখ্যানবিদ স্বপন কুমারকে পদায়ন করা হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে। দুই জন সহকারী প্রকৌশলীকে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেক কর্মকর্তা।’
তিনি বলেন, ‘পদোন্নতি দিতে ন্যূনতম নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যাও। যাতে পঞ্চম পরিষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে না পেরে রোষানলে পড়ে।’
চতুর্থ ও পঞ্চম পরিষদে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বহুতল ভবনের প্ল্যান পাস নিয়ে। সেখানে একাধিক নিয়ম বেঁধে দিয়ে প্ল্যান পাস করা হয়। এরপর প্ল্যানের সামান্যতম বাইরে গেলে ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ সুযোগে রোড পরিদর্শকরাও প্রতিটি ভবন থেকে চাঁদাবাজি করেছেন। এজন্য আগে যে পরিমাণ ভবন নির্মাণ হতো, চতুর্থ পরিষদের আমলে তার চারভাগের এক ভাগও হয়নি।’
যত ফন্দি আঁটুক তাতে কাজ হবে না : সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ
গত পাঁচ বছরে নগরীতে কোনও ধরনের উন্নয়ন হয়নি জানিয়ে নবনির্বাচিত সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বেশিরভাগ সড়কের বেহাল অবস্থা। খাল সংস্কার না হওয়ায় নগরবাসীকে পানিবন্দি থাকতে হয়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে নগরবাসীকে বেকায়দায় ফেলা হয়েছে। লুটপাটে মেতে থাকতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হলুদ অটোরিকশার অনুমোদন দিয়ে নগরীতে যানজট সৃষ্টি করা হয়েছে।’
গত পাঁচ বছর নির্দিষ্ট চার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কাজ না করেও ওসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল উত্তোলন করে নিয়েছে। সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকান স্থাপন করে পথচারী, যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। বিসিসির যান্ত্রিক শাখা থেকে কোটি টাকার মালামাল বিক্রি এবং একাধিক গাড়ি অকেজো করে ফেলে রাখা হয়েছে। চেক ও ফাইলের পেছনের তারিখে স্বাক্ষর রেখে ঠিকাদারি কাজের বিল উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফন্দি আঁটছেন সংশ্লিষ্টরা। যাতে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ি। তবে যত ফন্দি আঁটুক তাতে কাজ হবে না। কারণ চতুর্থ পরিষদের দুর্নীতির বিষয়টি নগরবাসী জানে। এ কারণে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে আমাকে সিটি করপোরেশনে পাঠিয়েছে। আমি নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সব দুর্নীতির মোকাবিলা করবো।’
বর্তমানে ষড়যন্ত্র চলছে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের যোগদান নিয়ে উল্লেখ করে সিটি মেয়র আরও বলেন, ‘গত আগস্ট মাসে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদকে বদলির পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত জাকির হোসেন বাচ্চুকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি এখানে যোগদান না করায় ৫ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব এসএম. মুনীর উদ্দীনকে বদলি করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনিও যোগদান করেননি। এর আগে অক্টোবর মাসে সচিব পদে নিয়োগ পান মাসুমা আক্তার। তিনি ২০ অক্টোবর বাজেট ঘোষণার দিন উপস্থিত হয়ে ৪৫ দিনের ছুটিতে চলে যান। ওসব কর্মকর্তাকে কে বা কারা ভয়ভীতি দেখানোর কারণে যোগদানে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে জেনেছি।
সাদিক আবদুল্লাহর ‘রাজ্যে’ ভয়ের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত বরিশাল - ইত্তেহাদ
নভেম্বর ৮, ২০২৩[…] […]