বাংলাদেশ খুলনা

বাবার মানত রাখতেই সাতটি বিয়ে করেছেন কুষ্টিয়ার রমিজুল

a063d255b69f612516823465cff94672 657f04d50f3d5
print news

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :  একটি-দুটি নয়, রীতিমতো ‘সাত স্ত্রীকে’ নিয়ে এক ছাদের নিচে সংসার করছেন লিবিয়া ফেরত রমিজুল ইসলাম (৩৮)। সাত স্ত্রীর কারও মধ্যে কোনো ঝগড়াঝাঁটি নেই বলে দাবি তাঁর। বাবার মানত রাখতেই তিনি সাতটি বিয়ে করেছেন বলেও জানান। রমিজুলের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের মিয়া পাড়া গ্রামে।জানা যায়, এ পর্যন্ত রমিজুল সাতটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও পরের ছয় বিয়ে তিনি সম্পর্ক করে করেন। বর্তমানে স্ত্রীদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন। রমিজুলের বাবা, ছেলে বৌসহ সাত স্ত্রী মিলেমিশে একই বাড়িতে থাকছেন। তিনি বাবা-মার একমাত্র সন্তান।রমিজুল ইসলাম  জানান, তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ নেই। বাবা-ছেলে বৌসহ সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। সাত স্ত্রীই তাঁর যত্ন নেন এবং তাঁকে খুব ভালোবাসেন। তাঁর স্ত্রীরা হলেন রুবিনা, হেলেনা, নুরুন্নাহার, স্বপ্না, বানু, জুঁই ও মিতা। স্ত্রীরা জানান, তাঁরা পরস্পর বোনের মতো বসবাস করেন, একসঙ্গে থাকেন। কেউ কাউকে হিংসা করেন না। তাঁরা জেনেশুনে রমিজুলকে বিয়ে করেছেন। তাই তাঁদের মন খারাপ হয় না। তাঁদের স্বামী এমন কিছু করেন না, যে তাঁদের মন খারাপ হবে।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৯ সালে ১৩ বছর বয়সে রমিজুল পারিবারিকভাবে প্রথম রুবিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২০০৮ সালে তিনি কর্মসংস্থানের জন্য লিবিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে তিনি কিশোরগঞ্জের মেয়ে হেলেনাকে বিয়ে করেন। এরপর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদেরও তিনি লিবিয়ায় নিয়ে যান। পরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত লিবিয়ায় থাকা অনুপযোগী হয়ে পড়লে এক যুগ পর ২০২১ সালে তিনি দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে বিয়ে করেন নুরুন্নাহারকে। এরপর গত তিন মাসে বিয়ে করেছেন তিনজনকে। সর্বশেষ বিয়ে করেন মিতাকে। বর্তমান স্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা কর্মক্ষেত্রে।

দুর্নীতি অনিয়মে ডুবতে বসেছে বরিশাল বিআরটিসি বাস ডিপো

রমিজুল বলেন, ‘আমার ঘরে আরও একাধিক স্ত্রী আছে। তাঁরা সেটা মেনেই বিয়ে করেছে। স্ত্রীদের নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। আমার পারিবারিক কোনো ঝামেলা নেই। সবাই বোনের মতো থাকে।’ এটা আইনসম্মত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মুসলিম হিসেবে কোরআনের আইন অনুযায়ী সাত স্ত্রী রাখার বিধান নেই। আমি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। আমার জন্মের পর বাবা মানত করেছিল সাতটি বিয়ে করার জন্য। সেই মানত পূরণ করার জন্যই আমি সাতটি বিয়ে করেছি।’

এ বিষয়ে পাটিকাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মতিউর রহমান  বলেন, ‘আমি কখনো রমিজুলের স্ত্রীদের কোনো অভিযোগ শুনিনি। কেউ কখনো অভিযোগও করেননি। তাঁরা অনেক সুখে আছেন। তবে সাতটি বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের কোনো তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *