আন্দোলন ও মিছিলের আত্নকাহন


নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর :
পুলিশতো সবসময়ই বিরোধী দলের বিপক্ষে থাকবে,এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অতীতে কবে পুলিশ বিরোধী দলের পক্ষে ছিল।এখনতো আরো ভয়াবহ অবস্থা। সময়ের সাথে সাথে পুলিশ বাহিনী আরো আধুনিক যন্রপাতিতে সুসজ্জিত ও সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে উঠেছে।পুলিশ সবসময়ই সরকারের পৃষ্ঠপোশকতা করবে এটাই স্বাভাবিক। এরশাদের শাসন আমলেও এমন ছিল।তবে বর্তমান পুলিশ বাহিনী এলিট ফোর্সে রুপান্তরিত হয়েছে।সবচেয়ে বড় কথা পুলিশ মানবিক না হয়ে দানবিক হয়ে গেছে।তারা অন্ধভাবে সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে গেছে।আমাদেরকে সময়ের সাথে সাথে রাজনৈতিক নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।আমার বিশ্বাস গনতন্ত্রকামী মানুসের স্রোতকে আটকিয়ে রাখা জাবে না।দরকার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা।ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে দাড়াতে পারলেই ফয়সালা হয়ে জাবে ইনশাআল্লাহ।
সবাই শক্তের পূজারী।ফিলিস্তিনের ছোট ছোট বাচ্চারাও পাথড় নিয়ে ট্যাংকের সামনে গিয়ে দাড়ায়।আমরাও দাড়াই, মোবাইলের সামনে সেলফি তুলতে।একগ্রুপ আসে কোনরকমে একটা সেলফি তুলে বা ভিডিও করে নেতাদের কাছে পাঠিয়ে তাদের খুশী করতে।আরেকগ্রুপ আছে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।এরা আওয়ামী লীগ বা পুলিশের সামনে দাড়াতে পারেনা, অথচ মুখে বাঘ মেরে ফেলে।নেতাদের দেখলে চাপাবাজী আর তোষামোদি শুরু করে দেয়। নেতারাও এদের দেখলে কেন জানি খুশি থাকে।এই গ্রুপ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে চায়।কর্মীদের আগে প্রশাসন জেনে যায় কবে,কখন,কোন জায়গা থেকে মিছিল হবে।এইসব মোনাফেকদের চিহ্নিত করতে হবে।না হলে আন্দোলন মুখ থুবরে পরবে।আমেরিকা এসে আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে না। নেতাদের খোলস ছেড়ে বাইরে রাজপথে আসতে হবে।সাহস নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনকে চূড়ান্ত রুপ দিতে হবে।কয়েক মিনিটের গোপন মিছিলের ভিডিও দিয়ে আন্দোলনে সফলতা আসবে না।সরাসরি দারাতে হবে পুলিশের সামনে।
আমরা বাড়ী-ঘর ছারা ২মাস আর বাটপাররা ঘরে বসে আমাদের খবর পুলিশকে দেয়।এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্হা নীতে হবে।আন্দোলনের কর্মীদের বাড়ীর খবর নিতে হবে। সামান্য কিছু চাল-ডাল তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে হবে না,তাদের দ্রুত জামিনের ব্যবস্হা করতে হবে।পরিবারগুলো অনেক অসহায়।তাদের আরো সহযোগিতা প্রয়োজন।
পরিশেষঃ কে শোনে কার কথা,তবুও রাজপথে থাকতে চাই। যৌক্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। পালিয়ে না থেকে রাজপথ থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে চাই।চাই আন্দোলনের সামান্য অর্থও যেন মিসইউসড না হয়।সব কর্মীই যেন সমান মূল্যায়িত হয়।
মাতৃসমতুল্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর বাংলাদেশ দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের বিশ্বাস ও আস্থার সাথে আমরা যেন মোনাফেকি না করি।আন্দোলনে শহীদ,পঙ্গু, আহত এবং জেলে বন্দী সহযোদ্ধার রক্ত,ঘাম আর ত্যাগের সাথে আমরা যেন বেঈমানী না করি।
লেখকঃ
নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর
সহ-সভাপতি (খুলনা বিভাগ)
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও
সাধারন সম্পাদক,খুলনা মহানগর ।