কার নেতৃত্বে থাকছে ইসলামিক রাজনীতি


অনলাইন ডেস্ক : বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইসলামভিত্তিক দলগুলো বামপন্থী দলগুলো থেকে বেশ এগিয়ে। সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল ও উরস ঘিরে চলে মানুষের আনাগোনা। এই অবস্থায় ইসলামিক দলগুলো আগামীতে রাজনীতিতে আরও বড় ভূমিকা পালন করবে। এমনটিই মনে করেন দেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ।রাজনীতি, শিক্ষানীতি ও সমাজনীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ইসলামিক দলগুলোর ভূমিকা দিনে দিনে বেড়ে যাছে। তবে ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন রাজনীতিতে অনেক বছর ধরে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। আন্দোলন ও রাজনীতির মাঠে নানাভাবে রাজনীতির অবস্থান ধরে রেখেছে এই দল দু’টি। ইসলামী আন্দোলনের বিশাল কর্মী বাহিনী ও সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে। তারা সরকার বিরোধী এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মাঠে অবস্থান নেয়।অপর দিকে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন রাজনীতিতে বেশ আলোচিত একটি দল। গত দশ বছর রাজনীতির মাঠে সরকারের পক্ষে দলটিকে ব্যাপক আন্দোলন করতে দেখা গেছে। এমন কী জামায়াত ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের পেছনেও তাদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।
ইসলামী আন্দোলন ও তরীকত ফেডারেশনের মধ্যে ইসলামিক মতাদর্শে অমিল আছে। তরীকত ফেডারেশন একটু সুফি বাইটিক রাজনীতিক দল। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন সুফিবাদ পছন্দ করে না বলে জানা গেছে। কিন্ত এই দুই দলের মধ্যে ইসলামিক আদর্শের দিক দিয়ে মিল আছে। উভয় দলই ইসলামিক মাজাব মানে।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আগামীতে এই দুই দল রাজনীতি ও সমাজনীতিতে সেবক ভূমিকা পালন করবে। যে দল এগিয়ে থাকবে সেই দলের আদর্শ ও মতাদর্শ প্রচার বেশি হবে। একই সঙ্গে সমাজে অনেক বড় ভূমিকা থাকবে।
বাংলাদেশ তরীকত ফেডারশনের সহভাপতি সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছি। আগামী ৫ বছরে আমার লক্ষ্য হলো সারা দেশে শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান তৈরি করা। আগামী নির্বাচনে আমরা যেন ৩০০ আসনে শক্ত প্রার্থী দিতে পারি সেটি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news