দশমিনায় সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে বিস্তৃর্ন ফসলের মাঠ


আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল,দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ন মাঠে হলুদ আর হলুদের সমারোহ শোভা পাচ্ছে। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে চারিদিক উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ভরে গেছে। সরিষা ফুলের সমারোহ ফসলের মাঠে ছড়াচ্ছে নান্দনিক সৌন্দর্য আর সরিষা ফুলকে ঘিরে মৌমাছি ও প্রজাপতিরা উড়ছে। আর মৌমাছিরা মধু আহরনে ব্যস্ত আছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,২০২৩-২৪ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রদর্শনীয় বাস্তবায়ন ও রবি মৌসুমে প্রনোদনার কর্মসূচির আওতায় ক্ষদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সরিষা বারি-১৪ বীজ সহ সার বিতরন করা হয়। সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা আগ্রহী হয়েছেন সরিষা চাষে। উপজেলার বেতাগি সানকিপুর, বহরমপুর, বাশঁবাড়ীয়, আলীপুর, দশমিনা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তৃর্ন মাঠে দু’চোখ যতদুর যায় হলুদ আর হলুদের সমারোহ। উপজেলার দশমিনা সদরের প্রান্তস মন্ডল জানান, গত বছর আমি ১ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করে দ্ধিগুন লাভ করেছি। এই বছর আমি প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছি সরিষা গাছ ও ফুল ভালো হয়েছে সঠিক পরিচর্যা করলে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে এবং লাভের মুখ দেখতে পাব। কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে এসে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যান। কাটাখালীর কামাল আকন বলেন,আমি গত বছর সরিষা চাষ করে ভালো লাভ করেছি এতে সময় কম লাগে বারি-১৪ সরিষার বীজ রোপনের ৭০-৮০দিন লাগে আর সরিষার দানা হয় চারটি তাই ফলনও বেশি পাওয়া যায় । এ বছর আগের চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছি । বীজ ও সার ও পরামর্শ অফিস থেকে লোাক এসে দিছে। গাছ ও ফুল ভালো ফলন ভালো হবে আশা করছি। পশ্চিম লক্ষীপুর গ্রামের চাষি, তপন সিকদার জানান, আমি এ বছর নতুন সরিষা চাষে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরিষা বারি ১৪ বীজ এনে ১ হেক্টর জমিতে রোপন করেছি সার অফিস থেকে দিছে গাছ ও ফুল ভালো দেখা যায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফল পাওয়া যাবে । বেতাগী ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের চাষি রফিক হাওলাদার বলেন, আমি কৃষি অফিস থেকে বিনা -১৪ সরিষা বীজ এনেছি প্রায় ১হেক্টর জমিতে চাষ করেছি তারা সার ও দিছে আমি কিটনাশক দিয়েছি তারা এসে খোজ খবর নেয়। আমার জমির সরিষার গাছ ও ফুল ভালোদেখায় ভালো ফলন আশা করি। রনগোপালদীর কৃষক আঃ রাজ্জাক বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার গাছ ও ফুল দেখে বুজি দ্বিগুন ফলন পাওয়া যাবে। বাজারে দামও বেশি পাব আশা করছি। দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ এই প্রতিনিধিকে বলেন, তৈল জাতীর ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭টি ইউনিয়নে রবি মৌসুমে প্রনোদনার কর্মসূচির আওতায় ক্ষদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বারি-১৪ ও বারি-৯ সরিষা বীজ দেয়া হয়। মাঠ পর্যায় উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগন কৃষকদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিয়েছেন। উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের চাহিদা দেয়া হয়েছে কিন্তু এ বছর ৮ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে । কৃষকরা আগের তুলনায় অধিক আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সরিষা বারি-১৪ জীবন কাল ৭৫- ৮০দিন এবং সরিষা বারি-৯ জীবন কাল ৮০-৯০ দিন । সরিষা বারি-১৪ ফরনে চারটি প্রোকোস্ট থাকে এতে ফলন ভাল হয়। দশমিনায় এই বছর সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ ব্যাপক গত বছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা গাছ ও ফুল ভাল দেখা যায়। এই বছর কৃষকরা ভাল ফলন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দশমিনা(পটুয়াখালী)ঃ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তৃর্ন মাঠে হলুদ আর হলুদের সমারোহ শোভা পাচ্ছে ।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news