জিরা চাষ হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জে


গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গোবিন্দগঞ্জে প্রথম বারের মত চাষ হচ্ছে মসলা জাতীয় ফসল জিরার চাষ। জিরা আবাদে সফলতা পেয়ে খুশী কৃষকরা।মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওয়ায় জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার খলসী ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাল বাতাইল গ্রামে প্রদর্শনী প্লট আকারে ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে মসলা জাতীয় ফসল হিসাবে কৃষক পর্যায়ে জিরা চাষ করা হয়।জিরা চাষের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়া এসব এলাকার কৃষকরা পরীক্ষামুলক জিরা চাষে বেশ সফলতাও পেয়েছে। কৃষি বিভাগের নানা ধরণের সহযোগিতায় মুদ্ধ হয়ে এবং জিরার ফলনে খুশী হয়ে আগামীতে কৃষকরা বানিজ্যিক ভাবে জিরা চাষ সম্প্রসারণ করার ইচ্ছে পোষণ করেছেন অনেক কৃষক।ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাইল-বাতাইল গ্রামের মসল্লা চাষী দিলবর আলী বলেন বগুড়া মসলা গবেষনা ইনষ্টিটিউটে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে জিরা চাষ করি। ১০ শতক জমিতে নিয়ম মেনে সেচ, সার প্রয়োগ ও সঠিক পরিচর্যায় এর আবাদে ভাল সফলাতা পেয়েছি। আগে জানলে আরো বেশী জমিতে জিরার চাষ করতাম। তবে আগামী বছর আরো বেশী জমিতে জিরার চাষ করব।গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের সাতাল বাতাইল ব্লক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতা ঝর্ণা বালা বলেন প্রথমবারের মত জিরার আবাদে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়াতা দিয়েছি। এই সফলতায় তিনিও খুশী।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওয়ায় মসলা জাতীয় ফসল হিসাবে কৃষক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক জিরা চাষ বেশ ভালো হওয়ায় আশাবাদি তারা। এ এলাকার মাটি ও আবহওয়া জিরা চাষের উপযোগি হওয়ায় আগামীতে কৃষক পর্যায়ে বানিজ্যিক ভাবে জিরা চাষ সম্প্রসারণ ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়ার হবে। আর বেশী জিরা চাষ করে আমদানি খরচ কমানো সম্ভব।উন্নত মানের বীজ ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে কৃষক পর্যায়ে মসলা জাতীয় ফসল জিরা চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে স্থানীয় ভাবে একদিকে যেমন জিরার উত্পাদন বৃদ্ধি পাবে, সেই সাথে জিরার আমদানি নির্ভরতা কমানো গেলে দেশের বৈদিশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news