আ.লীগ নেতার সঙ্গে বিরোধ ডাকাত বলে ১১ ভাড়াটেকে দিলেন পুলিশে


সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে বিরোধ ছিল তার ভবনে থাকা ভাড়াটেদের। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হৈ চৈ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে বাসায় ডাকাত হানা দিয়েছে বলে পাড়ার মসজিদে মাইকিং করান ওই আওয়ামী লীগ নেতা।পরে ভাড়াটেসহ ১১ জনকে ডাকাত বলে আটক করে পুলিশে দেয় ওই আওয়ামী লীগ নেতার লোকজন। রোববার রাত ১টার দিকে সিলেট নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করা ১১ জন হচ্ছেন- দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. রইছ আলীর ছেলে জালালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মো. তারেক আহমদ, মো. আরিফ আহমদ, হোসেন আহমদ ও মো. সাইদ ইকবাল, নগরীর দক্ষিণ কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে মো. সুহেল, দক্ষিণ সুরমা থানাধীন বরইকান্দি এলাকার মৃত সিদ্দেক আলীর ছেলে জাবেদ আহমদ, একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. ফয়জুর রহমান, শেখ ধলা মিয়ার ছেলে মো. আলী রিপন, মৃত আব্দুল মুতলিবের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন, ধলা মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মহানগরের জালালাবাদ এলাকার ২২ নম্বর গলির বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান। তার সঙ্গে বিরোধ ছিল ভাড়াটেদের। একপর্যায়ে দুইপক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ সময় বাসায় সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কিছু লোক মহড়া দেয়। কিছুক্ষণ পরই পাড়ার মসজিদের মাইকে দুদফা গলিতে ডাকাত ঢুকেছে বলে মাইকিং করা হয়।এ সময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই বাসা থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেন। পরে ১১ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান বলেন, বাসায় আমার মা, স্ত্রীসহ সন্তানরা ছিল। হঠাৎ কিছু ডাকাত এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকার চেষ্টা করে। আমি দরজা খুলে না দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসার চারপাশে হামলা চালায়। পরে আমি মসজিদের মাইকে ডাকাত এসেছে বলে ঘোষণা দিতে বলি।আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজিত চক্রবর্তী বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১ জনকে আটক করেছি। পরে উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এদিকে বিমানবন্দর থানার পরির্দশক (তদন্ত) দেবাংশু দে জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। মূলত বাসার মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরে এ ঘটনাকে মাইকে ডাকাতি বলে প্রচার করা হয়, যা সত্য নয়। বিষয়টি মেয়র মহোদয় ও স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধান করেছেন।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news