বাংলাদেশ

লালমোহনে গাছে গাছে ছেঁয়ে গেছে সোনালী রঙের আমের মুকুল

গাছ 37 2402241011
print news

ভোলা প্রতিনিধি : বৈচিত্র্যময় রূপ ও ঋড় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। ঋতুর মধ্যে সবচেয়ে শেষ ঋতুকে বলা হয় ঋতুরাজ বসন্ত। বাংলা ফাল্গুন ও চৈত্র এই দুই মাস বসন্ত কাল। শীত ঋতু শেষ হয়ে বর্তমানে চলছে বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঋতু বসন্ত। প্রকৃতির সৌন্দয্যের অন্ত নেই বসন্তকালে। প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সাজে এই ঋতুতে। গাছের পাতা ঝড়া এবং নতুন পাতা জন্মানো, বিভিন্ন গাছের ফুল ও ফলের সমাহার থাকে এই ঋতুতে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে এখন রাতের বেলায় কখনো শীত বা দিনের বেলায় কখনো গরম লাগছে। বইতে শুরু করেছে দক্ষিনালী হাওয়া।
বসন্ত ঋতুর শুরু থেকেই ভোলার লালমোহনের আমগাছগুলো দেখা দিয়েছে, সোনালী রঙয়ের মুকুল। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে আমবাগানের এলাকাগুলো। বাগানে মৌমাছির দল গুনগুন শব্দ করে মুকুলের থেকে মধু সংগ্রহ করতে দেখা যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার আমের বাগান গুলোতে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বাসা বাড়িতে রোপণ করা আম গাছগুলোতে দেখা গিয়েছে সোনালী মুকুল।গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে অন্যান্য গাছের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ভাবে রোপণ করা আম গাছ রয়েছে অনেক। সেই সব গাছে এ বছর প্রচুর পরিমাণে মুকুল দেখা দিয়েছে।উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চরমোল্লাজি এলাকার মো. জাকির হোসেন জানায়, আমাদের বাগানে অন্যান্য গাছের সঙ্গে প্রায় ৩০টির মতো আম গাছ রয়েছে। এ বছর বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমের মুকুল অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। যে গাছগুলোতে আগে মুকুল আসছে সেখানে বর্তমানে গুটিগুটি আমও আসছে। ঝড়, বন্যা না হলে এবার অনেক আম হবে বলে আশা করছি।রমাগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের মুকুল। দেখলে মনে হবে সোনালী আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছের ডালগুলে। চারিদিকে ছড়াচ্ছে মুকুলের সুবাসিত মৌমৌ গন্ধ।কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামাল উদ্দিন জানান, প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও অন্যান্য গাছের সাথে আম গাছগুলো রোপন করা হয়েছে। প্রতি বছরই গাছগুলোতে আম ধরছে। তবে এবছর বৃষ্টি হওয়ার কারণে গাছগুলোতে অনেক মুকুল দেখা যাচ্ছে। সবঠিক থাকলে আশা করছি আগের বছরের তুলনায় ফলন এ বছর অনেক বেশি হবে।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, লালমোহনে এ বছর প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ বাণিজ্যিক দ্দেশ্যে চাষাবাদ করলেও অনেকেই পারিবারিক চাহিদার জন্য আম গাছ লাগিয়েছেন। এই উপজেলায় রয়েছে স্থানীয়, আম্র্রপালি, বারি-৪, বারি-৮, বারি-১১ জাতের আম। তবে আম্র্রপালি সবচেয়ে বেশি।

লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু হাছনাইন জানায়, এসব আমচাষিদের বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের উপকরণসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বিগত বছরের তুলনায় এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি। প্রতি বছরই ঝড় বন্যায় অনেক আম ঝড়ে যায়। যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে তাহলে কৃষকরা ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছি।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *