টাকার অভাবে আনন্দ ভ্রমনে যেতে পারেনি রাজাপুরের সরকারি অফিসের এক কর্মচারী


মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল : ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ব্যয় বহুল বার্ষিক আনন্দে অংশ নিয়েছে অনেকেই।এই আনন্দ ভ্রমন সুন্দরবনে ২৪ ফেব্রুয়ারী সকলে উপভোগ করলেও সৎ কর্মচারী যিনি ১৫ শত টাকা চাদাঁ দিতে না পারায় যেতে পারেন নি। তাই উপভোগ করতে পারেননি এই আনন্দ ভ্রমন। তিনি তিন কিস্তিতে আনন্দ ভ্রমনের চাঁদা দেয়ার আবেদন লিখেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দিতে পারেননি মানসম্মানের দিকে তাকিয়ে। এখনো সৎ কর্মচারী রয়েছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে। তেমনই একজন রাজাপুর এলজিইডি অফিসের অফিস সহায়ক (মাস্টার রোল) মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান আপেক্ষ করে বলেন, সকলের সব আশা পুরন হয়না ।তেমনই বার্ষিক আনন্দভ্রমন উপভোগ করতে পারি নাই কারন, বেতন পাইনা ছয় মাস যাবৎ।আমি এমনিতেই কস্টে আছি তার পরে ধার দেনা করে আনন্দ ভ্রমন করাটা আমার জন্য আরো কস্টকর হবে। কারন ধার দেনা কিভাবে পরিশোধ করবো। মিজানুর তার মনের কস্ট মনে পুষে রাখছেন। তিনি বলেন,আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সৎ ভাবে বাচঁতে পারি। তিনি আরো বলেন,দরখাস্ত লিখেও জমা দেইনি। কারন এটি নিয়ে হাসবে অনেকে, তখন আমার খারাপ লাগবে।
এ ব্যাপারে রাজপুর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর নম্বরে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
রাজপুর এলজিইডির উপজেলা উপ- সহকারী প্রকৌশলী মো: আলীমুজ্জামান খান বলেন,মিজানুর রহমান মাষ্টাররোলে কর্মরত। তাদের বেতন হয়না অনেক দিন। তবে তিনি জানান,আমিও আনন্দ ভ্রমনে যাইনি।মিজানুর রহমানতো কিছু বলেনি আমাকে।
রাজাপুর উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,কর্মকর্তাদের দু হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের থেকে পনের শত টাকা চাদাঁ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে আনন্দ ভ্রমনের জন্য ডোনেশন নেয়া হয়েছে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news