ঘুষ হিসেবে হাসঁ -নগদ টাকা নেন বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এস আই সুমন


বরিশাল অফিস : বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এস আই সুমন চন্দ্র মজুমদার।কাগজপত্রে থানার ১ নং বিটে দ্বায়িত্বরত হলেও সব বিটেই তার অবাধ বিচরন। তিনি টাকা কামানোর সকল পন্থাই অবলম্ভন করছেন।তার ঘুসের তালিকা থেকে বাদ যায়নি হাসঁও।টাকাই তার কাছে সব।টাকা নাই সেবা নাই। সরকার পুলিশকে জনতার পুলিশ এবং মানবিক পুলিশ হিসসেবে রুপান্তর করলেও তিনি টাকার পুলিশই রয়ে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ বাহিনী চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ধীরে ধীরে সেই ধরনের পুলিশের যোগ্যতা অর্জন করেছে। জনতার পুলিশে রূপান্তরিত হয়েছে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এস আই (নিরস্ত্র) সুমন চন্দ্র মজুমদার (বিপি- ৮৫০৪০৯৩০১৮) ঘুস ছাড়া কিছু বুঝেন না।তার সাথে কথা বলতেও দিতে হয় ঘুস। বড় বা ছোট মামলা, অভিযোগ বা সাধারন ডায়েরী তদন্ত করেন এস আই সুমন চন্দ্র মজুমদার। তদন্তের জন্য তাকে গাড়ি ভাড়া বাবদ ঘুষ না দিলে তদন্ত করেন না। মামলা এফ আই আর হলে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য গাড়ি ভাড়া বাবদ ঘুস না দিলে থানা থেকে লড়েন না তিনি। বাদী ও আসামীদের সাথে সখ্যতা রেখে চলেন তিনি। তার সাথে নামি দামী মাদক ব্যবসায়ীদের সাথেও রয়েছে সখ্যতা। এমন অভিযোগ ভুক্তভুগীদের।
সম্প্রতি একটি মামলার তদন্তকালে বাদীর বাড়ি যান এস আই সুমন চন্দ্র মজুমদার। বাদীর বাড়িতে হাসঁ দেখে তার হাসঁগুলো পছন্দ হয়।তিনটে হাসঁ নিয়ে চলে যান। যাওয়ার সময় বলে যান ভালো ভাবে চার্জশীট দিবো। শুধু হাসঁই নেন নি নিয়েছেন নগদ টাকাও। এই অতিগুরুত্বপুর্ন মামলার দুই নম্বর আসামীকে চার্জশীট থেকে বাদ দিয়েছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে দুই নম্বর আসামী বিদেশ তাই সেই আসামীর পরিবারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মোটা অংকের ঘুসের বিনিময়ে চার্জশীট থেকে বাদ দিয়েছেন।বাদীকে বলেছেন দুই নম্বর আসামী বাদ না দিলে মামলা ঝুলে থাকবে বহুদিন।তিনটি হাসঁ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী নিজেই।
নবগ্রাম রোডের বিলামের পোল এলাকার এক এ্যাডভোকেটের মামলা।মামলা এফআইআর করার জন্য নানান টাল বাহানা করে হাতিয়ে নিয়েছেন বাদী পক্ষ থেকে হাজার হাজার টাকা। মামলা এফআইআর হওয়ার পরে আসামীদের কাছে তিনি খবর দিলেন মামলা এফআইআরের।অপরদিকে এফআইর হয়েছে, আসামী গ্রেপ্তারের জন্য বাদী পক্ষকে গাড়ি ভাড়া বাবদ ঘুষ চেয়েছেন।ওদিকে আসামীদের থেকে ঘুস নিয়ে দিলেন দুর্বল চার্জশীট।অপরাধ গুরুতর হলেও জামিনযোগ্য ধারায় এস আই সুমন চন্দ্র আদালতে চার্জশীট দাখিল করলে আসামীরা জামিন পেয়ে যান।
এভাবে দুটো নয় অসংখ্য অভিযোগ এস আই সুমন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে। ঘুসের মাধ্যমে বাদী আসামীদের থেকে টাকা কামানোকেই পেশায় পরিনত করেছেন।অথচ পুলিশ বিভাগ ” পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাদক, জঙ্গিবাদ,নারী নির্যাতন ও অন্যান্য অপরাধ দমনের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় গঠনের লক্ষ্যে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
সেখানে এস আই সুমন চন্দ্র মজুমদার মাদক বিক্রেতা ও অপরাধীদের সাথে সখ্যতা রেখে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার কুমির হচ্ছেন। ঘুষ হিসেবে তিনি বড় অঙ্কের টাকা নেওয়ার পাশাপাশি নেন হাসঁ। অনুসন্ধানে এর প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষদের হয়রানিরও অভিযোগ আছে। মান সম্মানের কারনে এবং ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেনা।তবে তার এসব অপরাধের খবর থানায় বেশ আলোচিত। এস এই সুমনের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তার খুঁটির জোর নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভুক্তভুগী জানান, মামলার কাজে এস আই সুমনের কাছে গেলে ঘুষ দিতে হয়। তা না হলে তিনি কোনো কাজই করেন না। এমনকি কোন কথাও শোনেন না। হয়রানীর ভয়ে ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে এস আই সুমন বলেন,হাসঁ আমার খুব পছন্দ।তাই হাসঁ এনেছি।নগদ টাকার বিষয় তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ব্যস্ততা আছে বলে কল কেটে দেন।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়