অনুসন্ধানী সংবাদ

দখলদারদের দখলে কীর্তনখোলা নদী : দখল করে গড়ে তুলছে ডকইয়ার্ড, ওষুধ ও সিমেন্ট কারখানা

Barisal Nodi Dhakal PIc 21 11 21 3
print news

বরিশাল অফিসবরিশাল বিভাগের ৪২টি নদ-নদী দখল, দূষণ ও ডুবোচরের কারণে স্বাভাবিক চরিত্র হারাচ্ছে। এসব নদীর ৬২৯ কিলোমিটার ডুবোচরের কারণে নৌপথ সংকুচিত হয়ে বাড়ছে ঝুঁকি। পরিবেশ-প্রতিবেশ ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদেরা।বিশ্ব নদী দিবস। নদী রক্ষায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশাল অঞ্চলের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বর্তমানে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী  বলেন, এসব নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য ২০১৮ সালে সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ জন্য লোকবলও নিয়োগ করা হয়েছিল। বদলি হয়ে আসার পর এর অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি আর জানেন না।পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বুড়াগৌরাঙ্গ, দাড়ছিঁড়া, রামনাবাদ, আগুনমুখা, ডিগ্রিসহ সব নদ-নদী, মোহনায় সৃষ্ট অসংখ্য ডুবোচরের কারণে ব্যাহত হচ্ছে নৌ যোগাযোগ। প্রমত্ত ডিগ্রি নদের মাঝখানে বিশাল ডুবোচর জেগে ওঠায় গলাচিপা-রাঙ্গাবালীতে নৌ চলাচল হুমকিতে পড়েছে। শুধু জোয়ারের সময় চলাচল করতে পারলেও ভাটার সময় এ পথে লঞ্চ-ট্রলার কিছুই চলাচল করতে পারে না। গত কয়েক বছরে বুড়াগৌরাঙ্গ নদের চর কাজলসংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে।নদীগুলো রক্ষা করতে হলে প্রথমে এসবের হাইড্রোলজিক্যাল সমীক্ষা চালিয়ে নদীর মানচিত্র তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।পাউবো বরিশাল অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন, ‘আমরা বর্তমানে এ অঞ্চলের সব নদীর ব্যবস্থাপনার জন্য আরেকটি সার্ভে করছি। এর ভিত্তিতে প্রতিটি রিভার সিস্টেম সচল রাখতে আলাদা আলাদা প্রকল্প নেওয়া হবে। এরই মধ্যে এ ধরনের তিন থেকে চারটি প্রকল্প প্রস্তাব আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সব নদীর প্রবাহ সচল করতেই এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া হবে।’পিরোজপুরের কচা ও বলেশ্বরের অবস্থা আরও বেহাল। বলেশ্বর নদের বিশাল অংশ এখন মৃত। যতটুকু অস্তিত্ব আছে, তা-ও ডুবোচর পড়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। নৌযানসহ ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঢাকা-পিরোজপুর-বরিশাল-মোংলা বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র নৌপথ কচা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জেগে উঠছে বড় ডুবোচর। ফলে ভাটির সময় ছোটখাটো নৌযানও ডুবোচরগুলোতে আটকে যাচ্ছে।ইন্দুরকানীর চরখালী এলাকায় কয়েক দশক আগে জেগে ওঠে একটি বিশাল চর। এর ঠিক পশ্চিম পাশে টগড়া ফেরিঘাট এলাকায় কয়েক বছর ধরে জেগে উঠছে নতুন একটি চর। ডুবোচর থাকায় দেশি-বিদেশি নৌযান চলাচল এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। ভাটার সময় দেশি-বিদেশি বড় জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে ছয়-সাত বছর ধরে নৌযান চলাচল একেবারেই কমে গেছে। একইভাবে দখলের কারণে বরগুনার খাকদোন নদটি মৃত্যুর প্রহর গুনছে। নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর সীমিতভাবে খনন করে এর কিছু অংশ সচল রেখে নৌ চলাচল স্বাভাবিক রাখলেও নদটির পূর্বাংশে প্রায় ২০ কিলোমিটার মৃতপ্রায়।

noo

কীর্তনখোলা নদীর দূষণ নিয়ে গবেষণা :

কীর্তনখোলা নদীকে ঘিরে গোড়াপত্তন হয়েছিল বরিশাল শহরের। দখল-দূষণে প্রতিনিয়ত জৌলুস হারাচ্ছে কীর্তনখোলা। দুই তীরে ডকইয়ার্ড, গোডাউন, কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনার কারণে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে নদী। এতে নদী তার স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি হারাচ্ছে। অন্যদিকে আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনা গড়ে না ওঠায় উন্মুক্ত জায়গায় ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এসব বর্জ্য ড্রেন, নালা হয়ে খালের পানিতে গিয়ে মিশছে। সেই খালের পানি যাচ্ছে কীর্তনখোলায়। এতে এই নদীর পানিও দূষিত হচ্ছে।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি জার্নালে কীর্তনখোলা নদীর দূষণ নিয়ে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধে নদীর পানিতে অ্যান্টিবায়োটিক দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া খালগুলোর অবস্থাও খারাপ। ময়লা-আবর্জনা ফেলা ও সংস্কারের ভাবে ক্রমশ সরু হচ্ছে।এসব থেকে সহজেই ধারণা করা যায়, ধান-নদী-খালের দেশ বরিশালের সামনে বড় বিপদ আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনে যে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয় তাহলে বরিশালের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এ বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হলে খাল-নদী দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বরিশালকে বাঁচাতে দখলদারদের প্রতিরোধ এবং দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

কীর্তনখোলা দখলের মচ্ছব:

দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রধান নৌরুট হলো পায়রা, বিষখালী ও কীর্তনখোলা নদী। এ তিন নদীর সঙ্গে ঢাকা ও বঙ্গোপসাগরের সরাসরি নৌ যোগাযোগ থাকায় এ নৌপথ খুব গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দ্বিতীয় শ্রেণির নৌপথ হিসেবে স্বীকৃত পায়রা নদীর বরগুনা অংশে চরপাড়ায় ১ কিলোমিটার, বুড়িরচরে ৫ কিলোমিটার, লোচা থেকে শুরু করে ওয়াপদা স্লুইসগেট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার, জাঙ্গালিয়ায় ২ কিলোমিটার, ডালাচারা থেকে তিতকাটা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার ও কাঁকচিড়া থেকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল ডুবোচর রয়েছে। বরগুনার আমতলী ফেরিঘাট এলাকায় কয়েক কিলোমিটারজুড়ে বেশ কয়েকটি ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ স্থান দিয়ে ভাটার সময় ফেরিসহ কোনো নৌযান চলাচল করতে পারছে না। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর অবস্থাও একই। পাঁচ হাজারের বেশি দখলদার নদীটি গিলে খাচ্ছেন। এর মধ্যে চার হাজারের বেশি দখলদারের নাম আছে খসড়া তালিকায়। এতে নদীর দুই পাড় সংকুচিত হচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে নদীর জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতি।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, ‘নদী আমাদের প্রাণ ও সংস্কৃতির অংশ। কেননা, নদীর প্রবাহের সঙ্গে অনেক উপকারী উপাদান আছে, যার মাধ্যমে নদী, ভূমি ও প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের মধ্য দিয়ে জলজ, প্রাণিজ উদ্ভিদ, প্রাণী, কৃষি ও জীবন-জীবিকাকে সমৃদ্ধ করে। তাই নদী না বাঁচলে আমাদের প্রাণপ্রবাহ থমকে যাবে।’ নদীগুলো রক্ষা করতে হলে প্রথমে এসবের হাইড্রোলজিক্যাল সমীক্ষা চালিয়ে নদীর মানচিত্র তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বরিশাল নগরের পশ্চিম ও পূর্ব, দুই পাড়েই চলছে দখলের মচ্ছব। নদীতে জেগে ওঠা রসুলপুর চর, মোহাম্মদপুর চর, দপদপিয়ার চর, কর্ণকাঠি চর, পলাশপুর চর, খোন্নারের চর, বাড়িয়ার চর ও দপদপিয়া ফেরিঘাট-সংলগ্ন এলাকা দখল করেছেন প্রভাবশালীরা। কেউ নদীর পাড়-সীমানা দখল করে গড়ে তুলছেন বিভিন্ন স্থাপনা। আবার কেউ নদীর তীর দখল করে গড়ে তুলছেন ইট, বালু, পাথর ও কয়লা বিক্রির ডিপো ও লঞ্চ তৈরির ডকইয়ার্ড কিংবা ওষুধ ও সিমেন্টের কারখানা।

 

barisal as 20220928102556

দখলদারের দখলে কীর্তনখোলা নদী

বরিশালসহ গোটা দক্ষিণ অঞ্চলের নৌ যোগাযোগ ও প্রাণ-প্রকৃতির আধার কীর্তনখোলা নদী। পাঁচ হাজারের বেশি দখলদার নদীটি গিলে খাচ্ছেন। এর মধ্যে চার হাজারের বেশি দখলদারের নাম আছে খসড়া তালিকায়। এতে নদীর দুই পার সংকুচিত হচ্ছে। হুমকিতে পড়ছে নদীর জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতি।বরিশাল নগরের পশ্চিম ও পূর্ব—দুই পারেই চলছে দখলের মচ্ছব। নদীতে জেগে ওঠা রসুলপুর চর, মোহাম্মদপুর চর, দপদপিয়ার চর, কর্ণকাঠী চর, পলাশপুর চর, খোন্নারের চর, বাড়িয়ার চর ও দপদপিয়া ফেরিঘাট-সংলগ্ন এলাকা দখল করেছেন প্রভাবশালীরা। কেউ নদীর পাড়সীমানা দখল করে গড়ে তুলছেন বিভিন্ন স্থাপনা। আবার কেউ নদীর তীর দখল করে গড়ে তুলছেন ইট, বালু, পাথর ও কয়লা বিক্রির ডিপো ও লঞ্চ তৈরির ডকইয়ার্ড কিংবা ওষুধ ও সিমেন্ট কারখানা।বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, কীর্তনখোলা নদীর পুরোনো ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে দখলদারের কারণে। আগে কীর্তনখোলা নদীর প্রশস্ত ছিল এক কিলোমিটার। তা দিনে দিনে দখল হয়ে সংকুচিত হয়েছে। কীর্তনখোলা দখল প্রতিরোধ করা না হলে বরিশাল নগর বিপন্ন হবে। কেননা, নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই জীবন্ত সত্তা রক্ষায় প্রশাসনিক উদ্যোগ দ্রুত প্রয়োজন। সব দখলদার উচ্ছেদ করে কীর্তনখোলা নদীকে পুরোনো ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনা হোক, এটাই তাঁদের চাওয়া।স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কীর্তনখোলা নদীর বরিশাল নগর প্রান্তে আশির দশকে ২৩ একর জমি নিয়ে জেগে ওঠে রসুলপুর চর। এরপর যে দল ক্ষমতায় এসেছে, সে দলের প্রভাবশালীরা চর দখল করে চলেছেন। চরটির আয়তন বেড়ে ৫০ একরে পরিণত হয়। সেখানে বহুতল ভবন থেকে শুরু করে মাছের ঘের, মুরগির ফার্ম, বালুর ব্যবসা, ডকইয়ার্ড ও ছোট ছোট ঘর করে তা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্লট আকারে বিক্রি করা হচ্ছে সেখানকার জমি। খোন্নারের চরে আছে দুটি ইটভাটা। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় চর ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নদীর তীর দখল করে নির্মিত হচ্ছে পাকা স্থাপনা। নগরের মুক্তিযোদ্ধা পার্ক থেকে ৩০ গোডাউন এলাকা পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে পাড় দখল করে।আইন অনুযায়ী, নদীর দুই তীরের যে অংশ শুষ্ক মৌসুমে চর পড়ে এবং বর্ষা মৌসুমে ডুবে যায়, তাকে ফোরশো বলা হয়। ওই ফোরশো এলাকায় কারও অধিকার থাকে না। কেউ এ জমি দখল করলে তিনি দখলদার হিসেবে চিহ্নিত হন।

 সরেজমিনে দেখা যায়, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলী মৌজার অধীন পূর্ব রূপাতলী এলাকার খলিফাবাড়ি থেকে উত্তরে কাটাদিয়া খাল পর্যন্ত কীর্তনখোলার পশ্চিম তীরে প্রায় দেড় কিলোমিটার ফোরশো দখল করা হয়েছে। ‘স্বপন মিয়ার ডক’ নামে পরিচিত ওই ডকইয়ার্ডে কাজ চলছে। ডকইয়ার্ডটির পাশেই নির্মিত হয়েছে আধা পাকা পোলট্রি খাবারের গোডাউন। পাশেই কয়লার ডিপো থেকে ট্রাক ভরে কয়লা নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, বরিশাল নৌবন্দরের উত্তরে আমানতগঞ্জ খাল থেকে দক্ষিণের রূপাতলী সিএসডি গোডাউনের খালের দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫৭০ কিলোমিটার কীর্তনখোলার তীর বিআইডব্লিউটিএর। বাকি অংশ জেলা প্রশাসনের। তবে বন্দরসংলগ্ন নদীর পূর্ব ও পশ্চিম তীরে উচ্চ জলরেখা থেকে তীরের দিকে ৫০ গজ পর্যন্ত উভয় তীরে ৩৬ দশমিক ৩০ কিলোমিটার ফোরশো আছে, যার অর্ধেকই বেদখলে চলে গেছে। কীর্তনখোলার তীর দখলকারী ৪ হাজার ৩২০ জন অবৈধ দখলদারের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছে বিআইডব্লিউটিএ।নদীর তীরের খলিফাবাড়ি এলাকায় মেহগনিগাছ দিয়ে পাইলিং দিয়ে ব্লক ব্যবহার করে বালু ও মাটি ফেলে ভরাট করেছেন স্থানীয় রাইভিউল কবির নামের এক ব্যক্তি। সেখানে তিনি ইট, বালু, পাথর বিক্রির ডিপো ও লঞ্চ তৈরি-মেরামত ডকইয়ার্ড গড়ে তুলেছেন। ব্লক দিয়ে ডকইয়ার্ডের মধ্যে একাধিক দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে এখানে রাইভিউল কবির তীরে ইটভাটা করেছিলেন। প্রশাসনিক চাপে ওই ইটভাটা বন্ধ করেন।পূর্ব রূপাতলী এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধান গবেষণা রোডের পাকার মোড় এলাকায় কীর্তনখোলা তীরের খলিফাবাড়ি পয়েন্ট থেকে গাইড ওয়াল করে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশে এই বালু ভরাট করা হয়েছে। এরপরও কয়েক হাত দূরে বাঁশ ও লাঠির বেড়া দিয়ে ওই অংশও দখল করেছেন। রাইভিউল কবির নানা কৌশলে কাগজপত্র তৈরি করে কীর্তনখোলা তীরের বিশাল অংশের মালিক হয়েছেন। এখন নদীর অংশ দখল করে আয়তন বাড়াচ্ছেন। দুই বছর আগে নদীর তীরের ওই অবৈধ দখল গুঁড়িয়ে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।অভিযোগের বিষয়ে রাইভিউল কবির বলেন, খলিফাবাড়ি থেকে কাটাদিয়া খাল পর্যন্ত কীর্তনখোলা তীরে তার প্রায় ১৭ একর রেকর্ডীয় সম্পত্তি আছে। যেখানে পাইলিং দেওয়া হচ্ছে, সেখানে তাঁদের একটি দাগে ৫৯ শতাংশ জমি ছিল। এখন আছে ২৫ শতাংশ। বাকিটা নদীতে ভেঙে গেছে। ভাঙন ঠেকাতেই পাইলিং দিয়ে মাটি ফেলা হচ্ছে।জেলা প্রশাসক  বলেন, বিআইডব্লিউটিএকে সঙ্গে নিয়ে দখলদারদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলেই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হবে। পূর্ব রূপাতলী এলাকায় কীর্তনখোলা দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নদীতীরে কারও ব্যক্তিগত জমি থাকলে আইন অনুযায়ী তিনি সেখানে কোনো স্থাপনা করতে পারেন না। নদী দখল করা বেআইনি। দখলদারের বিরুদ্ধে সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নগরের আমানতগঞ্জ খাল থেকে রূপাতলী দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫৭০ কিলোমিটার কীর্তনখোলার তীর বিআইডব্লিউটিএর। নদীর তীরের দিকে ৫০ গজ পর্যন্ত উভয় তীরে ৩৬ দশমিক ৩০ কিলোমিটার ফোরশো আছে, যার অর্ধেকই দিনে দিনে বেদখল হয়ে গেছে।

নগরীর কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে স্রোতস্বিনী কীতর্নখোলা নদী। ঐতিহ্যবাহী এই নদীর আটটি পয়েন্টে ১০ ওষুধ তৈরি কারখানাসহ বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্য ঢালা হচ্ছে। ফলে ধীরে ধীরে দূষণের কবলে পড়ছে এই স্রোতস্বিনী। দুই পাড়ে থাবা বসিয়েছে প্রায় চার হাজার ৩২০ দখলদার। গত দুই যুগে এই নদী রক্ষায় আন্দোলন করছেন পরিবেশবাদীরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সাল থেকে দখলদারদের তালিকা প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। যদিও সেই তালিকা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

image 601397 1664693462

৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ কীর্তনখোলা নদী। এই নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে হাজারো পরিবার। নৌপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ, বন্যা থেকে রক্ষাসহ এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কীর্তনখোলা নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। তবে দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এ নদী। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর দুই তীর দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছে বহু স্থাপনা। আবার নগরীর ছয়টি পয়েন্টে ১০টি ওষুধ কোম্পানির বর্জ্যও ফেলা হচ্ছে এ নদীতে। এতে বিষাক্ত হয়ে পড়ছে এ নদীর পানি। সম্প্রতি বরিশাল নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন এক জরিপে নগরীসংলগ্ন আটটি পয়েন্টে নদী দখল এবং দূষণের চিত্র পাওয়া গেছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ বছর পর কীর্তনখোলা নদী হারিয়ে যাবে।

শুধু নদীবন্দর এলাকাই নয়, নগরীসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর আটটি পয়েন্টে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দূষণ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। নগরীর প্রবহমান ২৪টি খাল দূষণে নালা হয়ে গেলেও সেগুলো দিয়ে নগরীর সব বর্জ্য-ময়লা আর বড় ছোট কলকারখানার সব রাসায়নিক বর্জ্য মিশছে কীর্তনখোলা নদীতে। বিভিন্ন সময় জেলা প্রশাসক সভাকক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে শিল্পদূষণ, পরিবেশ বিপর্যয় ও জনদুর্ভোগ নিরসনে নিয়ে আলোচনা সভা ও সেমিনারে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তাদের দাবি, এমনটা চলতে থাকলে কীর্তনখোলার পানি ঢাকার বুড়িগঙ্গার মতো অবস্থা হবে। কয়েক দশক ধরে চেষ্টার পরও ওষুধ কারখানাগুলো নগরীর বাইরে স্থানান্তর না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে পরিবেশবাদীদের মাঝে। পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের গাফিলতি। তারা শুধু কারাখানা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেওয়ার মধ্যেই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে। আজ পর্যন্ত কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কারাখানা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে রহস্যজনকভাবে বন্ধ থাকা ইটিপিগুলো চালু হয়ে যায়। এসব কারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা এখন প্রশ্নবিদ্ধ।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,  অপসোনিন কেমিক্যালের এবং ২৫ জুলাই গ্লোবাল ক্যাপসুলের তরল বর্জ্যরে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে যে মাত্রা পাওয়া গেছে তা সবই নদীর জলজ প্রাণিকুল ও জীববৈচিত্র্যের সহনীয় মাত্রার বাইরে। অপসোনিনের এ দুটি কারখানার বর্জ্য শোধনাগার বিধিমতো স্থাপিত হয়নি। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে উল্লেখ রয়েছে, তরল বর্জ্যরে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে প্রতি লিটারে ৪ দশমিক ৫ থেকে ৮ মিলিগ্রাম। অপসোনিন কেমিক্যাল কারখানার নির্গত তরল বর্জ্যে আছে ৪ দশমিক ১ মিলিগ্রাম। সিওডি’র অক্সিজেন চাহিদার সহনীয় মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম হলে নির্গত বর্জ্যে আছে ২১০ মিলিগ্রাম। আবার দপদপিয়া গ্লোবাল ক্যাপসুলের বর্জ্যরে দ্রবিভূত অক্সিজেনের মাত্রা আছে ৩ দশমিক ২ মিলিগ্রাম। সিওডি’র মাত্রা ২৪৮ মিলিগ্রাম।

পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সমন্বয়ক লিংকন বায়েন বলেন, ওষুধ কারখানার বর্জ্য কীর্তনখোলা নদীতে পড়ছে। এসব কারখানা নগরীর মধ্য থেকে বহু বছর আগেই সরে যাওয়ার কথা থাকলেও বহাল থেকে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণ করছে। নগরবাসীর একটাই প্রশ্ন, এসব কারখানা নগরী থেকে কবে অপসারিত হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) জেলা সমন্বয়কারী মো. রফিকুল আলম বলেন, নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খাল এবং কীর্তনখোলা নদী দূষণের জন্য বরিশালের কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানা এগিয়ে রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের চাপের মুখে এসব কারখানায় ইটিপি (বর্জ্য শোধনাগার) স্থাপন করা হলেও সেগুলো নিয়মিত চালু রাখা হয় না। কারখানা থেকে রাসায়নিক বর্জ্য সরাসরি খাল ও কীর্তনখোলায় ফেলা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম যেদিন পরিদর্শনে যায়, সেদিন ইটিপি চালু রেখে সবকিছু ঠিকঠাক দেখানো হয়।

কীর্তনখোলা নদীর তীর ঘুরে দেখা গেছে, যে যার মতো করে এই নদী দখল করে নিয়েছে। কেউ নদীর পাড়-সীমানা দখল করে গড়ে তুলছে বিভিন্ন স্থাপনা, কেউ আবার নদীর তীর দখল করে গড়ে তুলছে ইট, বালু, পাথর ও কয়লা বিক্রির ডিপো ও লঞ্চ তৈরির ডকইয়ার্ড। আইনানুযায়ী, নদীর দুই তীরের যে অংশ শুষ্ক মৌসুমে চর পড়ে এবং বর্ষা মৌসুমে ডুবে যায়, তাই হচ্ছে ফোরশোর। ওই ফোরশোর এলাকায় কারও অধিকার থাকে না। কেউ এই জমি দখল করলে তিনি দখলদার হিসাবে চিহ্নিত হবেন। এ বিধিভঙ্গ করে কীর্তনখোলা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জেগে ওঠা রসুলপুর চর, মোহাম্মদপুর চর, দপদপিয়ার চর, কর্ণকাঠি চর, পলাশপুর চর, খোন্নারের চর, চরবাড়িয়ার চর এবং দপদপিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকা দখল করেছেন প্রভাবশালীরা। তবুও কীর্তনখোলার তীর দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে নৌবন্দর প্রতিষ্ঠার জন্য কীর্তনখোলা নদীর তীরের ৩৬ দশমিক ৮০ একর জমি বিআইডব্লিউটিএর অনুকূলে হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু ৫৬ বছরেও সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে অধিকাংশ সম্পত্তি নামে-বেনামে দখল করে নেন প্রভাবশালীরা। নৌবন্দরের উত্তর দিকে জেল খালসহ রসুলপুর এলাকায় ২৮ একরের মধ্যে ২০ একর বেদখল হয়ে আছে। বরিশাল নৌবন্দরের উত্তরে আমানতগঞ্জ খাল থেকে দক্ষিণের রূপাতলী সিএসডি গোডাউনের খালের দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫৭০ কিলোমিটার কীর্তনখোলার তীর বিআইডব্লিউটিএ’র। বাকি অংশ জেলা প্রশাসনের। তবে বন্দরসংলগ্ন নদীর পূর্ব ও পশ্চিম তীরে উচ্চ জলরেখা থেকে তীরের দিকে ৫০ গজ পর্যন্ত উভয় তীরে ৩৬ দশমিক ৩০ কিলোমিটার ফোরশোর রয়েছে। যার অর্ধেকই বেদখলে চলে গেছে। জানা গেছে, ইতোমধ্যে কীর্তনখোলার তীর দখলকারী চার হাজার ৩২০ জন অবৈধ দখলদারের খসরা একটি তালিকা তৈরি করেছে বিআইডব্লিউটিএ। তবে বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ১০ একর ৮২ শতাংশ জমি পুরোপুরি হাত ছাড়া হয়ে যায় বিআইডব্লিউটিএ’র। এ ছাড়া পোর্ট রোডের মৎস্য আড়ৎসংলগ্ন এলাকার কয়েক একর জমি মৌজার নাম পরিবর্তনের কারণে বেদখলে রয়েছে। একইভাবে ১ একর ২৭ শতাংশ জমির উপরে বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোতি ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা পার্ক স্থাপন করে বরিশাল সিটি করপোরেশন। যদিও বিআইডব্লিউটিএ’র দাবি পার্ক নির্মাণ হলেও এই জমি তাদের দখলে রয়েছে। এ ছাড়া ২ একর ৫৭ শতাংশ জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে যে ফোরশোর (নদীর লো ওয়াটার এবং হাই ওয়াটার লেভেলের মাঝ থেকে ৫০ ফিট নদীর পার পর্যন্ত) রয়েছে তার শতকরা ৩০ ভাগও বিআইডব্লিউটির নিয়ন্ত্রণে নেই। এই ভূমি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে বিভিন্ন মহল থেকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভোগদখল করে আছে। এসব ভূমিদসু্য অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভিন্ন কারখানা তৈরি করে তার বর্জ্য ফেলে কীর্তনখোলা নদীর পানি দূষিত করছে। নগরীর অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ওষুধ কারখানা, প্লাস্টিক কারখানার বর্জ্য ড্রেনের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে নদীতে। নদীতীরে গড়ে ওঠা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, তেল ডিপো, মৎস্য ও কাঁচাবাজারের বর্জ্য কীর্তনখোলার পানি দূষিত করে তুলছে। ঢাকা-বরিশাল রুটসহ অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলো বরিশাল নৌবন্দরে নোঙর করে ধোয়ামোছা থেকে শুরু করে লঞ্চের যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা ফেলছে কীর্তনখোলার পানিতে। ফলে পানির সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নৌবন্দর এলাকার।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌবন্দর ও পরিবহণ বিভাগের উপ-পরিচালক বলেন, নদীর জায়গা উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে জরিপ করা হয়েছে। এরপর করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল পরবর্তী কার্যক্রম। তবে সম্প্রতি আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এক মিটিংয়ে বলেছি এই দুই বছরে নতুন করে আরও কিছু দখলদার দখল দিয়ে বসেছে। তাদের তালিকায় হালনাগাদ করে নতুন তালিকা বানানোর প্রস্তুতি চলছে। সেটা হলে আমরা উচ্ছেদ অভিযানে যেতে পারব।

সম্প্রতি বরিশালে নৌবন্দর পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, নদ-নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনাসহ অবৈধ দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে নদীনালা খালগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে। বরিশাল জেলা প্রশাসক  বলেন, ইতোমধ্যে আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভিন্ন কলকারখানার মালিকদের সাথে বৈঠক করেছি। বিআইডব্লিউটিএ’র সঙ্গেও বসেছি। তারা চাইলে আমরা অভিযান চালিয়ে বন্ধ ও দখল মুক্ত করতে পারি। আমরা ওষুধ কারখানাগুলোকে ইটিপি চালুর জন্য বলেছি। কিন্তু তারা নামমাত্র চালু রাখছে। আমরা গেলেই এটি চালু হয়, আবার বন্ধ হয়ে যায়। প্রয়োজনে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এটি সচেতনতার বিষয়। তারা সবাই সরকারের কাছে দায়বদ্ধ, পরিবেশ সুরক্ষায় রেখে উৎপাদন করবে।

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *