বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এসি অধ্যক্ষের বাসায়


*কলেজের বিদ্যুৎ দিয়ে ব্যক্তিগত ভবনের গ্রীল নির্মান। *কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার। * পরীক্ষা থেকে অধ্যক্ষ নেন ১২ পয়েন্ট ।
*পরীক্ষা কমিটি পাচঁটি বানিয়ে নেন ২৫ হাজার টাকা।
মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল : বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ এহতেশামুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ লোপাট, দুর্ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ । কলেজটিতে যোগদানের পর থেকেই কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অতিষ্ঠ। অধ্যক্ষ এহতেসামকে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ঠ সকলেই। মাউশি, শিক্ষা বোর্ড, প্রশাসনসহ কলেজের সকলেই তার আচরনে বিরক্ত। যদিও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ এহতেসাম বলেছেন, এসব অভিযোগ অসত্য। বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজটিকে অধ্যক্ষ এহতেসাম নিজের সম্পত্তি মনে করে ব্যবহার করছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কলেজের এসি ব্যবহার করছেন নিজ বাসভবনে।অথচ শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত ঘামে কর্দমাক্ত হচ্ছেন।এছাড়া কলেজের বেতনভুক্ত কর্মচারী কুলসুমকে দিয়ে নিজের বাসায় কাজের বুয়ার কাজ করাচ্ছেন। এভাবেই কলেজের গাড়িটি পারিবারিকভাবে ব্যবহার করছেন।গাড়িটিতে বাসার বাজার,শশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করছেন।কলেজের বিদ্যুৎ দিয়ে কলেজের অভ্যান্তরে অধ্যক্ষের নিজস্ব কলেজ এ্যাভিনিউর বাসার গ্রীলনির্মানসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক কাজ সম্পন্ন করেছেন।কলেজটি যেন এহতেসামের বাপ দাদার সম্পত্তি।কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে চাকুরি খেয়ে ফেলার হুমকি, এসিআর খারাপ করে দিবে বলে এমন হুমকি প্রতিদিনের। তাই কেউ মুখ খুলতে নারাজ।অধ্যক্ষ এহতেসামের ওপর সবাই ক্ষুব্দ তার খারাপ ও নোংরা ব্যবহারের কারনে।
তার স্বেচ্চাচারীতার কারনে দিন দিন প্রতিষ্ঠানটির সুনাম খারাপ হয়ে এখন রসাতলে।কলেজের শিক্ষক দিয়ে মাধ্যমিকে ক্লাশ করানোর কারনে কলেজটির একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীতে এখন কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায়না ।কারন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীতে লেখাপড়া হয়না। হয়না নিয়মিত কোস ক্লাশ। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এহতেসামকে একজন অযোগ্য অধ্যক্ষ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন,তিনি যোগদানের পর গত দু বছর দশ মাসে নুতন কোন শিক্ষক আনতে ব্যর্থ হয়েছেন।পুরনো জনবল দিয়েই কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ এহতেসামের অপসারণ চান।

শিক্ষকদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই এক এক সময় এক এক আওয়ামীলীগ নেতার নাম ব্যবহার করে যখন-তখন বদলি করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি।অথচ এহতেসাম নুরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে সখ্যতা রয়েছে।বিএম কলেজে থাকাকালীন সময়ে নুরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এহতেসামুল হক। শিক্ষকদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই ভুয়া ভাউচার,কলেজের বিদ্যুৎ দিয়ে নিজ ভবনের গ্রীল নির্মান,এক পরীক্ষাকে পাচঁটি পরীক্ষা বানানো, কলেজের বিভিন্ন সভা-সেমিনারসহ অনুষ্ঠানের নামে হাজার হাজার টাকা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে তুলে নিয়েছেন তিনি। তার একাজে সহায়তা করছেন কলেজের হিসাব রক্ষক আমির হোসেন। আমির হোসেন অধ্যক্ষের কলেজ এ্যাভিনিউর বাসার কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত থেকে বাসা ভাড়া দেয়াসহ নির্মানকাজের দেখভাল করছেন।
২০২৩ সালে জাতির জনকের জন্মবার্ষিকীতে আলোকসজ্জা না করা,জাতির জনকের শাহাদাত বার্ষিকীসহ জাতীয় দিবস দায়সারাভাবে পালনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কলেজটিতে বসে শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা,প্রশাসনের সমালোচনায় থাকেন সারাদিন ব্যস্ত।
এছাড়া কেন্দ্র ফি,নিয়োগ পরীক্ষার ফি,কলেজের পরীক্ষা ফি নিজে মনগড়া নিয়ম বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন। কলেজটিতে কোন নিয়োগ পরীক্ষা হলে তিনি একাই নেন ১২ পয়েন্ট। পরীক্ষায় পাচঁটি কমিটি দেখিয়ে একেকটিতে পাচঁ হাজার করে পচিঁশ হাজার টাকা নেন অথচ পরিপত্রে পাচঁ হাজারের অধিক টাকা নেয়ার নিয়ম নেই। এভাবেই তিনি কলেজটি পরিচালনা করছেন নিজের মনগড়া নিয়ম কানুন তৈরী করে।
কলেজ শাখায় ২২ জন শিক্ষক রয়েছেন।তৃতীয় শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত ৫ জন শিক্ষক।কলেজের শিক্ষকরা মাধ্যমিকে ক্লাশ নেয় ফলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীতে ক্লাশ হয়না।এর মধ্য প্রভাবশালী শিক্ষকরা আবার মাধ্যমিকের ক্লাস নেয় কম।এছাড়া অভিযোগ রয়েছে,নতুন কারিকুলামে ট্রেনিং দিয়েছে অথচ এমন সাতজনকে কোন ক্লাশ দেয়নি অধ্যক্ষ।এরা হলেন, আবু মামুন, মাজেদা , হুমায়ুন কবির, সিরাজুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, অনামিকা সাহা ও মাজাহারুল ইসলাম। অথচ যারা ট্রেনিং নেয়নি তাদের ক্লাস দিয়েছে অধ্যক্ষ তারা হলেন, কামরুন্নাহারসহ আরো কয়েকজন।
কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন পরীক্ষাসহ প্রাকটিক্যাল বিষয়ে লাখ লাখ টাকা আয় হয়। সে টাকা থেকে অধ্যক্ষ প্রতিটি বিভাগের কাছ থেকে নিজের ইচ্ছেমত ঘুষ নিচ্ছেন। এভাবেই বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। এছাড়া যে কোনও বিলের বিপরীতে তিনি শতকরা হিসেবে ঘুষ নেন বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিযোগ, অধ্যক্ষের একগুঁয়েমি ,অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য কলেজটির মান এখন রসাতলে। অধ্যক্ষ ধরাকে সরা জ্ঞান করে স্বৈরাচারী কায়দায় কলেজকে ব্যক্তিগত সম্পদ বানানোর ফলে শিক্ষার্থীরা ছাড়পত্র নিয়ে অন্য কলেজে চলে যাচ্ছে।
অভিযোগের পাহাড় মডেল কলেজ এর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে:
অধ্যক্ষ ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে ছয় লক্ষ টাকার বেশি তুলে নিয়ে বিতর্কিত হওয়ার পর একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে অধ্যক্ষ এহতেসামুল হক। তার একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বাদ দিয়ে জুনিয়র শিক্ষককে স্কুল শাখার কো-অর্ডিনেটর করার অভিযোগ:
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে স্কুল শাখার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে শরীরচর্চা শিক্ষক রনজিত কুমার সাহা কে মনোনীত করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও কলেজ শাখার সকল শিক্ষকদের মধ্যে পদমর্যাদায় শরীরচর্চা শিক্ষকের অবস্থান সবার নিচে হওয়া স্বত্বেও অধ্যক্ষ মহোদয় স্কুল শাখার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে রনজিত কুমার সাহা কে একক সিদ্ধান্তে মনোনয়ন করেছেন। যেটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অন্য সকল শিক্ষকদের অসম্মান করার শামিল। এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষক জানান ২০১৭ সালে তৎকালীন অধ্যক্ষ মাধ্যমিক শাখার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে তৎকালীন সহকারী অধ্যাপক জনাব আবু মামুন ও সহকারি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে মাধ্যমিক শাখার তৎকালীন সহকারী শিক্ষক পুনিল সরকারকে এবং প্রাথমিক শাখার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে তৎকালীন সহকারী অধ্যাপক জনাব মাসুম বিল্লাহ ও সহকারি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে প্রাথমিক শাখার তৎকালীন সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহজাহানকে মনোনীত করে মডেল স্কুল এন্ড কলেজে কো-অর্ডিনেটর প্রথা চালু করেছিলেন। মাঝখানে শিক্ষা কার্যক্রম অনেক দিন বন্ধ থাকায় কো-অর্ডিনেটরদের কার্যক্রম ছিল না বললেই চলে কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার কিছু দিন পরেই কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তার ইচ্ছেমত জুনিয়র একজনকে স্কুল শাখার কো-অর্ডিনেটর বানিয়ে দিয়েছেন এতে আমরা হতাশ ও মর্মাহত হয়েছি। অধ্যক্ষ মহোদয়ের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানের চেইন অফ কমান্ড ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জনাব রনজিত কুমার সাহা সাংবাদিকদেন জানান, এটি অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, আমি কাজকর্ম ভালো পারি বলে অধ্যক্ষ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে এতে অন্য শিক্ষকদের সমস্যা হলে আমার কি করার আছে। আপনার আর কিছু জানার ইচ্ছে থাকলে অফিসে যোগাযোগ করেন।
অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ:
বর্তমান অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন অভিভাবক তার সাথে দেখা করে সমস্যার কথা বলতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন আমি বরিশালের প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যাবসায়ি। কিছু দিন আগে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন জরুরী প্রয়োজনে আমার সন্তানকে আনার জন্য স্কুলে গিয়েছিলাম এবং অধ্যক্ষের অনুমতি ব্যতিত কলেজে প্রবেশ করায় অধ্যক্ষ সাহেব আমাকে চরম অপমান ও লাঞ্ছিত করেছে। নিজের সম্মানের কথা ভেবে কাউকে কিছু বলতে পারিনি কিন্তু ততদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এই অপমানের কথা ভুলতে পারবো না।
কলেজের কর্মচারীদের দিয়ে বাসার ও ব্যাক্তিগত কাজ করানোর অভিযোগ:
কলেজের কর্মচারীদের দিয়ে বাসার বুয়ার কাজ সহ সব ধরনের কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ এহতেশামুল হক এর বিরুদ্ধে। না প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মচারী জানান কলেজ সরকারি হওয়ার পরে কলেজে কর্মচারীর সংখ্যা এমনিতেই আগের চেয়ে কম। কলেজে কাজের চাপ অনেক কলেজের কাজ করেই আমাদের হিমসিম খেতে হয় তার পর অধ্যক্ষ স্যারের বাসার কাজ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মত কিন্তু কিছু বলার বা করার নেই বলে যখন যা বলে তখন তাই করতে হয়। প্রতিবাদ করলে চাকরি থাকবে না তাই কিছু বলার সাহস পাইনা। এমনিতেই কথায় কথায় স্যার বলেন এসিআর ভালো না দিলে চাকরি স্থায়ী হবে না, কেহ বেশি বুঝলে তার বিরুদ্ধে খারাপ এসিআর দিয়ে চাকরি খেয়ে দিব। এই কথা বলতে গিয়ে একজন কর্মচারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন ভাই এই সব আবার পত্রিকায় লিখবেন না তাহলে আমাদের চাকরি থাকবে না।
শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার:
শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই তিন জন সিনিয়র শিক্ষক জানান অধ্যক্ষ মহোদয়ের ছোটখাটো বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তার সাথে বলা বলতে গেলে ও তিনি শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তার প্রিয় তিন-চার জন শিক্ষক নিয়েই তিনি বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যেটি প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক মনে হচ্ছে না। একজন শিক্ষক জানান বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয় যোগদানের কিছু দিন পরে আমি এক শুক্রবার পারিবারিক কাজে ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে অধ্যক্ষ মহোদয় এত খারাপ আচরণ করেন যা ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য। বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয় এর কাছে শুধুমাত্র মাসুম বিল্লাহ, রনজিত কুমার সাহা ও সুশান্ত অধিকারীর চাওয়া পাওয়ার দাম আছে, কলেজে ওনারা তিন জন যা চায় তাই হয়। আর একজন শিক্ষক বলেন অধ্যক্ষ মহোদয় কোন নিয়মনীতি না মেনে ওনার পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করে আপনারা গত ছয় মাসের কমিটিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন ঘুরে ফিরে চার-পাঁচ জন ব্যক্তি বারবার কমিটিতে
আসছে। আগে একটা নির্দিষ্ট নিয়মে কমিটি গঠন হতো এখন আর তা হয় না যারা অধ্যক্ষ মহোদয়ের আশীর্বাদ পুষ্ট শুরু তারাই কমিটিতে থাকে। বর্তমানে ভর্তি কমিটি ও পরীক্ষা কমিটির মত লাভজনক কমিটিতে ও ঘুরে ফিরে একই ব্যক্তিদের দেখা যায় এতে অন্য সকল শিক্ষকরা আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বেশিরভাগ শিক্ষকরাই বলেন বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয় যা কিছু বলে তাই শুনতে হচ্ছে। তিনি কথায় কথায় খারাপ এসিআর দেওয়ার হুমকি দেয়। এহতেসামের অসৌজন্যমূলক আচরণ এর প্রতিবাদ করে নতুন করে আবার ঝামেলায় পড়তে চাই না। অধ্যক্ষ মহোদয় মাঝে মাঝে শিক্ষকদের সাথে যে আচরণ করে সেটা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো দূরের কথা কোন সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না। এমনকি কুলিরাও এমন আচরন করেনা।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়