বরিশাল সিটি করপোরেশন ও মেয়রকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের নেতৃত্বে কাজী মোয়াজ্জেম


মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল : বরিশাল নগরীতে গত পাচঁ বছরে উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন হয়নি।বর্তমান মেয়র দ্বায়িত্ব নেয়ার পরেই একের পর এক উন্নয়ন কাজে হাত দিয়েছেন। নগর ভবনের দীর্ঘ দিনের বিশৃংখল পরিবেশকে শৃংখলায় নিয়ে এসেছেন।চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতাসহ সকল সংকট সমাধানের জন্য যখন কাজ করছেন তখনই নগর ভবনের এক সময়ের দাপুটে কর্মকর্তা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন সিটি মেয়র ও সিটি করপোরেশন নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। একের পর এক মিটিং করে যাচ্ছেন গোপনে।তথ্য পাচার করছেন কৌশলে।
কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনকে ওএসডি করার কারনেই ক্ষিপ্ত নগরভবনের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি।সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সময়কালে তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা,করধার্য্য শাখার এ্যাসেসর,সম্পত্তি শাখার কর্মকর্তা,ট্রেড সুপারেন্টেন্ডেন্টসহ গুরুত্বপূর্ন দ্বায়িত্বে ছিলেন।ঐসময়ে দ্বায়িত্ব নিয়ে ৮জনকে চাকরিচুৎ ও ১২১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বন্ধের জন্য গুরু দ্বায়িত্ব গ্রহন করেন।
সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ দ্বায়িত্ব বুঝে দেয়ার পরে দাপুটে মোয়াজ্জেমকে ওএসডি করে বর্তমান পরিষদ শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য। ওএসডি করার পরে কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন যেভাবে সাবেক মেয়র মরহুম আহসান হাবিব কামালের সময়ে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ থেকে নগর ভবনে ধর্মঘট ও নগরীতে পরিস্কার -পরিচ্ছন্নতার কাজ বন্ধ করে দিয়ে জিম্মি করা হয় নগরবাসীকে। বেকায়দায় পরেন মেয়র কামাল। একই ভাবে ২০২১ সালের ২১ আগষ্ট সাবেক মেয়র সাদিকসহ কাউন্সিলর -কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবীতে টাউন হলের সামনে বিক্ষোভ ও নগরীতে বর্জ্য অপসারন বন্ধ করে দিয়ে নগরবাসীকে জিম্মি করেছিল।
এ দুটি ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই কাজী মোয়াজ্জেম।নিজ স্বার্থ হাসিলে এমন কোন কাজ নেই যা করতে পারেন না কাজী মোয়াজ্জেম।এজন্য নগর ভবনে তিনি হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল হিসেবে পরিচিত। ক্ষমতাধর এই মোয়াজ্জেম স্ত্রী ও নিজ চিকিৎসাসহ বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে সাবেক মেয়র থেকে ১৬ লাখ টাকা অনুদান এবং কাউনিয়ায় সিটির প্লট নিয়েছেন।এছাড়া অর্থের বিনিময়ে অনেককে প্লট পাইয়ে দিতে সহযোগীতা করেছেন।
আরও পড়ুন : বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সুনাম নষ্টের পায়তারার অভিযোগ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে
কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন সম্প্রতি বরিশালের দক্ষ ও সাহসী মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে সুত্র জানিয়েছে।মেয়রকে নগরবাসীর কাছে বিতর্কিত করার জন্য আগের মত বেছে নিয়েছে পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে।যে কোন সময় খোড়া অযুহাতে নগরীতে বর্জ্য অপসারন বন্ধ করে দিতে পারে। কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের আবুল কালাম রানা, আঞ্জুম, সোহেল, রাহাত,সোহাগ,নাসির,রেজাউল করিম রেজা ও শফিকুল আলম মিলন একটি সভা করে। সভায় বর্তমান মেয়রকে কিভাবে কোন পন্থায় বিতর্কিত ও সুনাম নষ্ট করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করেন।
ধুরন্ধর কাজী মোয়াজ্জেম বরিশাল সিটি করপোরেশনে যোগ দিয়েছিলেন মাস্টার রোলে অফিস সহকারি পদে।সময়ের তালে তাল মিলিয়ে নিয়েছেন একের পর এক পদোন্নতি।এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি কোন বিধি -বিধান।কাজী মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে নগর ভবনে নিয়মিত অফিস না করা,অফিস না করে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা,মেয়রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,কাউনিয়ায় প্লট নেয়া,অবৈধভাবে পদোন্নতি,বিগতদিনে কর্মচারীদের চাকরিচু্ৎসহ গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বিগত মেয়রের সময়কালে নীপিড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আপনার সাথে কথা বলবোনা। প্রশাসনিক শাখায় কথা বলেন।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়