বরিশালে তিন মামলার আসামী রুপাতলীর নুরুল ইসলাম এখন জেলহাজতে


বরিশাল অফিস : প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত তিনটি মামলার আসামী মো: নুরুল ইসলাম এখন জেলহাজতে। তিনি নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ড রুপাতলী হাউজিং এলাকার বাসিন্দা। পথরোধ করে জখম করে শ্লীলতাহানী, চুরি ও খুনের হুমকি দেয়ার ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল একই এলাকার বাসিন্দা শিমু আক্তার শিমুর দায়েরকৃত মামলায় ওই দিনই জেলহাজতে যায় আসামী নুরুল ইসলাম। বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণাপূর্বক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে মো: জসিম উদ্দিন ও মো: জুয়েল মাঝি বাদী হয়ে আসামী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিমু আক্তার শিমু চলমান বছরের গত ৭ এপ্রিল বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা (নং- ১৮) দায়ের করেন। এ মামলায় আসামী করা হয় নামধারী ৫সহ অজ্ঞাতনাম ২/৩ জন। আসামীরা হলেন রুপাতলী এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, সীমা ইসলাম, শিউলী আক্তার, মিথিলা ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম। অভিযোগে উল্লেখ থাকে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আসামীরা বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিসহ ষড়যন্ত্র করে আসছে। গত ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় ইসরাত জাহান শম্পা রুপাতলী বাস মালিক সমিতির ভবনে মো: জসিম উদ্দিনের সাথে দেখা করতে যায়। কিন্তু সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় আসামীরা শম্পার উপর হামলা চালিয়ে গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ঘটনার পরই আহত শম্পাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জমি বিক্রি করার কথা বলে টাকা নিয়ে সাব-কবলা দলিল না দিয়ে টাকা আত্মাসাৎ করার অভিযোগ এনে গত ৮ এপ্রিল মো: জসিম উদ্দিন বরিশাল চীফ মেট্রােপলিটন আমলী আদালতে একটি মামলা (এমপি নং-৫৯৭) দায়ের করেছেন। আসামী হলেন নুরুল ইসলাম। মামলায় উল্লেখ রয়েছে, জমি ক্রয় করিয়ে দেয়া বাবদ আসামী নুরুল ইসলাম দফায় দফায় বাদীর কাছ থেকে সর্ব মোট ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে মূল মালিকের কাছ থেকে সাব কবলা দলিল করে দিবে বলে ঘুরাতে থাকে। পরে বাদী জানতে পারে জমির মূল মালিকের কাছ থেকে সাব কবলা দলিল আসামী নুরুল ইসলাম নিজের নামে করেছেন।
প্রতারণা অভিযোগ এনে মো: জুয়েল মাঝি বাদী হয়ে গত ২৪ এপ্রিল বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা (নং- ৭৫) দায়ের করেছেন। এ মামলায় আসামী হলেন নুরূল ইসলাম ও তার স্ত্রী সীমা ইসলাম। আসামীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। যার জিআর নং ২২৮/২৪ (কোতয়ালী), জিআর নং ২৩১/২৪ (কোতয়ালী), সিআর নং ৪৫৩/২০ (কোতয়ালী) ও সিআর নং ৯৮৫/১৭ (কোতয়ালী)। আসামীদের সাথে বাদীর ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারী ১০ বছর মেয়াদে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকার চুক্তিতে একটি আবাসিক হোটেল ভাড়ার চুক্তিপত্র সম্পন্ন হয়। বাদী নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও ৩ দফায় ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকাসহ মোট ১০ লাখ টাকা দেয়। চুক্তিপত্রে ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা উল্লেখ থাকে। কিন্তু আসামীরা সবকিছু অস্বীকার করায় বাদী উপায়ন্ত না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়