রাজাপুরের আওয়ামীলীগ নেতা আলম মাস্টারের হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে


বরিশাল অফিস : ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠী গ্রামের মোঃ আবুয়াল আহসান আলম মাষ্টার। ৬৯ বছর বয়স।তিনি একজন প্রবীন শিক্ষক। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের গালুয়া ইউনিয়নের সভাপতি।ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতিও।
৬ এপ্রিল রাতে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় কানুদাসকাঠী গ্রামের বিজিবি সদস্য খাইরুল বাশার কিসমত এবং তার পিতা শাহজাহান ফরাজী পরিকল্পিত ভাবে আমার পিতাকে হত্যার জন্য অতর্কিত হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত মোঃ আবুয়াল আহসান আলম মাষ্টারের পুত্র রাকিবুল আহসান।আহতবস্থায় রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবুয়াল আহসান আলম ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় আবুয়াল আহসান আলম মাষ্টার ৮ এপ্রিল রাজাপুর থানায় এজাহার দাখিল করলে অফিসার ইনচার্জ মুঃ আতাউর রহমান এজাহারটি ৩৪১,৩২৩,৩০৭,৩২৫,৫০৬ ধারার অভিযোগ এনে এফআইআর হিসেবে গ্রহন করে মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ফিরোজ কামালকে তদন্ত করার জন্য আদেশ প্রদান করেন। মামলার এজাহারে জনাব আবুয়াল আহসান আলম উল্লেখ করেন, আমি ৬ এপ্রিল রাত ৯টা ২০ মিনিটের সময় কানুদাসকাঠী কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় আবু নাঈমের চায়ের দোকানের সামনে রাস্তার ওপরে মোঃ খাইরুল বাশার কিসমত প্রথমে গালিগালাজ করে।আমি প্রতিবাদ করলে কিসমত ইট দিয়ে আঘাত করে। পরে কিসমত ও তার পিতা মোঃ শাজাহান ফরাজী লাঠি ও লোহার রড় দিয়ে মাথার ওপর পিটান দেয়।এছাড়া এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থান নীলা ফুলা জখম করে।হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।গুরুতর আহতবস্থায় রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মামলাটি এফআইআর হওয়ার পরেই দুই নম্বর আসামী মোঃ শাহজাহান ফরাজী আদালত থেকে জামিন নিয়ে নেয়।এক নম্বর আসামী তার কর্মস্থলে যোগদান করেন।
বিচার না পাওয়ার শঙ্কা:
একজন প্রবীন শিক্ষক, আওয়ামীলীগ নেতা ও ভদ্র মানুষ হিসেবে আবুয়াল আহসান আলম মাষ্টার পরিচিত।তার ওপর হামলার পরে দুজন আসামীর একজনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় সুষ্ঠ বিচার না পাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছে স্থানীয় লোকজন। মামলাটি এফআইআর হওয়ার পরে পুলিশের কোন তৎপরতা না থাকায় হামলাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি এবং প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার দাবীতে ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজাপুর প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে। এতে আলম মাষ্টারকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মম হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হয়।
আবুয়াল আহসান আলম মাষ্টারের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
আরও পড়ুন : রাজাপুরে ছুটিতে আসা বিজিবি সদস্য’র হামলার শিকার হলেন প্রবীন শিক্ষক
রাজাপুরে শিক্ষকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের রাজাপুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সৈয়দ হোসাইন আহম্মেদ কামাল বলেন,আমরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।একজন প্রবীন শিক্ষক ও সমাজসেবকের ওপর হামলা তা মেনে নেয়া যায়না। যদি আইনশৃংখলা বাহিনী কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে কঠিন আন্দোলন করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে বাধ্য হবো ।
এ ব্যাপারে হামলায় আহত আবুয়াল আহসান আলম মাষ্টারের পুত্র রাকিবুল আহসান বলেন,আমার পিতার ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে আহত আবুয়াল আহসান আলম মাষ্টার বলেন,আমি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করতেছি।আমার ওপর হামলাকারীদের বিচার চাই। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ কামালকে কল করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে কল কেটে দেন। হোয়াটএ্যাপসে ম্যাসেজ প্রদান করা হলে তিনি ম্যাসেজটি সিন করে কোন রিপ্লাই প্রদান করেন নি। পরে আবারো কল করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মেডিকেল সনদ পাওয়া গেলে মামলটির চার্জশীট প্রদান করা হবে বলে জানান, রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুঃ আতাউর রহমান। এ ব্যাপারে হামলাকারী মোঃ আবুল বাশার কিসমত এর মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়