খুলনার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের বেহাল দশা


ইত্তেহাদ নিউজ,খুলনা :খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জন্য খুলনা মহানগরীর মীরেরডাঙ্গায় ১৯৬৮ সালে স্থাপন করা হয় ২০ শয্যার খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল। এখান থেকে স্মল পক্স (গুটি বসন্ত), টিটেনাস, হাম ও ডায়রিয়ার মতো অতি সংক্রামক রোগের চিকিৎসাও নিয়েছেন হাজার হাজার রোগী। অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে বিপুলসংখ্যক রোগী সেবা নিয়েছেন এ হাসপাতাল থেকে। তবে হাসপাতালের হয়নি কোনো উন্নয়ন। হাসপাতালের একমাত্র ভবনটির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। ছাদের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। রোগীদের থাকার জায়গাসহ পুরো ভবনটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পক্স, হাম ও ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জন্য নগরীর খানজাহান আলী থানার মীরেরডাঙ্গা এলাকায় স্থাপন করা হয় খুলনা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল। হাসপাতালে বর্তমানে শয্যা রয়েছে ২০টি। এরমধ্যে ডায়রিয়া রোগীর জন্য ১০টি, টিটেনাস রোগীর জন্য ছয়টি আর পক্সের রোগীদের জন্য চারটি আলাদা শয্যা রয়েছে। আলাদা কক্ষও রয়েছে রোগের ধরন অনুযায়ী।
হাসপাতালটিতে ওষুধ ও স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও সংকট রয়েছে চিকিৎসকের। বিশেষ করে হাসপাতালটিতে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের স্বজনদের। পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ জনবল সংকট এবং জরাজীর্ণতার কারণে হাসপাতালের কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
হাসপাতালের রেজিস্টার তথ্য বলছে, অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার শতাধিক। অন্যান্য উপসর্গ নিয়েও বহির্বিভাগে ভর্তি রয়েছেন অসংখ্য রোগী। শয্যা কম থাকায় বেশিরভাগ রোগীকে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। সংক্রামক হাসপাতাল হলেও হাসপাতালের চত্বরে চরতে দেখা গেছে গরু-ছাগল। সংক্রামক একটি হাসপাতালের চত্বরে এভাবে ছাগল-গরু সবসময় চরে বলে জানান স্থানীয়রা। খুলনা সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন মিনা বলেন, খুলনা শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় হাসপাতালটির দিকে তেমন কেউ নজর দেন না। এখানে অনেক কিছুর সংকট রয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। তিনি বলেন, হাসপাতালটির এ বেহাল দশা সরেজমিন দেখে গেছেন স্বাস্থ্যসচিব নিজেই। পরিদর্শনকালে তিনি হাসপাতালটির উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে হাসপাতালটির মেডিকেল অফিসার ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, হাসপাতালটি জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ছাদের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। জনবল প্রয়োজনও। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দিলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়