২৬ হাজার মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার বন্ধ


ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা : ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশজুড়ে বন্ধ হয়েছে ৩২ হাজার ৯০৬ মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার। এর মধ্যে সোমবার (২৭ মে) বিকেল পর্যন্ত ৬ হাজার ৬৫৫টি টাওয়ারে নেটওয়ার্ক সংযোগ সচল হলেও ২৬ হাজার ২৫১টি টাওয়ারের নেটওয়ার্ক এখনও সচল হয়নি। বৈদ্যুতিক সংযোগ স্বাভাবিক না হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় টাওয়ার সংযোগ স্বাভাবিক হচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিটিআরসি ও অপারেটরদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বিটিআরসির তথ্যে জানা যায়, রিমালের প্রভাবে সারা দেশের ৫৮ হাজার ২৯৮টি টাওয়ারের মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৬টি টাওয়ার অচল হয়েছিল, যা মোট টাওয়ারের ৫৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৬ হাজার ৬৫৫টি টাওয়ার সচল হয়েছে। বর্তমানে ২৬ হাজার ২৫১টি টাওয়ার সচল রয়েছে, যা মোট টাওয়ারের ৪৫ শতাংশ। চারটি জেলায় অসচল সাইটের সংখ্যা পাঁচ শতাংশের নিচে থাকায় সেসব এলাকার নেটওয়ার্ক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মুক্ত ধরে নেয়া যায়। বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ আরো কয়েকটি জেলার মানুষ মোবাইল সেবা না পাওয়ার কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) জানায়, নেটওয়ার্ক দ্রুত ফিরিয়ে আনতে মোবাইল অপারেটররা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে প্রত্যাশা করেন তারা।
বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক কাজী মুস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাইট অসচল হবার কারণ দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরে আসায় সাইটগুলো সচল হচ্ছে। বিটিআরসির সমন্বয়ের মাধ্যমে টাওয়ার কোম্পানি, বিটিসিএল, আইএসপি অপারেটররা সংযোগ চালু করতে পুরোদমে কাজ করছে। আমাদের বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের অপ্রতুলতা, ব্যাকআপ হিসেবে থাকা ব্যাটারির চার্জ ও জেনারেটরের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়া।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়