অনুসন্ধানী সংবাদ

দুর্নীতির বরপুত্র বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১’র জিএম হুমায়ুন কবীর

pabis bari 1
print news

বরিশাল অফিস : বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ রুপাতলীর ‘র জিএম প্রকৌঃ মোঃ হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়।দুর্নীতি,অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারিতা,নারী কেলেংকারী,নিম্মমানের আচরনসহ এক গুচ্ছ অভিযোগের বিরুদ্ধে ফুসেঁ উঠেছে কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ঠিকাদারগন।

হুমায়ন কবির যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের পাহাড় বানিয়েছেন। নারী কেলেংকারী ও দুর্নীতিতে সমানে সমান।এছাড়া জিএমের দুর্ব্যবহারে গ্রাহক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ঠিকাদারগন অতিষ্ঠ ।সম্প্রতি লালমনিরহাট বদলী হলেও তিনি তার বদলী ঠেকানোর জন্য সকল কর্মকর্তাও কর্মচারীদের এই বদলী ঠেকাতে প্রতিবাদ ও আন্দলন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন ।কিন্তু কেউ চায়না সে এখানে থাকুক।

আরও পড়ুন:

বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র জিএমের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী-দুর্নীতি অনিয়ম’র অভিযোগ

বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ,ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না

সম্প্রতি নারীলোভী ও দুর্নীতিবাজ এই জিএমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ঠিকাদারগন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ রুপাতলীর জিএম প্রকৌঃ হুমায়ুন কবীর একজন দুর্নীতিবাজ নারী লোভী,অপচয়কারী, স্বেচ্ছাচারী।তাকে দ্রুত বরিশাল থেকে তার বদলী হওয়া জায়গায় দ্রুত চলে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এই জিএম এখানে থাকলে সমিতির সুন্র পরিবেশ বিনষ্ট হবে।হবে আন্দোলন শ্লোগান ও বিক্ষোভ। পরিস্থিতির অবনতি হলে এর দায় দ্বায়িত্ব জিএম হুমায়ুন কবিরকেই নিতে হবে।

খামখেয়ালীপনায় অতিষ্ঠ সকলে :

জি এম হুমায়ুন কবির তার ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হয়ে গেছেন।তিনি কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননা।কথায় কথায় কর্মচারীদের দূরের সমিতিতে বদলী করে দেয়ার প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করেন। তিনি গত এক বছরে ৩ জন সৎ কর্মকর্তাকে দূরবর্তি জেলায় আরইবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা প্রমাণাদী সাজিয়ে বদলী করে দিয়েছেন।এরা হলেন,এজিএম মহিউদ্দিন, এজিএম জিয়াউর রহমান ও এজিএম ইস্পিনাকে তার ইচ্ছামত দুর্নীতির কাজে ব্যবহার করতে না পেরে তাদের উপর চড়াও হয়।জিএমের কু চক্রের সহযোগী খলিল তার ভুল কাজের জন্য আরইবি থেকে শাস্তি পায়।এতে জিএম হুমায়ুন কবির সন্দেহ করে এজিএম মহিউদ্দিনকে।জিএম আর খলিল এ দুজনে মিলে তাকে চাদপুরে বদলী করেন।এজিএম জিয়াউর রহমান জিএম এর কথায় অবৈধ লাইন না করে দেয়ায় তাকে নাটক সাজিয়ে সাসপেন্ড করান।এজিএম ইস্পিনাকে জিএম সারাদিন তার সামনে বসিয়ে রাখতে চাইতেন। ইস্পিনা মহিলা হওয়ায় তাতে প্রায়ই বাধাঁ দিতেন। তাই তার সাথে সব সময় জিএম খারাপ ভাষা ও বকাবকিনকরতেন সবার সামনে। এজিএম ইস্পিনাকে মারতে আসলে সে অবস্থায় ওয়ারিং পরিদর্শক নাহিদা তাকে রক্ষা করেন। এরপর জিএম কুচক্রের মাধ্যমে নাটক সাজাতে শুরু করেন এবং ইস্পিনাকে বরিশাল-২তে বদলী করেন।এজিএম রাজুকে ব্যাংক থেকে চাদাঁ তুলে দিতে বললে তাতে সে রাজি না হওয়ায় নাটক সাজিয়ে খলিল এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্র সাজাতে থাকে। মিথ্যা ,বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক নাটক সাজিয়ে তাকে সাসপেন্ড করান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেখলেই বুঝা যাবে এটা ব্যক্তিগত আক্রোশ।

খলিল তার অধিপাত্য বিস্তার করার জন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও হেমায়েতকে অনেক দিন মুলাদী বদলী করে রাখেন।অডিটটিম এই অবৈধ কাজে আপত্তি দিলে তাকে আবার সদরে নিয়ে আসেন। জিএম হুমায়ুন বলেন আমি এমন কোন ককাজ নাই যা ককরতে পারিনা।আরইবির লোক আমার পকেটে থাকে।পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের শীর্ষ এক কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি রাতেরে দিন ও দিনকে রাত করার হুমকি দেন সকলকে।তিনি বলেন জিএম সকল ক্ষমতার মালিক। তিনি ইমাম হোসেন নামের এক সুপারভাইজারকে বিনা অপরাধে এক বছরের মধ্যে ৫ বার বদলী করেন ।তিনি ২২ নভেম্বর ৪০ জন, ২৯ নভেম্বর ৪১ জন মিটার রীডারকে বদলী করেন।

তাদের কাছে জিএম উৎকোচ দাবী করেছিলেন।উৎকোচ না দেয়ায় এভাবে গনবদলী করেন। যেই ৯ জন উৎকোচ দিয়েছে তাদেরকে ৫ দিন পর আবার অন্য জায়গায় বদলীকরেন। আবার ১১ ডিসেম্বর ১০ জনকে বদলী করেন। তাদের মধ্যে মোয়াজ্জেম তিনি খলিলের লোক। তার ১বছর হওয়ার আগেই তাকে আবার বাকেরগঞ্জ থেকে সদরে আনেন। ৪ ডিসেম্বর বদলী করা মিলনতালুকদার টাকা দিলে তাকে আবার পুর্বের জাগায় এনেছে জিএম হুমায়ুন কবির। অনৈতিক ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করার কারনে জিএম হুমায়ুনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিপিড়িত কর্মচারিরা।

জিএম হুমায়ুন কবিরের চরিত্র:

তিনি এজিএম ইস্পিনার সাথে রুচিহীন, ও নির্লজ্জ ভাষা ব্যবহার করতেন এবং খারাপ ইঙ্গিত দিতেন।যার কারণে তিনি এর প্রতিকার চেয়ে আরইবি’র চেয়ারম্যান বরাবর জিএম কর্তৃক লাঞ্চিত শিরোনামে সরাসরি আবেদন করেন যার রিসিভ নম্বর চেয়ারম্যান, ৫২০ তারিখ ২৮/১১/২০২২। তার তদন্তে আসলে জিএম মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে নিজের পক্ষে রিপোর্ট করান।সবাইকে দিয়ে তার সামনে বসিয়ে মিথ্যা সাক্ষী লেখিয়ে নেন।তাছাড়াও তিনি ইন্সপেক্টর নাহিদাকে ও সব সময় রাতে কাজ করতে বলতেন যা সবাই জানতেন। জিএম কৌশল করে খারাপ কাজের ইঙ্গিত দিতেন। তার এআহবানে সারা না দেয়ায় নাহিদাকে ছুটি দিতেন না। শেষে তাকে অসুস্থ্য থাকার পরও নিয়ম ভেঙ্গে মুলাদী বদলী করে দেন।শুধু তাইনা।তাকে সে না পেয়ে তার বিরুদ্ধে দোষ খোযার জন্য লোক লাগিয়ে সামান্য দোষখুঁজে তাকে শাস্তি দিয়ে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেন।তাকেও সেচাকুরী থেকে আউট করার পায়তারা চালাচ্ছে।একটার পর একটা তদন্ত সাজাচ্ছে। এতে ও নাহিদা রাজি না হলে তারএসিয়ার নম্বর কেটে কমিয়ে দেন। তার বাজে কাজে কেউ সারা না দিলেই তাকে দূরে বদলী করেন ও এ সিয়ার নম্বর কেটে দেন কোন কারণ ছাড়াই। তিনি বাকেরগঞ্জ অফিসের স্টাফ মিটিংয়ে বসে মাইনুল এর স্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে ঐ লাইনক্রু মিটিং এ সবার সামনে এর প্রতিবাদ করেন । এতে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে লাইনক্রুকে বের করে দেন জিএম হুমায়ুন কবিন। এ নিয়ে লাইনক্রুগণ ফুসে উঠে তারা এই জিএমকে না সরালে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিলে ডিজিএম তাদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।

জিএম হুমায়ুন কবিরের দুর্নীতি:

জিএম কয়েক দিন পরপর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের নোট দেয়ায় অন্যকে দিয়ে। অর্ধেক লেবার নিয়ে কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করায় আর বাকি টাকা তার গোপন ফান্ডে জমা রাখেন। ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তারিখে জিএম এর বিরুদ্ধে পাবলিক ক্ষুব্ধ হয়ে সমিতির অভ্যান্তরে ইটপাটকেল মারে।এই অজুহাতে তিনি পবিসের সামনেই বাড়ি সোহেল কাজী নামক একজন মিনিঠিকাদার এর কাছে থেকে ভোলা ২২৫ মেঃওঃবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার এর গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে  দশ হাজার টাকা জোর করে ও মামলার ভয় দেখিয়ে আদায় করেন। ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তারিখে একটি অভিযোগ থানায় দায়ের করে তা দিয়ে ভয় দেখায়। সেই টাকা তিনি নিজের গোপন ফান্ডে রাখেন। তদন্ত করলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। জিএম হুমায়ুন কবির সমিতির অভ্যান্তরে থাকা প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০

গাছ অনুমতি ছাড়া কেটে ফেলেন।অল্প কয়েক টার অনুমতি নিছে।সর্বশেষ তিনি গেটের সামনে সরকারী গাছ সরকারের বিনাঅনুমতিতে ২৪ জানুয়ারী দুপুরের পর কেটে ফেলেন। অফিসের সিসি ক্যামেরা দেখলে বুঝা যাবে।তার নির্বিচারে গাছ নিধনের জন্য সমিতির সুন্দর পরিবেশ আজ বিনষ্ট। বিভিন্ন কাজের সময় তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাদাঁ নেন অথচ তাদের অফিসে ঢুকতে দেয়না। তাদের বিল খলিলকে আটকিয়ে রাখতে বলেন। এ নিয়ে ঠিকাদার ও খলিল,জিএমের সাথে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। জিএম হুমায়ুনের বিরুদ্ধে সবাই ক্ষিপ্ত।কর্মচারীদেরকে শাস্তি দিতে না পারলেই তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। সেলাইনম্যান ফরিদগাজি ,সোহেল ফরাজিকে সামান্য কারণে মিথ্যা তদন্ত সাজিয়ে চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করে। আর লাইনক্রু  মো: আলমগীরকে বিনাদোষে চাকুরী থেকে বের করে দেন।তদন্তে আলমগীর নির্দোষ প্রমাণিত হলেও সে পল্লীবিদ্যুতের ড্রাইভারের ছেলে হওয়া সত্ত্বেও তাকে চাকুরিতে পূণর্বহাল করেনি। এলটিমিজানকে ও চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করে। পরে আবার টাকার বিনিময়ে তাকে আবার পূনর্বহাল করে। ফরিদ গাজী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারতে আসলে তিনি তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। ফরিদগাজীসহ শাস্তি প্রাপ্তপ্রায় ১০০ জন মিলে জিএমকে যেকোন সময়ে মারধর করতে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন সমিতির একাধিক কর্মকর্তা। নির্যাতিত ,সাধারণ ঠিকাদার ও কর্মকর্তা ,কর্মচারীরা নারী কেলেংকারী ,দুর্নীতিবাজ, অপচয়কারী, স্বেচ্ছাচারী বরিশাল পল্লীবিদ্যুৎ- ১ এর জিএম হুমায়ুন কবিরকে বরিশালে পুনর্বহাল না করে দ্রুত লালমমনিরহাটে যোগদান করার জন্য আরইবির চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

 

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *