আন্তর্জাতিক এশিয়া

বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনার তদন্ত সরকার নিজেই করতে চাইছে কেন?

971bf430 50e1 11ef 8f0f 0577398c3339.jpg
print news

বিবিসি: বাংলাদেশে সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ, নির্বিচারে গ্রেফতার ও নির্যাতনসহ অন্যান্য সহিংসতার ঘটনার “আন্তর্জাতিক তদন্ত” নিয়ে একটি আলোচনা উঠেছে।

এমন আলোচনার মূল কারণ হল, সরকারের তদন্তের ওপরে মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকা। কেউ কেউ মনে করছেন, সরকারের তদন্তে সঠিক ফলাফল আসবে না।

এদিকে, তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ইতোমধ্যে একটি ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং’ (তথ্যানুসন্ধান) কমিটি পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে তা নিশ্চিত করেছেন।কিন্তু ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি’ পাঠানোর প্রস্তাবকে এখনই স্বাগত জানাতে চায় না বাংলাদেশ।বরং, সরকার বলছে যে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনার তদন্তের জন্য যে তিন সদস্যবিশিষ্ট বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারাই তদন্ত করবে”। তবে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিশনের যদি কোনও “টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স” (কারিগরি সহায়তা) লাগে, তবে তা নেওয়া হবে।যদিও কাদের কাছ থেকে সেই কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কেউ সুনির্দিষ্ট কিছু বলেনি।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এইসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কি এই ধরনের তদন্তে যুক্ত হতে পারে? অথবা, জাতিসংঘ কি স্বাধীনভাবে তদন্ত পরিচালনা করতে পারে? যদি পারে, তবে তার প্রক্রিয়াগুলো কেমন? বা, সহিংসতার ঘটনার তদন্ত সরকার নিজেই করতে চাইছে কেন?

আন্তর্জাতিক তদন্ত নিয়ে কী হচ্ছে?

ভলকার তুর্ক গত ২৩শে জুলাই সেই চিঠিতে বলেছেন, আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং বর্তমানে চলমান গণগ্রেফতারের মতো বিষয়গুলোতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তাই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বিশ্বাস তৈরিতে সহায়তা করার জন্য কমিশন তাদের “ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল পাঠাতে প্রস্তুত”।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গত ২৯শে জুলাই ভলকার তুর্ককে তার চিঠির উত্তর দেন। সেখানে পররাষ্ট্র সচিব জানান যে এই ঘটনার “বিচারিক ও প্রশাসনিক” তদন্ত বাংলাদেশে চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “জাতিসংঘ থেকে বলেছে, কিন্তু এটি নির্দিষ্ট কিছু নয়। এটি ঢালাও একটি প্রস্তাব। সুতরাং, তাদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করবো। কিন্তু আমাদের যে কমিশনটি আছে, তাদেরকে কাজ করতে দেওয়া হোক। পরে কমিশনের যদি কোনও প্রয়োজন থাকে, সেটি আমরা দেখবো। এই মুহূর্তে আমরা সেপারেট বা প্যারালাল কিছু দেখতে চাই না বা করতে চাই না।”

মূলত, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটা ঘটনাবলীর বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে, এই মর্মে আইন মন্ত্রণালয় একটি গেজেট প্রকাশ করেছে।

গেজেটে বলা হয়েছে, “সরকার কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬-এর ৩ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ১৬ই জুলাই থেকে ২১শে জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সংঘটিত ঘটনায় মৃত্যু, সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা তদন্তের জন্য নিম্নবর্ণিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করলো।”গেজেটে বলা হয়েছে, ‘‌‘‌কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬’’ অনুসারে তদন্তকার্য সম্পন্ন করে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিশন।এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান এবং দু’জন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী।

যদিও, “বাংলাদেশে যে জুডিশিয়াল কমিশন করা হয়েছে, সেখানে অনেকগুলো বিষয়ই অনুপস্থিত আছে এবং সেগুলো নিয়ে আমাদের অসন্তুষ্টি আছে” বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

তদন্ত নিয়ে একেক জনের একেক মন্তব্য

পররাষ্ট্র সচিব বৃহস্পতিবার একাধিকবার বলেছেন যে চলমান সহিংসতার তদন্ত ওই তিন সদস্যবিশিষ্ট জুডিশিয়াল কমিশনই করবে। “জাতিসংঘের নির্দিষ্ট টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (কারিগরি সহায়তা) কিছু থাকলে অবশ্যই আমরা সেটি বিবেচনা করবো,” বলেন তিনি।

তিনি আরও জানিয়েছেন যে তার সঙ্গে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছে। “কী ধরনের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স…এটি ফরেনসিক হতে পারে, আইনি হতে পারে…এ বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে…কমিশনের যদি কোনও নির্দিষ্ট কিছু চাওয়ার থাকে বা কোনও কিছুর যদি অভাব থাকে, সেটি আমাদের জানালে আমরা সেটি বিদেশিদের জানাবো।”

কিন্তু বৃহস্পতিবারই সচিবালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আবার “আন্তর্জাতিক তদন্ত” করার কথা বলেছেন।

“আবু সাঈদের মৃত্যুর তদন্তসহ কোনও তদন্তই রুটিন প্রসেসে হবে না। আমরা কোনও রুটিনে থাকবো না। আমরা আন্তর্জাতিক তদন্ত করবো। যা দেখছেন, এগুলোর কোনও ভ্যালু নাই।”

একই দিনে ঢাকায় আয়োজিত ভিন্ন একটি অনুষ্ঠানে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে হওয়া প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আমি চাই প্রত্যেকটা জিনিসের তদন্ত হোক…সে জন্য জাতিসংঘেও আমি আবেদন করেছি, তারা বিশেষজ্ঞ পাঠাক। অন্য কোনও দেশ যদি চায়, তারা বিশেষজ্ঞ পাঠাক।”

সহিংসতার শুরুর দিকেই তিনি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, “ঘটনা যখন হয়, তখন মাত্র ছয় জন মারা গিয়েছিল। এখন আরও বেশি ঘটনা ঘটেছে। আমি এখন তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি করে দিয়ে, তাদের কর্মপরিধি আরও বাড়িয়ে দিয়েছি।”

এখানে একেকজন একেক ধরনের কথা বলায় এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক এম হুমায়ুন কবির।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, “অনেক স্রোতের কথা হচ্ছে। পররাষ্ট্র সচিবের কথা একরকম, মন্ত্রী আরাফাতের বক্তব্য একরকম। আমার মনে হয়, সরকারের নীতিগত পর্যায় থেকে একটা সিদ্ধান্ত আসা উচিৎ। একটা ভয়েসেই কথাটা বলা উচিৎ। নইলে কনফিউশন তৈরি হবে।”

জ্যোতির্ময় বড়ুয়াও বলেন যে “আজকে পর্যন্ত যেভাবে এই (তদন্ত সংক্রান্ত) তথ্যগুলো এসেছে, তা কনফিউজড হওয়ার মতোই।”

তবে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক  বলেন, “আমরা নিশ্চয়ই একটা তদন্ত প্রক্রিয়ার কথা চিন্তা করবো। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন যে আমরা সহায়তা নিবো।”

কাদের সাহায্য নেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।”

বাংলাদেশে কেন আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি আসছে?

হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল বা মানবাধিকার পরিষদ গঠিত হয় ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে তদন্ত করছে পরিষদ সমর্থিত বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা।

আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিবিসিকে বলেন যে বিশ্বের যেসব স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা জেনোসাইডের মতো ঘটনা ঘটার অভিযোগ আছে, সেখানে আন্তর্জাতিক তদন্ত হতে পারে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই শতাধিক। সেটিকে নির্দেশ করে তিনি বলেন, “লার্জ স্কেলে শিক্ষার্থীদের হত্যা করার অভিযোগ আছে”।

“কারণ আমাদের ৫২’র ভাষা আন্দোলনেও আসলে ৬০-৬৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী হত্যা করা হয়নি। সেখানে নিজের দেশের সরকার নিজের ছেলেকেই গুলি করে মেরেছে, যা ২০০ পার হয়ে গেল।”

এই ঘটনাকে “লার্জ স্কেলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা” হিসাবে উল্লেখ করেন এই আইনজীবী।

পহেলা অগাস্ট বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “সংকট নিরসনে আন্তরিক বা কার্যকর কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।”

“স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়, আন্তর্জাতিক মহলকে যুক্ত করে, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করে বিচার না হওয়া পর্যন্ত চুপ হয়ে যাওয়ার, শান্ত হওয়ার সুযোগ নেই” বলেন মিজ হাসান।
অভিযোগ উঠেছে, বিক্ষোভের সময় পুলিশ অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে।

জাতিসংঘের তদন্ত করার ক্ষমতা আছে?

বাংলাদেশ সরকারের চাওয়া যাই হোক, জাতিসংঘ যদি চায় তবে স্বাধীনভাবে তারা এই ঘটনার তদন্ত করতে পারে। কারণ “মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জাতিসংঘের আলাদা ম্যান্ডেট আছে”, বলেন মি. বড়ুয়া।

“ইউএন-এর স্টেট থেকে কোনও পারমিশনের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ যেহেতু ইউএন-এর সিগনেটরি, ইউএন-এর তাদের মতো করে তদন্ত চালানোর ম্যান্ডেট আছে।”

“যেসকল স্থানে জেনোসাইড হয়, সেই দেশ তো নিশ্চয়ই অনুমতি দিবে না যে তুমি আসো, দেখো। সে যখন ইউএন-এর সিগনেটরি হচ্ছে, সেই সিগনেটরি হওয়ার জন্য কতগুলা দায়বদ্ধতার জায়গা আছে। অটোমেটিক্যালি ইউএন-এর অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েই যাচ্ছে,” তিনি আরও যোগ করেন।

যদিও সাবেক রাষ্ট্রদূর হুমায়ূন কবির আবার মনে করেন, সরকার “সহমত না হলে এটি বাস্তবসমত না”।

“সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে (তদন্ত করতে) পারে। কিন্তু সেটার জন্য যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়াতে মনে হয় না জাতিসংঘ যাবে। এরকম সিদ্ধান্তে যেতে হলে কোনও একটা ফোরামের মাধ্যমে যেতে হবে।”

“একটা হতে পারে, হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল। কিন্তু বাংলাদেশ এই হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল-এর এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য। কাজেই, সেখানে কোনও একটা প্রস্তাব জোর করে পাশ করাবেন… বাংলাদেশ যেখানে সহমত না…সেখানে মতের বাইরে গিয়ে করবেন, এটা বাস্তবস্মমত মনে হয় না।”

তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক তদন্তের বিষয়টিতে সরকারের “রাজনৈতিক সদিচ্ছা” থাকা প্রয়োজন।

সরকার কেন আলাদা তদন্ত চায় না?

এসব ক্ষেত্রে জাতিসংঘের তদন্তকারী সংস্থাগুলো “নিজস্ব টিম নিয়ে” সংশ্লিষ্ট দেশে আসে।জাতিসংঘের তদন্ত কর্মকর্তারা এসে সরকার থেকে শুরু করে ভুক্তভোগী, নাগরিক সমাজ, সকলের সাথে কথা বলেন এবং ঘটনার “বস্তুগত অবস্থা” বোঝার চেষ্টা করেন, বলেন মি. কবির।

সেইসাথে তারা সম্ভাব্য সকল উপায়ে “এভিডেন্স সংগ্রহ করে” পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়।

“অনেকক্ষেত্রেই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে যাওয়া হয়। জাতিসংঘের তরফ থেকে স্যাংশন দেওয়া থেকে শুরু করে নানা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা দেখেছি আমরা…বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করার অহরহ নজির আছে,” বলেন মি. বড়ুয়া।

কিন্তু বাংলাদেশের সরকার কেন ‘প্যারালাল’ বা ‘সেপারেট’ তদন্ত চায় না, সে বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বলেন, “কী কারণে চাচ্ছে না, এটা তো বলার দরকার নাই। কী ঘটেছে, এটা আমরা চোখের সামনে দেখেছি। বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হলে এই ভিডিওগুলো রেকর্ডেড হবে। তখন কনসিকুয়েন্স তৈরি হবে। এখন সেই কনসিকোয়েন্সের জায়গায় যেতে রাজি কিনা, সেটাও একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার।”

তিনি মনে করেন, “এটি সংবেদনশীল বিষয়। এ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি, নাগরিক সমাজ, এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়াটা প্রয়োজন।

 

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *