বাউফলে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে শাহীন নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা


পটুয়াখালী ও বরিশাল অফিস: বাউফলে জমিজমা নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মনিরুল ইসলাম শাহীন নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে পাচঁটার দিকে উপজেলার মদনপুরা এলাকায় মৃধা মেডিকেল স্টোরে এ ঘটনা ঘটে। শাহীনের স্ত্রী ময়না বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পটুয়াখালীর বাউফলে জমি জমা নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মদনপুরা ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের মোসলেম মৃধার পুত্র মনিরুল ইসলাম শাহীনকে তার নিজ দোকানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় শাহীনের পিতা মোসলেম মৃধাকে কুপিয়ে জখম করেছে।
নিহত শাহীনের স্ত্রী ময়না বেগম জানান,৫ আগষ্ট’২৪ তারিখ সোমবার বিকেল সাড়ে পাচঁটার দিকে হঠাৎ করে জমিজমা নিয়ে শাহীনের মামলার বিবাদী পক্ষ চন্দ্রপাড়ার কামাল,জামাল,সুমন,ইমরান,রাসেল,সোহাগ,মাসুম,মোমিন চৌকিদার,দুলাল খাসহ আরো দশ বারোজন লোক এক যোগে শাহীনের দোকানে প্রবেশ করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমার স্বামী মনিরুল ইসলাম শাহীনকে হত্যা করে এবং আমার শশুর মোসলেম মৃধাকে কুপিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের উদ্দ্যেশ্যে আঘাত করে। আমরা মুমুর্ষ অবস্থায় আমার শশুর মোসলেম মৃধাকে উদ্ধার করেছি সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।আমার স্বামী শাহীনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওয়ার্ড মাষ্টার আবুল কালাম আজাদ।
এ ব্যাপারে বাউফল ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ভবন ঘেরাও করে রাখায় আমরা অবরুদ্ধ আছি। এ ধরনের মৌখিক খবর পেয়েছি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার জমিজমার বিরোধের জের ধরে সাংবাদিক ও গ্রাম্য ডাক্তার মনিরুল ইসলাম শাহিন ও তার বাবা এবং ভাইকে নির্মমভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করেছিল সুমন বেপারী, জামাল বেপারী ও কামাল বেপারী সহ ১৫-২০ জন। এব্যাপারে মনিরুল ইসলাম শাহীন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিল । এই মামলার আসামীদের নেতৃত্বে শাহীনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে শাহীনের স্ত্রী ময়না বেগম জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল শাহীনের ফার্মেসিতে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। শাহীন চাদাঁ দিতে অস্বিকার করলে ২০১৫ সালের ১ মে ফার্মেসিতে গিয়ে শাহীনের ওপর হামলা চালিয়ে দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেয় এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে ২০১৫ সালের ৬ মে পুলিশ মামলা নেয়। হত্যাকারীরা ২০১১ ও ২০০২ সালেও শহীনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছিল জমিজমার বিরোধ নিয়ে।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়