ইত্তেহাদ এক্সক্লুসিভ

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় দুজন

sagor Runi sgr rn
print news

ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা :  সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেননি, তাঁরা খুন হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় দুজন। প্রথমে সাগর ও পরে রুনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে ডিএনএ রিপোর্টে অস্পষ্টতা থাকায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি।আলোচিত এই হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে মামলাটি তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স। সম্প্রতি হাইকোর্টে এই প্রতিবেদন দিয়ে তদন্তের জন্য আরও সময় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।টাস্কফোর্সের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ও পিবিআইপ্রধান মো. মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন কী কী কাজ করা হয়েছে। আমরা সেই কাজগুলোর হিসাব আদালতে জমা দিয়েছি।

তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে দাম্পত্য কলহ, চুরি কিংবা পেশাগত কারণে হত্যার কোনো প্রমাণ মেলেনি। ভিসেরা রিপোর্টেও চেতনানাশক বা বিষাক্ত কিছু পাওয়া যায়নি। রান্নাঘরে থাকা ছুরি ও বঁটি দিয়েই সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয়। গুরুতর আঘাতের পরও তাঁরা কিছু সময় জীবিত ছিলেন। ঘটনার সময় বাসায় আগে থেকে কেউ ছিল না এবং বাইরে থেকে কেউ জোর করে ঢোকার চিহ্নও পাওয়া যায়নি।অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং মামলাটির তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে জানিয়েছি। তিনি আদালতকে বিয়ষটি অবহিত করেছেন।’

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে র‍্যাবের কাছ থেকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব সরিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। এই টাস্কফোর্সে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিজ্ঞ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে টাস্কফোর্সকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। এ সময়ে নতুন করে ৭ সাংবাদিকসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে খুন হন সাগর ও রুনি। ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে জানা গেছে, প্রথমে সাগর ও পরে রুনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় সন্তান মেঘ একই খাটে তাঁদের সঙ্গে ঘুমাচ্ছিল। ধারণা করা হয়, সাগর বাধা দিতে পারেন—এই আশঙ্কায় তাঁর হাত-পা বাঁধা হয়। রুনির হাত-পা বাঁধা হয়নি, কারণ তাঁকে নারী হিসেবে শারীরিকভাবে দুর্বল ভাবা হয়েছিল। রক্তের ছাপ বিশ্লেষণ করে শুরুতে ধারণা করা হয়, রুনি আগে মারা গেছেন। পরে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে বলা হয়, সাগরের মৃত্যু হয়েছে পরে।

তদন্তকারীদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ড ঘটার পর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে। তার আগে স্থানীয় মানুষ ও সাংবাদিকদের ভিড়ে অনেক আলামত ধ্বংস হয়ে যায়। তবে রান্নাঘরের বারান্দার সাড়ে ১৪ ইঞ্চি ও সাড়ে ৮ ইঞ্চির দুটি ভাঙা অংশ নতুন বলে শনাক্ত করা হয়েছে, যা দিয়ে একজন সহজেই প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারে। যদিও ওই স্থানে কোনো পূর্ণাঙ্গ পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি।

সিআইডির সহায়তায় ডিএনএ বিশ্লেষণ করে টাস্কফোর্স জানায়, একসঙ্গে দুই বা তিনজনের ডিএনএ থাকলে তা শনাক্ত করা সম্ভব হলেও পাঁচ থেকে ছয়জনের ডিএনএ থাকলে আলাদা করে শনাক্ত করা কঠিন। সাগর-রুনি হত্যা মামলার নমুনায় পাঁচ-ছয়জনের ডিএনএ থাকায় এখনো স্পষ্টভাবে কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ওই সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে কর্মরত ছিলেন সাগর। রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

 

 

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.