দুর্নীতিতে থেমে নেই বরিশাল কালচারাল অফিসার অসিত বরণ


বরিশাল অফিস : বরিশাল জেলা শিল্পকলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশগুপ্তের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারী, নারী কেলেংকারী, একনায়কতন্ত্র কোনটি থেমে নেই। বিগত দিনে সিলেট শিল্পকলার কালচারাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত থাকাকালে সেখানে একই কাজ করার ফলে সিলেট সাংস্কৃতিক কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলাও করা হয়। ২০১৩ সালে কালচারাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান, এরপরেই লাগামহীন দুর্নীতি শুরু করেন। ২০১৬ সালে তার অবৈধ নানা কাজ জনসাধারণের সামনে আসলে হবিগঞ্জে তাকে স্থানন্তর করা হয়। সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ও নানা জায়গায় তদবির করে পুনোরায় ২০১৮ সালে তার জন্মস্থান সিলেটে নিযুক্ত হন এরপরে একের পর এক দুর্নীতি করেই গিয়েছিলেন। রাতারাতি গাড়ি- বাড়ির মালিক হন। জীবনযাপন করেন বিলাসবহুল জীবন। চলাচল করেন উড়োজাহাজে।
তার এমন কর্মকান্ড দেখেবহুদিন ধরে সিলেট সাংস্কৃতিক কর্মীরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসলে অবশেষে ২০২৫ সালে ১২ ই জানুয়ারি বরিশালে নিযুক্ত করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এখানে এসে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে আঁতাত করে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন। পুরো শিল্পকলাকে নিজের একনায়কতন্ত্রে পরিচালিত করেন। বরিশাল শিল্পকলায় জনসাধারণের প্রবেশে বাধা, হলরুমের ভাড়া লোপাট, মাসের পর মাস রেস্ট হাউজে থাকা, নানা অনুষ্ঠান করে অর্থ লুট সহ রয়েছে একাধিক গুরুতর অভিযোগ। বরিশাল জেলা শিল্পকলার সাংস্কৃতিক কর্মী থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। কেউ তার সাথে আঁতাত না করলেই নানাভাবে তাদের হেয় করা হয়। নিজের পছন্দের লোকজন নিয়ে তৈরি করেছেন স্বাতন্ত্র্য একটি গোষ্ঠী। যারা তার নির্দেশে কাজ করেন। তার এমন স্বজনপ্রীতির কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে অপর আরেকটি গোষ্ঠী। তাদের নানা অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত করা থেকে শুরু করে প্রাপ্ত সেবাটুকু দেয়া হয়না।
আরও পড়ুন:
বরিশাল শিল্পকলায় সিলেটের সেই ফ্যাসিবাদের দোসর অসিত বরন দাস
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংস্কৃতিক কর্মী বলেন,” বিগত দিনে কালচারাল অফিসার মাকসুদ রহমান সে ব্যাপক অনিয়ম করেছে, আমরা আশা করেছিলাম, নতুন যে আসবে সে সবাইকে আপন করে নতুনভাবে ঢেলে শিল্পকলাকে সাজাবে। সংস্কৃতি বিকাশের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বরিশাল শিল্পকলাকে গড়ে তুলবে কিন্তু বর্তমান যিনি রয়েছেন তার কথা না শুনলে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। তার দুর্নীতির মাত্রা সকলকে ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের রীতিমত কোন প্রোগ্রামে বলা হয়না অথচ এটা আমাদের অধিকার।
মাসের পর মাস অবৈধভাবে রেস্টহাউজে থাকা
অসিত বরণ দাশগুপ্ত যোগদানের পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি বাসা ভাড়া ভাতা পাওয়ার পরেও জেলা শিল্পকলা একাডেমির রেস্ট হাউজে কোনকিছু তোয়াক্কা না করে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে তার পরিবার থাকা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত গাড়ীর ড্রাইভার পর্যন্ত থাকেন।
বরিশাল শিল্পকলায় ৫ টি রেস্ট রুম রয়েছে, যার ৩ টি তার দখলে। বাকি দুইটিতে তার দেখাদেখি রংপুর থেকে আগত জাতীয় পরিষদের এক সদস্য এবং অন্যটিতে মাঝেমধ্যে শিল্পকলার স্টাফরা থাকেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিধি মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট জেলার ডরমিটরিতে যারা থাকবে সবখরচ মিলিয়ে দিনপ্রতি ১২০০ টাকা করে দিতে হবে। সেই টাকা সরকারের রাজস্বখাতে ও স্থানীয় ফান্ডে জমা দিতে হবে। সেই হিসাব মোতাবেক, অসিত বরণ দাশগুপ্তের জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। নিজে ও বাকিরা অবৈধভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন অথচ এই রেস্টহাউজ করা হয়েছে সরকারের রাজস্ব ও স্থানীয় ফান্ডের আয়ের নিমিত্তে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংস্কৃতিক কর্মী বলেন,” বিগত দিনে কোন কালচারাল অফিসার এমন মাসের পর মাস পরিবার নিয়ে ডরমিটরি ভবনে থাকেনি। এমন দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে কোন শিল্পকলায় নেই। ডরমিটরিভবন তার উপর হস্তান্তর করা হয়েছে, অন্যকে ভাড়া দিয়ে আয় করার জন্য তাকে থাকার জন্য দেয়া হয়নি।” এব্যাপারে অসিত বরণ দাশগুপ্ত কুমার বলেন, ‘ আমি প্রায় ৬ মাস ধরে কয়েকটি রুম ব্যবহার করেছি। এখান থেকে সরকার যে কয়টাকা রাজস্ব পাবে, আমি পরিশোধ করব। ‘ কোন অফিসারের মাসের পর মাস থাকার কোন নিয়ম রয়েছে কিনা এবং পুরো টাকা তিনি পরিশোধ করবেন কিনা? এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন নিয়ম দেখাতে পারেননি। এছাড়াও কালচারাল অফিসারদের নাকি নামমাত্র টাকা পরিশোধ করার নিয়ম আছে এমনটি তিনি বলেছেন।
হলভাড়া নিয়ে নয়ছয়
চলতি বছরে ১২ ই জানুয়ারি অসিত বরণ দাশগুপ্ত শিল্পকলায় কালচার অফিসার নিযুক্ত হওয়ার পরে তিনি নানা প্রতিষ্ঠানের নিকট শিল্পকলার হলরুম ভাড়া দিয়েছেন। বরিশালের সবথেকে আধুনিক ও বৃহৎ হলরুম হওয়ায় নানা প্রতিষ্ঠানের পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকে শিল্পকলার এই হলরুম। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি হলরুম ভাড়া সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে, ” কোন সাংস্কৃতিক সংগঠন ৫০০- ১০০০ আসন বিশিষ্ট শিল্পকলা মিলনায়তন প্রথম ৩ ঘণ্টা ভাড়া নিলে সব খরচ মিলিয়ে ৮,৫০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং ৩ ঘণ্টা পরবর্তীকালে ঘণ্টাপ্রতি ২,৫০০ টাকা হারে ভাড়া প্রদান করতে হবে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যতীত অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য সকল খরচ মিলিয়ে ২৪,০০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং ৩ ঘণ্টা পরবর্তীকালে ঘন্টাপ্রতি ৩,৬০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।” অসিত বরণ দাশগুপ্ত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত একাধিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হলরুম ভাড়া দিয়েছেন। হলরুম ভাড়া নেয়া একাধিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বললে তারা জানায়,’ নির্ধারিত সময়ের বাহিরেও তারা অনুষ্ঠান করেছেন এবং তার জন্য ঘণ্টাপ্রতি নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেছেন।’ কিন্তু হলরুম ভাড়া নেয়া হিসাবে দেখা যায়, শুধু নির্দিষ্ট সময়ের টাকা অর্থাৎ ৩ ঘণ্টার টাকা ব্যাংকে স্থানীয় ফান্ডে পরিশোধ করা হয়েছে। অতিরিক্ত অর্জিত আয় পরিশোধ করা হয়নি। এই অতিরিক্ত আয় অসিত বরণ দাশগুপ্ত অবৈধভাবে লুফে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে অসিত বরুণ দাশগুপ্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয় ও সাধারণ ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ
অসিত বরণ দাশগুপ্ত যোগদানকালে বরিশাল জেলা শিল্পকলার স্থানীয় ও সাধারণ ফান্ডে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা ছিল। অসিত বরণ যোগদানের পরেই একের পর এক অনুষ্ঠান করে বর্তমানে দুই ফান্ডের টাকা ২০ লক্ষের নিচে নেমে গেছে। কখনো গাছ লাগানোর নাম দিয়ে কখনো সাধারণ অনুষ্ঠান করে ফান্ড থেকে অর্থ তুলেছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঘোষিত যেকোন অনুষ্ঠানের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দ থাকে। তবুও অসিত বরণ কেন্দ্র থেকে পাঠানো অর্থের বাহিরে স্থানীয় ও সাধারণ ফান্ড থেকে টাকা তুলেছেন অথচ সেটির প্রয়োজন পড়ে না। কেন্দ্র থেকে ঘোষিত প্রোগ্রামের বাহিরেও এক টাকার জায়গায় দশটাকা ব্যয় দেখিয়েছেন অসিত বরুণ। এমনটাই অভিযোগ করেছেন একাধিক সাংস্কৃতিক কর্মী। বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্টাফ বলেন, ‘ তিনি যোগদানের পরে এত প্রোগ্রাম করেছেন যা আগে কেউ করেনি। তার করা নানা অনুষ্ঠানে আসা মেহমানদের চা খাওয়ানোর নামেও হাজার হাজার টাকা ভাউচার কেটেছেন অথচ কাউকে চা পর্যন্ত খাওয়ানো হয়নি। এমন বিভিন্ন ব্যয় খাত দেখিয়ে তিনি টাকা তোলেন। যা চোখের সামনে দেখতে হয়। বর্তমানে নিরাপত্তার জন্য দুইজন আনসার যথেষ্ট সেখানে উনি চারজন নিয়োগ করেছেন। তাদের বেতন দিতে দিতে দুই ফান্ডের বাকি টাকা ফুরিয়ে যাবে। আগের অফিসার ছিলেন চোর আর বর্তমানের জন ডাকাত। এমন চলতে থাকলে জনসাধারণের জন্য প্রাণের প্রতিষ্ঠানটি অচিরেই হারিয়ে যাবে।” অসিত বরণ দাশগুপ্তের কাছে তার করা প্রায় ৩০ টি অনুষ্ঠানের আয়- ব্যয় হিসাব চাইলে তিনি নাকচ করে দেন। তার এমন দুর্নীতি সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ” আমি সারা বাংলাদেশে পাঁচবার সেরা কালচারাল অফিসার হিসেবে জয়ী হয়েছি। যদি আমি দুর্নীতি করতাম তাহলে কর্তৃপক্ষ এতবার আমাকে পুরস্কৃত করত না। আর আমি আয়- ব্যয়ের হিসাব আমার কর্তৃপক্ষকে দেখাব। এছাড়া কাউকে দেখাতে আমি বাধ্য নই।
দুর্নীতির রাজ্যে জনসাধারণ অবাঞ্ছিত
অসিত বরণ দাসগুপ্ত নিযুক্ত হওয়ার পরে নিরাপত্তা ও নজরদারির জন্য চারজন আনসার সদস্যকে গেট কিপার হিসেবে নিযুক্ত করেন। যার ফলে এখন কেউ চাইলেই শিল্পকলায় প্রবেশ করতে পারেনা। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনার্থীরা খালি হাতে ফিরে যান। ভিতরে প্রবেশ করতে হলে হতে হবে জনসাধারণকে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন করতে হবে এন্ট্রি। অনেক সময় জনসাধারণের সাথে আনসার সদস্যদের বাধ্য হয়ে খারাপ ব্যবহার করতে হয় কিন্তু আনসার সদস্যরা নিরুপায়। মূলত মালিকের নির্দেশে এসব করতে হচ্ছে। হুকুমের গোলাম তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাংস্কৃতিক কর্মী বলেন, ” আগে শিল্পকলার কোন নিরাপত্তা ছিলনা। যারফলে অবাধে মানুষজন এখানে আসতো। তার ভিতর অনেকে দিনরাত এখানে এসে অশ্রীলতা থেকে শুরু করে মাদক সেবন করতো। চুরিও হতো। বর্তমানে তা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু এটিও মাথায় রাখতে হবে। শিল্পকলা করা হয়েছে জনসাধারণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিকাশ সাধনের জন্য সেখানে জনসাধারণের যদি এখানে আনাগোনা না থাকে। তাহলে এটি নিষ্ফল। আমরা এখানে কাজ করি। আমাদেরই এন্ট্রিকরে প্রবেশ করে ঢুকতে হয়। এমন নিয়ম বাংলাদেশের কোন শিল্পকলায় নেই। ” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্পকলার এক নাট্যকর্মী বলেন,” আগে চুরি করতো সাধারণ চোররা আর এখন চুরি করে এখানের অফিসার আর এটি ঢাকতেই এমন বাড়াবাড়ি। জনসাধারণের প্রবেশ সংরক্ষিত করা যেতে পারে। প্রয়োজনে কিছু নিয়ম আরোপ করা যেতে পারে কিন্তু এমন নিষেধ করা যেতে পারেনা।” জেলা শিল্পকলায় ঘুরতে আসা একাধিক দর্শনার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ” আমি দূর থেকে এখানে ঘুরতে এসেছি। আমার কোন খারাপ উদ্দেশ্য নেই কিন্তু আমাকে এখানে ঢুকতে দেয়া হয়নি। জায়গাটি খুব সুন্দর তাই ভিতরে ঢুকে একটু দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারলাম না। ” জনসাধারণের প্রবেশে বাধা দেয়া বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নারীনেত্রী অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন,” দেশের সংস্কৃতির সাথে সাধারণ জনগণ পরিচিত না তাই জনসাধারণকে সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে ১৯৭৪ সালের শিল্পকলা আইন করে দেশব্যাপী শিল্পকলা একাডেমি স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো। সেই আইনে স্পষ্ট বলা রয়েছে, শিল্পকলা জনগণের প্রতিষ্ঠান। সেইদিক থেকে কারো এখতিয়ার নেই। জনসাধারণকে বাধা দেয়া। বরিশালের শিল্পকলা ভবনটি খুব সুন্দর। পাশেই বেলস পার্ক। মানুষ দুইটি জায়গাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে আসে। তবে এমন বাধা দেয়া হলে জনমনে সংস্কৃতি নিয়ে নেতিবাচক ধারণা দেখা দিবে। শিল্পকলার নিরাপত্তার জন্য রক্ষী প্রয়োজন আছে তবে তাদের উচিত হবে জনসাধারণের প্রবেশ সংরক্ষিত করে নজরদারির উপরে রাখা এভাবে বাধা দেয়া ঠিকনা। ” বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি গঠনতন্ত্রে ১ ধারায় (গ) তে বর্ণিত, জেলা পর্যায়ে জনসাধারণের মাঝে যথাযথ সাংস্কৃতিক মানসিকতা তৈরীর লক্ষ্যে নিয়মিত নান্দনিকতা ও সৌন্দর্যবোধ চর্চা এবং বুদ্ধিভিত্তিক সম্প্রসারণ এবং শিল্পচর্চার সাথে সাধারণ গণমানুষের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি করা ও তা সমুন্নত রাখা। কিন্তু এই আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়েছেন অসিত বরণ দাশগুপ্ত। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” বিগত দিনে এখানে চরমভাবে বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও মাদকের আড্ডা ছিল এবং একই সাথে শিল্পকলার বহু সম্পদ চুরি হয়েছে তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আনসার নিযুক্ত করেছি। এখন একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমরা কাউকে প্রবেশে বাধা দিচ্ছি না।” অসিত বরণ দাশগুপ্তের একের পর এক বিতর্কিত ও দুর্নীতি কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (সচিব) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন বলেন,” আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে অতিশিগ্রি একটি তদন্ত কমিটি করে যাবতীয় ব্যবস্থা নেব আর শিল্পকলা জনসাধারণের প্রতিষ্ঠান সেখানে কারো প্রবেশে বাধা দেয়া বিধি বহির্ভূত। কেউ যদি দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকে তাকে কোনমতেই ছাড় দেয়া হবেনা।
বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন,” আমি এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক) বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সহকারী পরিচালক খন্দকার খাইরুজ্জামান বলেন, ” দুদকে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দায়ের করার পরে তা সত্য প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ দুর্নীতি করে পার পাবেনা। দুদক সর্বদা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।