বিবিসি: পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত দুশো জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে বিবিসির উর্দু বিভাগ।বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রামেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে।
বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রান সামগ্রী নিয়ে যেতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। ওই ঘটনায় দুজন পাইলট সহ মোট পাঁচজন মারা গেছেন বলে খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে।অন্যদিকে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভূমিধ্বসে আটজন নিহত হয়েছেন এবং নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় প্রায় ৫০০ পর্যটক আটকিয়ে পড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে এটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে উদ্ধার ও ত্রাণকার্যের পর্যালোচনা করতে।প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে বিবিসি জানতে পেরেছে যে খাইবার পাখতুনখোয়াকে 'বিপর্যস্ত এলাকা'হিসাবে ঘোষিত করা হতে পারে।বিবিসির সহকর্মী জুবেইর খান জানাচ্ছেন, মেঘ-ভাঙা বৃষ্টির ফলে ভূমিধ্বসে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫৭টি দেহ উদ্ধার করা গেছে বলে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন।
বুনেরের ডেপুটি কমিশনারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে যে, মাত্র ৭৮টি দেহ হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে। বাকি দেহগুলো হাসপাতালে বহন করে নিয়ে আসা যায় নি।এর মধ্যে শুধু গাডেজি তহশিলেই মারা গেছেন ১২০ জন।
চাঘারজাই তহশিলে একটি ভবন চাপা পরে একই পরিবারের ২২ জন সদস্য মারা গেছেন। উদ্ধার-কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন হিগুকান্দ এবং পীর বাবা এলাকায় বন্যায় বহু নারী ও শিশু আটকিয়ে পড়েছে। আল মদিনা নামের একটি হোটেল সম্পূর্ণ ভেসে গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখোয়াতে ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ১২জন শিশু রয়েছেন।
মহামান্দ জেলা পুলিশ বিবিসির উর্দু বিভাগকে নিশ্চিত করেছে যে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহার করা একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে।বাজাউর জেলার সালারজাই এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল ওই এমআই-সেভেন্টিন হেলিকপ্টারটি।খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। দুই পাইলট সহ মোট পাঁচজন মারা গেছেন ওই ঘটনায়।
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের কিশতোয়ারে মেঘ-ভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধ্বসের ফলে বড়সড় বিপর্যয় হয় বৃহস্পতিবার।এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৮,আহত একশোরও বেশি।মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে সেখানে।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত