ইত্তেহাদ এক্সক্লুসিভ

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল

177488 pro
print news

ইত্তেহাদ নিউজ,ঢাকা :  তিন দফা দবি আদায়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে এই সংঘর্ষ বাধে। ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের থামাতে পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। দাবি আদায়ে সকাল থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দুুপুরের পর তারা যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। দুই দফা ব্যারিকেড ভাঙার পর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। দিনভর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান শেষে বিকালে আবারো শাহবাগে অবস্থান নেন বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে শাহবাগ, বাংলামোটর, ইস্কাটন, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। দিনভর এই এলাকার সড়ক বন্ধ থাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে প্রায় অর্ধেক রাজধানী জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সন্ধ্যার পর রেল ভবনে সরকারের ২ উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে বসে। বিকালেই সরকারের তরফে জানানো হয় শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে সভাপতি করে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাত নয়টার পর জানানো হয় বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার আবার বৈঠক হবে। ওদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তখনো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছিলেন।

বৈঠক শেষে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এই ঘটনার জন্য পুলিশ প্রতিনিধি ক্ষমা চাইবে। আলোচনার জন্য সরকারের দরজা খোলা রয়েছে জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, ‘কথায় কথায় যমুনা অভিমুখে যাত্রা অনভিপ্রেত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর জন্য ক্ষমা চাইবেন পুলিশের প্রতিনিধি। প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই ও সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সরকারের গঠিত কমিটির বাকি পাঁচ সদস্যকে নিয়ে আগামীকাল আবারো বৈঠক হবে বলেও জানান- উপদেষ্টা।

ওদিকে পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ পালনে বুধবার সকাল ১১টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ঢাকা কলেজ, রুয়েট, এইউএসটি, জেইউএসটি, বিইউএসটি, বুটেক্স, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন্‌ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সড়কে অবস্থান নিয়ে ‘আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, ‘সবার মুখে এক বয়ান-ডিপ্লোমা টেকনিশিয়ান’, ‘অবৈধ ডিপ্লোমা কোটা- অবসান চাই অবসান চাই’, ‘কোটার নামে অবিচার-বন্ধ করো বন্ধ করো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আর তাদেরকে ঘিরে রাখে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। এ সময় শাহবাগ ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে সকাল থেকে অবস্থানের পর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ঘোষণা আসে তারা তাদের দাবি আদায়ে সচিবালয় অভিমুখে রওনা করবেন। কিন্তু বেলা সোয়া ১টার দিকে হঠাৎ শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রওনা করেন। তবে আগে থেকেই পুলিশ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার কাছাকাছি চলে যান। পুলিশ তখন তাদেরকে বলতে থাকে- এখানে ১৪৪ ধারা জারি করা। আপনারা কেউ মিছিল নিয়ে সামনে যেতে পারবেন না। বেশ কিছুক্ষণ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে তোয়াক্কা না করে যমুনার সামনে যেতে উদ্যত হন। তখন পুলিশ তাদেরকে লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীরা কিছু দূর পিছিয়ে আবারো সম্মিলিত হয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে আসে। পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে কেউ কেউ ইট-পাটকেলও নিক্ষেপ করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে টিয়ারসেল ছুড়ে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। একই সঙ্গে জলকামান থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর পানি ছেটায় পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী রাস্তায় বসে পড়েন। পুলিশের ধাওয়ায় বাকিরা আশপাশের গলি রাস্তায় চলে যান। কেউ কেউ চলে যান শাহবাগের দিকে। পুলিশ কিছুটা এগিয়ে আবারো যমুনার দিকে চলে এলে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে অগ্রসর হন। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নেয় কন্টিন্টোল হোটেলের পাশ দিয়ে যমুনার দিক থেকে আসা রাস্তার মাথায় পুলিশ বক্সের সামনে। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলা শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ, ইটপাটকেল নিক্ষেপে বুয়েট শিক্ষার্থী নাবিদ (২১), শাহাদাৎ (২২), নাভিদ (২১), হাসান (২২), ওয়াইজ (২২), নসিব (২৬), জাসিফ আল-হাসান (২২), মো. সাকিব (২৫), রুয়েট শিক্ষার্থী রিজন (২৩), আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিব (২২)সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের বেশির ভাগকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে ভর্তিও করা হয়েছে। অনেকে আবার চিকিৎসা নিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। বিকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের এক্সিট গেটের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। এখানে বিনা কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হলো।

আজকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। সেই সঙ্গে জবাবদিহি করতে হবে। আন্দোলনে অংশ নেয়া রোকনের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি আজকের হামলায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করলাম। সেইসঙ্গে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। আমাদের পূর্বে ঘোষিত ৩ দফা দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাহী আদেশে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। তিন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির, আদিলুর রহমান ও সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানকে এখানে এসে নিশ্চয়তা দিতে হবে। হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো হামলা করা যাবে না। পুলিশের হামলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে ও পুলিশ ক্ষমা না চাইবে এবং সরকারের উপদেষ্টা এখানে না আসবে ততক্ষণ আমরা ঘরে ফিরবো না।

এরপর তারা আবারো শাহবাগ মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর শাহবাগ এলাকায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হন বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তিনি বলেন, দাবি জানাতে যমুনা যাওয়ার সময় পুলিশ নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করেছে। সভ্য সমাজে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। ভিসি বলেন, শিক্ষার্থীদের কিছু যৌক্তিক দাবি নিয়ে বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যমুনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। তখন পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড এবং রাবার বুলেটে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের বুয়েটের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখনো অনেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।

মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয় ব্যবস্থা নিতে আমি ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করি। এই দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরি। দায়িত্ব নিয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে বসে কমিটি গঠন করতে এবং বিষয়টির সমাধান করতে তাদের অনুরোধ করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা কমিটি মানি না, মানি না বলে ওঠেন। পাশাপাশি ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন। ভিসি বলেন, কমিটির বিষয়ে যদি কারও কোনো বক্তব্য থাকে বলেন। আমরা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করবো। তবে শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। পরে ভিসির অনুরোধে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল সরকারের পক্ষ থেকে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিসমূহের যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গঠন করা কমিটির সভাপতি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে বৈঠকে জন্য রেল ভবনে যান। আর বাকি শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা নিয়ে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে, ডিএমপি’র রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমের বিরুদ্ধে এক প্রকৌশল শিক্ষার্থীকে গলা টিপে ধরার অভিযোগ করেছেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি’র রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ইঞ্জিনিয়ারের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার ও বুধবার দুইদিন ধরে শাহবাগে আন্দোলন করেছেন। আগেরদিন তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিল। শাহবাগের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তারা অবস্থান নিয়েছিল তারপরও আমরা তাদের কিছুই বলিনি। কিন্তু তারা আজকে হঠাৎ যমুনার দিকে চলে আসে। আমরা তাদেরকে ১৪৪ ধারা জারি বলে অনেক রিকোয়েস্ট করেছিলাম। ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারিও হয়ে গেছে। কিন্তু তারা কোনো কথা শোনেনি। আমরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, তাদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অপরদিকে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে বলে হয়েছে- উচ্ছৃঙ্খল জনতার মারমুখী আচরণ এবং তাদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ডিএমপি’র রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার রেজোয়ানুল ইসলাম (৩৭), এসআই তৌহিদুল ইসলাম, এএসআই ফরহাদ আলী (২৯), কনস্টেবল আদিব (২২), কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম (২০) ও কনস্টেবল শ্রাবণ (২০) আহত হন। তাদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম ও আদিবের অবস্থা গুরুতর। আহত পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এরূপ কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্যও সংশ্লিষ্ট সকলকে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জাননো হয়।

 

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.