আ’লীগ, চরমোনাই ও জামাত সবাইকে যোগদানের আহবান রাজাপুর বিএনপি সভাপতির


মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির রাজাপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা ও র্যালিকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে এক আলোচনা সভায় বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় ঘোষিত র্যালিতে যোগদানের আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি বক্তব্যে বলেন, “এই র্যালিতে আওয়ামী লীগ নাই, চরমোনাই নাই, জামাত নাই, সবাই যোগদান করবেন ।” তার এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়। ফেসবুকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
তৃণমূল বিএনপি নেতাদের একাংশ অভিযোগ করেছেন— প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে এমন অযাচিত মন্তব্য শুধু দৃষ্টিকটুই নয়, বরং দলীয় ঐক্য ও কৌশল নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের মতে, দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।
অন্যদিকে সাধারণ স্থানীয়রা মনে করছেন, সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য বিএনপির আদর্শ ও সাংগঠনিক নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অনেকেই বলছেন, এর ফলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সুযোগ নিচ্ছে এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও, আলোচনা-সমালোচনার ঝড় এখনো থামেনি। স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো আনন্দঘন আয়োজনকে ঘিরে এমন মন্তব্য দলীয় অভ্যন্তরে অস্বস্তি তৈরি করেছে।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ এর ব্যহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এ্যাডঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ, জামাত, চরমোনাইকে পূর্ণবাসনের দায়িত্ব দল থেকে রাজাপুর উপজেলার বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদকে দেওয়া হয় নাই।
তিনি আরও বলেন, রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে দলের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে তাহার পদ স্থগিত করা হইলেও কোন এক নেতার ইন্দনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাইতেছে, হয়তোবা ঐ নেতার ইন্দোনেই আবুল কালাম আজাদ অনুরূপ বক্তব্য দিয়েছেন। তাহার বক্তব্যের দায় দল নেবে না