*লিফটে দুই রোগীর মৃত্যুর পরেও বহাল তবিয়তে, *ম্যানেজ ও দুর্নীতির মাস্টার
ইত্তেহাদ নিউজ,অনলাইন : গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত অধিদপ্তর বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ ও তার সংস্কার কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়টির উপর নজরদারী ও ক্ষমতার ভাগ বসাতে দেশের ক্ষমতাশীলরা সর্বদাই তৎপর থাকে। এই মন্ত্রণালয় ঘিরে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ সম্পাদন হয়। আর এ কারণেই এই মন্ত্রণালয়টি অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের নিকট। গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে এর সাথে সম্পৃক্ত ঠিকাদার ও কিছু দুর্নীতি পরায়ণ প্রকৌশলী শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এই কার্যক্রম অতীতেও ছিলো এবং বর্তমানেও চলমান আছে। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মূল ভুমিকার কর্তারা জড়িত। কর্তাদের পুজি করেই কিছু প্রকৌশলী হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। তার মধ্যে অন্যতম ঢাকা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম। অভিযোগ রয়েছে, কমিশনের বিনিময়ে কাজ প্রদান, উন্নয়ন কাজ না করেই সরকারি বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা তুলে নিয়ে ঠিকাদারের সাথে ভাগাভাগি, চাকুরী জীবনে অসততার আশ্রয় নিয়ে অঢেল ধন সম্পদের মালিক এবং গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০২৪ সালে আব্দুল হালিমের নিম্নমানের লিফট ও রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলা কান্ডে একই বছরে দুইজন রোগীর মৃত্যু হয়। লিফটকান্ড ঘটনায় মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিলেও অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর শামীম আখতারের আস্থাভাজন হওয়ায় আব্দুল হালিম এখনও বহাল তবিয়তে।
যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় ছিলেন তখনই তার গুনগান গেয়েছেন। ২০২২ সালে ঢাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ই/এম- ৮ নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে স্টাফ অফিসার জোবায়ের আহমেদ স্বাস্থ্যখাতের সব টেন্ডারে আব্দুল হালিমের নির্দেশে ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রতি টেন্ডারে ৫ শতাংশ (প্রাক্কলিত দর) অনুযায়ী কাজ দিয়েছে। পিপিআর অনুযায়ী এলটিএম (লিমিটেড টেন্ডার মেথড) অনুযায়ী দরপত্র হওয়ার কথা থাকলেও তা না করে ওটিএম এর মাধ্যমে টেন্ডার আহবান করে কাজ দিয়ে বিপুল অর্থ লোপাট করেছে। এছাড়াও স্টাফ অফিসার জোবায়ের টেন্ডার আইডি হাইড করে নির্দিষ্ট ঠিকাদার’দের আইডি ও রেট দেখিয়ে ইচ্ছেঅনুযায়ী দাম হাকাতো। ‘সাধারণত পিপিআর অনুযায়ী ইজিপিতে এলটিএম এর বাইরে দরপত্র আহবানের সুযোগ নেই। এলটিএম এর ক্ষেত্রে প্রতি টেন্ডারে ১০ শতাংশ লেসে দর জমা হয়ে, লটারির মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়। এতে সরকারের সিডিউল বেশি বিক্রি হওয়ায় সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হওয়ার পাশাপাশি ১০ শতাংশ লেসের কারনে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হয়’। হালিম ও জোবায়ের সিন্ডিকেট নিজেদের মনোনীত ব্যক্তিদের প্রাক্কলিত মুল্যে কাজ দেওয়ার কারনে সরকারের ১০ শতাংশ লেসের অর্থ লোকসান হয়। উক্ত ১০ শতাংশ টাকা প্রকৌশলী এবং ঠিকাদার ভাগ করে নেয় তাদের নির্ধারিত কমিশনের বাইরে। সংস্লিষ্ট সুত্র জানায়, স্বাস্থ্য খাতে বেশির ভাগ দরপত্রে মাত্র ১ জন ঠিকাদার অংশ নিয়েছে যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। অভিযোগ রয়েছে, ‘যারা ৫ শতাংশ টাকা দিতে রাজি হয়নি তাদেরকে ১০ শতাংশ লেসে কাজ নিতে বাধ্য করা হয়েছে’।
২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ মুহুর্তে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বৈদ্যুতিক কাজ ও তিনটি এয়ারকুলার লাগানোর জন্য এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। হাসপাতালের ২য় তলা প্রশাসনিক ভবনে বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ও সুইচ পরিবর্তনের জন্য ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, গার্ডেন লাইট ও সিকিউরিটি লাইটের জন্য ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ইমার্জেন্সি ব্লাকে এসির জন্য ১৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, রেটিনা ব্লাকের এসির জন্য ২৯ লাখ ৫৫ হাজার ও প্রশাসনিক ব্লকে ভিআরইএফ এসির জন্য ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সাধারণত অর্থবছরের শেষমূহুর্তে প্রকল্পের নামে অর্থ-বরাদ্দ দিয়ে লুটপাটের সিদ্ধান্ত নিয়ে হালিম-জোবায়ের সিন্ডিকেট নানা তড়িঘড়ি করেছিলেন। মূলত আব্দুল হালিম অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর মুরিদ ও আওয়ামী লীগের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় অর্থবরাদ্দে কোনো বাধাবিপত্তি হতো না।
এছাড়াও ২০২১ সালে আশকোনাস্থ হজ্ব ক্যাম্পের পাওয়ার লাইন, কম্বাাইন্ড সুইচ সকেট পরিবর্তনসহ আনুষঙ্গিক বৈদ্যুতিক কাজের অর্থ বরাদ্দ করানো হলেও নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার অভিযোগ ছিলো। কারিগরি অনুমোদন পেতে নিজ উদ্যোগেই টেন্ডার নেওয়ার প্রস্তাব দেন গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-৮ (মিরপুর) এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম। গণপূর্ত ই/এম উপবিভাগ-১৬ (মিরপুর) একজন উপ- সহকারী প্রকৌশলীর কাছ থেকে প্রাক্কলন পেতে সহযোগিতাও করেন তিনি। উক্ত প্রাক্কলনের কারিগরি অনুমোদন পেতে আর্থিক সুবিধা নিয়ে স্বাক্ষর করেন আব্দুল হালিম। তখন ২ লাখ ২৮ হাজার ১৪৪ টাকার মুল্যের একটি প্রাক্কলনের কারিগরি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে আটকে যায় ই/এম-৩, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর টেবিলে। স্মারক নং- ই/এম-৮ ৭০/২৩০৩ ২০২১ সালের ২৫ মার্চে প্রাক্কলনটিতে ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে দায়িত্ব সেরেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হালিম। ই/এম উপ-বিভাগ-১৬ (মিরপুর) উপ-প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলামের নামে প্রাক্কলনটির কাজ দেখানো হয়।
প্রাক্কলন প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘প্রাক্কলনের আইটেম সমূহের দর গণপূর্ত প্রধান প্রকৌশলীর অনুমোদিত সিডিউল ২০১৮ থেকে নেওয়া হয়েছে। যাতে প্রাক্কলিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২,২৮,১৪৪ টাকা। কাজটির ব্যয়ভার ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের কোড নং-৩২৫৮১০৭ অনাবাসিক ভবন খাতের বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনার (এপিপি)ক্রমিক নং-৬৭ হইতে নির্বাহ করা হইবে’।
তবে প্রাক্কলনটি প্রেরণের পর অন্যান্য প্রকৌশলী কারিগরি অনুমোদনে স্বাক্ষর করে দিলেও যথা সময়ে স্বাক্ষর করেননি নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম। তিনি এ প্রাক্কলন আটকে রেখে ভুক্তভোগী আসিফকে মাসের পর মাস ঘুরিয়েছেন, পরবর্তীতে সাক্ষরের বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা সুবিধা নিয়েছেন।
গাজীপুর তাজউদ্দিন হাসপাতালের লিফটটি যেই ব্র্যান্ডের তার মেরামত এবং অন্যান্য কাজ নিয়ম অনুযায়ী সেই ব্র্যান্ডকে দেওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত টাকার লোভে জনাব আব্দুল হালিম কাজটি দিয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানকে যাদের এই ধরনের কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতাই নাই। যার ফলে লিফটে প্রোপার মেরামত বা মেইনটেনেন্স হয়নি। ফলশ্রুতিতে সঠিক সময়ে লিফট সঠিক তলায় না আসায় এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে। তৎক্ষণাৎ শুরু হয় জনাব আব্দুল হালিমের ম্যানেজমেন্ট এর প্রক্রিয়া, প্রথমে তিনি মৃতের পরিবারকে ম্যানেজ করেন তারপর তিনি তার ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করতে টাকা খরচ করেন। তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল গঠন করে।তবে লিফটে আটকে পড়ে মারা যাওয়া মমতাজ বেগমের ছেলে আবদুল মান্নান চিঠির প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঘটনা ঘটেছে সকাল সাড়ে ৯টায়। চিঠিতে বলা হয়েছে সোয়া ১১টায়। প্রকৃত ঘটনা আড়াল এবং দায়ীদের রক্ষা করতেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে’।
গণপূর্তের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, ‘হাসপাতালে ছয়টি লিফট রয়েছে। ২৭ প্যাসেঞ্জারের প্রতিটি লিফট কেনায় খরচ হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টাকা। দরপত্র অনুযায়ী ইতালির বিখ্যাত মভি ব্র্যান্ডের লিফট সরবরাহ করার কথা। কিন্তু ইলেকট্রিক মোটর ছাড়া কেবিন ও যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়েছে চীনের’।
এছাড়াও নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করায় লোড বেশি হলেই আটকা পড়ে লিফট। প্রতি মাসে রক্ষণাবেক্ষণের কথা থাকলেও তা শুধু কাগজে-কলমেই দেখানো হয়। তিন শিফটে ৯ জন লিফটম্যান কাজ করে দেখানো হলেও দুই-তিনজনের বেশি খুঁজে পাওয়া যায় না। তৎকালীন সময়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আমিনুল ইসলাম সারাক্ষণ বার্তাকে জানান, লিফট সমস্যার কথা প্রায়ই কর্মচারীরা তাঁকে জানান। তিনি গণপূর্ত বিভাগকে জানিয়ে দেন। পরিদর্শনে গিয়ে প্রায়ই লিফটম্যান কম পান। লিফটের ভেতরে থেকে দায়িত্ব পালনে নিষেধের বিষয়টিকে তিনি ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেন। ‘ছয় লিফটের চারটিই নষ্ট’ ।
তাই যত সময়ে লিফটের কোন মেরামত না হওয়ায় কিছুদিন পরে ওই লিফটে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং আরো একজন ব্যক্তি মারা যায়। এ বিষয়ে ডিসি অফিসের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেন যে উক্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্তের কথাও বলা হয় উক্ত পত্রে। তারপরেও তিনি বহাল তবিয়তের দায়িত্ব পালন করছেন।
গণপূর্ত ই.এম বিভাগ ১০ এর আব্দুল হালিমের নির্দিষ্ট ঠিকাদার ‘জামিমা এন্টারপ্রাইজ’ এবং ‘জাফর ব্রাদার্স’ । তাদের নামে ব্যবসা করে মোঃ আব্দুল হালিম নিজেই কাজ করেন, যা ওপেন সিক্রেট।
পাহাড় সমান সম্পদ, একাধিক বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক:
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাহাড় সমান সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম একাধিক বাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক। পিডাব্লিউ ডি ইম ডিভিশন -১০ ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম সরকারি চাকরিতে যোগদান করার পর আলাউদ্দিন এর আশ্চর্য প্রদীপ এর কল্যাণে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র ও জনতা বিজয়ের পর দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা গেল এই কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বটতৈল ঈদগাঁও পাড়ার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল হালিম তিন ভাই এক বোন মধ্যে দ্বিতীয় আব্দুল হালিম বাবা আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলা পিডিবির সিকিউরিটি চাকরির সূত্রে কুষ্টিয়ায় আসেন তিনি। যে পরবর্তীতে সদর উপজেলার বটতৈল এলাকার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে আনোয়ার হোসেন চাকরি জীবনে অর্থ বিত্ত ও সম্পদের মালিক তেমন একটা না হতে পারলেও ছেলে আব্দুল হালিম কারিশমা অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন । আনোয়ার হোসেন কে বটতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দারা স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে চিনে থাকেন। বটতৈল ইউনিয়নের শিশির মাঠ নামক জায়গায় এই আনোয়ার মন্ত্রীর বিপুল পরিমাণ জমি কেনায় জায়গাটি এখন মন্ত্রীর মাঠ নামে পরিচিত। আব্দুল হালিম তার অবৈধভাবে অপরিচিত অর্থ বৈধ করতে বাবা আনোয়ার হোসেন সহ স্ত্রী শশুর কুলের নিকট আত্মীয়-স্বজনের নামে বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয় করে থাকেন। পরবর্তীতে ক্রয়কৃত জমি স্বল্প মূল্যে রেজিষ্টেশন করে নেন। এছাড়া বিভিন্ন পন্থায় অবৈধভাবে পরিচিত অর্থ ও সম্পদ তিনি বৈধ করে থাকেন।
ভূমি অফিস থেকে জানা যায়, পিডব্লিউডি ই এম ডিভিশন-১০ ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম নিজ নামে ঢাকার দুটি জমি সহ বাড়ি রয়েছে যার একটি মোহাম্মদপুরে আ/এ- ০৩ নং মৌজায়। এই মৌজায় নির্মাণকৃত বাড়িটির হোল্ডিং নং নাম্বার ১৭৫/৩০ খতিয়ান নম্বর ১২৪১৪ দাগ নং ২১।উল্লেখিত মৌজায় আব্দুল হালিমের জমির পরিমাণ ৪১/৯১ কাঠা।
পিডাব্লিউ ডি ইম ডিভিশন -১০ ঢাকা এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হালীম'র আরেকটি জমিনসহ বাড়ি রয়েছে যার হোল্ডিং নং ১৭৯/২৪০ খতিয়ান নম্বর ৭৩ ৯ ৩ ২ দাগ নং ২/২৩ উল্লেখিত মৌজায় তার নিজ নামীয় জমির পরিমাণ ২৭.৭২ কাঠা । বাড়ি বাদে দুটি জমি একত্রে ৭৫.৩৬ কাঠা। জমি দুটি আনুমানিক বাজার মূল্য ১০০ কোটির উপরে। সরকারি চাকরিতে যোগদানের দশকে ঢাকায় জমি সহ কারী এবং দেশের বেশ কয়টি জেলায় জমি ফ্লাট ক্রয় করেছেন এই কর্মকর্তা। বটতৈল এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরানো আনোয়ার মন্ত্রী পরিবারের এখন তারা সম্পদের পাহাড় তার ছেলে হালিমের টাকায় বটতৈল এলাকায় বীঘার পর বিঘা জমে কিনেছেন তারা সরকারি চাকরি পাওয়ার পর স্বল্প সময়ের এত টাকার মালিক বনে যাওয়া সেটা হালিমকে না দেখলে বোঝা যায় না।
দুইটি মৃত্যু । একটি লিফটের ভেতরে আটকে, আরেকটি প্রযুক্তির অভাবে, জনতার চোখের সামনে। সেই লাশের পাশে দাঁড়িয়ে নির্বিকার, নির্লজ্জ একজন ব্যক্তি, যিনি আজ সরকারি প্রকল্পের নাম করে কোটি কোটি টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন নিজের পকেটে। তিনি গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হালীম। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ভয়াবহ দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ। তদন্ত করলে খুলে যাবে একের পর এক লোমহর্ষক কাহিনি—কখনও টেন্ডারের নামে লুটপাট, কখনও প্রকল্পের মেয়াদ শেষে ভুয়া দরপত্র, আবার কখনও সরকারহীন মুহূর্তে গোপনে ঠিকাদার নিয়োগ। প্রশ্ন উঠেছে—এই লোকটি কি একা? নাকি দুর্নীতির আরও একটি অদৃশ্য সিন্ডিকেট?
লিফট দূর্ঘটনায় মৃত্যু-১: ২০২৪ সালের ১২ মে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি লিফট বন্ধ হয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে একজন রোগী আটকে থেকে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। উপস্থিত এক রোগীর স্বজন বলেন, "সমস্যাটি মোবাইলে গণপূর্তের অফিসার হালিম সাহেবকে জানানো হলে তিনি সমস্যাটিতে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো তাকে স্যার সম্বোধন না করায় বকাঝকা করেন। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন একজন মানুষ কিভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী হয় সেটাই প্রশ্ন।" তাদের দাবি, লিফট নষ্ট তা কি কর্তৃপক্ষ দেখেনি। তাদের খামখেয়ালির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তথ্যসূত্র: লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু, তদন্তে কমিটি
দায়ী: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ উপস্থিত সকলের ভাষ্যমতে গণপূর্ত ইএম বিভাগ ১০ এর আবদুল হালিম। শান্তি: কিছুই হয়নি। টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ। উলটা নির্লজ্জের মতো দায়ভার রোগীর কাধে চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এজন্যই তাকে সবাই ম্যানেজ মাষ্টার নামে ডাকে। পরদিন—১৩ মে প্রথম আলোসহ দেশের সকল জাতীয় দৈনিকগুলোতে আলোচিত ঘটনাটির শিরোনাম নিচের ছবিতে
লিফট দূর্ঘটনায় মৃত্যু-২: ঠিক পাঁচ মাস পর, ১ অক্টোবর, ২০২৪ একই ভবনের ১০ তলায় পুনরায় লিফট দুর্ঘটনা এবং ঠিক অই একই ব্যাক্তি অর্থাৎ নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম এর দোষে আরও একটি তরতাজা প্রাণ চলে গেলো। সেদিন রোগীর এক আত্মীয় লিফটের কল বাটনে চাপ দিলে লিফটের দরজা খুলে যায় এবং লিফট আছে ভেবে তিনি ভেতরে প্রবেশ করতেই দশ তলা থেকে নিচে পড়ে মারা যান।
প্রশ্ন হলো—প্রথম মৃত্যুর পর কী পদক্ষেপ নিয়েছিল গণপূর্ত বিভাগ? কোনো সতর্কতা? কোনো তদন্ত? উত্তর—না। একের পর এক মৃত্যু, অথচ দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হালীম নির্বিকার ও নির্লজ্জভাবে চেয়ারে বসে ‘রক্ষণাবেক্ষণ খরচ’ দেখিয়ে পকেট ভারি করেছেন। সাধারণ মানুষের তাতক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে SAtv এর সোস্যাল মিডিয়া পেইজের কমেন্ট বক্স চেক করে দেখা যায় সেখানে বেশিরভাগ মানুষ বলছে তারা এর বিচার চায়। তারা চায় তাতক্ষনিক দায়ি ব্যাক্তি আবদুল হালিম কে চাকরিচ্যুত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রথবারই যদি দোষী ব্যক্তিদের শান্তির আওতায় আনা হতো তাহলে ২য় বার দায়িত্বে অবহেলা হতোনা। অনেকে বলেছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বদলে এখন তো অর্ন্তবর্তী সরকার, অথচ এ সরকারো কেনো কোনো ব্যবস্থা নিলোনা?
মানবাধিকার আজ কোথায়: দ্বিতীয় মৃত্যুর পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি পত্রিকায় দেখে স্বপ্রণোদিত রুল জারী করেছে। তদন্তে উঠে আসে ই/এম বিভাগের সরাসরি গাফিলতির প্রমাণ। কমিশনের সুপারিশ ছিল—অবিলম্বে দায়ী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আজও মোঃ হালীম বহাল তবিয়তে অফিস করছেন, আর গোপনে প্রস্তুত করছেন আরও টেন্ডার! গণপূর্তের একজন কর্মকর্তা ও হাসপাতালের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যাক্তি জানান, প্রতি মাসে লিফট রক্ষনাবেক্ষনের কথা থাকলেও তা শুধু কাগজে কলমেই দেখানো হয়। (তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কন্ঠ, তারিখ: ১৪-০৫-২০২৪, পৃষ্ঠা: ৩)। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম গত পাঁচ আগস্টের পর এখানে এসেছেন মাত্র দুই দিন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনাসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। (তথ্যসূত্র: ৭১টিভি, তারিখ: ০২-১০-২০২৪) এক্সেন না আসার বিষয়ে গণপূর্ত ইএম বিভাগের কর্মকর্তা নিয়াজুর রহমানের মোবাইলে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, "আমাদের এক্সেন স্যার তো গত কয়েকদিন যাবত নিজের কাজ বাদ দিয়ে সিভিলের এক্সেন বদলীর তদবিরে ব্যাস্ত।" হাসপাতালের পরিচালক ডা: আমিনুল ইসলাম বলেন, "হাসপাতালের লিফট স্থাপন করেছে গাজীপুর গণপূর্তের ইলেকট্রিক বিভাগ। এর রক্ষণাবেক্ষণও করেন তারা। লিফটগুলো সার্ভিসিং এ মানসম্মত কাজ হচ্ছেনা বলেই মনে হচ্ছে। তাই লিফটের ত্রুটির জন্য তারাই দায়ী।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের সুয়োমুটো রুলে উল্লেখ করেছেন, বারবার এমন দুর্ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, অই হাসপাতালের লিফট যেন মানুষ মারার একটি ফাঁদে পরিণত হয়েছে। লিফটে কয়েকদিন ধরে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থাতেই লিফট চলমান রাখার যে অভিযোগ উঠেছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। লিফট দুর্ঘটনার ঘটনাটি হাসপাতালের সমগ্র স্বাস্থ্য-সেবাসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতি সুস্পষ্ট। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিতার সংস্কৃতি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারে। প্রথমবার লিফট দূর্ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলা হয়।
একটার পর একটা টেন্ডার দুর্নীতি: সময়ের বাইরে, নিয়মের বাইরে, নীতির বাইরে:
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, টেন্ডার মাফিয়া জিকে শামীম এর সাথে নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো। ২০১৯ সালে জিকে শামীম এর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবদুল হালিম কে ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বদলি করার অভিযোগ মন্ত্রণালয় পেয়েছিল ।
কিন্তু স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির কারণে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬-০৫-২০২২ এ আবদুল হালিম কে ইএম বিভাগ-৮ হতে গণপূর্ত ইএম বিভাগ-১০ এ বদলি করা হয়। সে সময় তার বদলির অর্ডার হবার পরে আরো সর্বগ্রাসী লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন। আমাদের কুষ্টিয়া প্রতিনিধির প্রেরিত তথ্য হতে জানা যায় যে, তিনি কুষ্টিয়ার মাহাবুবুল আলম হানিফ এর নিকটাত্মীয় হলেও শুধুমাত্র হলে একটি সিট এর লোভে সবাইকে দেখিয়ে শিবিরের রাজনীতি করতে থাকেন কিন্তু ক্যাম্পাস শেষ হওয়া মাত্রই তার বাকশালী আসল পরিচয় বের হয়ে আসে। দূর্ণীতিবাজ এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ। নিচে কয়েকটি বিস্ময়কর দুর্নীতির বিস্তারিত দেওয়া হলো:
প্রকল্প শেষ, তবু নতুন দরপত্র!
দরপত্র আইডি নং ১০০৫৩১৬ এই দরপত্রটি তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের একাডেমিক এর সাবমার্জিবল পাম্প মটর সেট স্থাপন কাজ এবং দরপত্র আইডি নং ১০০৭৫২৫ এই দরপত্রটি তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের। সাউন্ড সিস্টেম সংক্রান্ত কাজ। তদন্ত করে দেখা যায় যে প্রকল্পটি ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ হতে শুরু হয়ে জুন, ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি পর্যালোচনা করে দেখা যায় কাজগুলো অর্ন্তভুক্ত নেই। এখানে দুই ভাবে দূর্ণীতি করা হয়েছে। প্রথমত যে কাজ প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপিতে অন্তর্ভূক্ত নয় তা টেন্ডার করার এখতিয়ার ক্রয়কারীর নেই। ২য় প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দরপত্র আহবান করা সম্ভব নয়। যদি প্রকল্প কোনো কারণে পুনরায় সংশোধনের পর্যায়েও থাকে তদুপরি সংশোধন অনুমোদন না হলে দরপত্র আহবান করা সম্ভব নয়। কারণ উক্ত কাজ সংশোধন প্রস্তাবে পাশ নাও হতে পারে ।
তবুও দরপত্র আহ্বান!
দরপত্র আইডি: ১০০৭৬৭০, ১০১৬৪৪৫, ১০০৭৫২৫ সহ আরো ৩টি দরপত্র আহবান করা হয়েছে: ৭ আগস্ট ২০২৪ — দেশে কার্যত সরকার ছিল না, অধিকাংশ দপ্তর বন্ধ। কিন্তু এই সময়েই ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগ ঘনিষ্ঠদের’ জন্য তড়িঘড়ি করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। উদ্দেশ্য? "চেনা ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়া।"
৭ই মার্চের আলোকসজ্জা, দরপত্র ৩ মাস পরে!
দরপত্র আইডি নং ৯৬২৩৭৯, ৯৬২৩৮০, ৯৯৮০০১ দরপত্রে উল্লেখিত কাজের নামটি ৭ই মার্চ উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি অফিস ও কোয়ার্টার এ আলোকসজ্জাকরন এবং দরপত্র আইডি নং ৯৮৩৩২৯ কাজটি বিশ্ব ইজতেমা মাঠের ভিআইপি বাথরুমে গীজার লাগানোর কাজ। প্রথম তিনটি কাজ ৮ মার্চ, ২০২৪ এ এছাড়া ২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমা ১ম পর্ব হয়েছে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারী এবং ২য় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী। অর্থাৎ কাজটি সম্পন্ন হয়েছে ইজতেমার আগে। কিন্তু egp পোর্টালে দেখা যাচ্ছে কাজ সম্পন্ন করার অনেক পরে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এ বিষয়ে অই দপ্তরের এক সহকারী প্রকৌশলী বলেন জরুরী প্রয়োজনেঅনেক সময় অনেক কাজ আগে সম্পন্ন করতে হয়। পরে কাগজে কলমে রেগুলারাইজ করতে হয়।" ৭ই মার্চের আলোকসজ্জা কি জরুরী কাজ নাকি হঠাত দূর্ঘটনা জনিত কাজ এটা জানতে চাইলে তিনি বলেন এক্সেন স্যারের সাথে কথা বলেন।
জমিও অধিগ্রহণ হয়নি, তবু কোটি টাকার টেন্ডার!
দরপত্র আইডি নং ১০০৭৬৭০ এর কাজটি ৫০টি উপজেলায় টিটিসি স্থাপন প্রকল্প এবং দরপত্র আইডি নং ১০১৬৪৪৫ দশ জেলায় BSTI স্থাপন প্রকল্পের কাজ। এই টেন্ডারগুলো যখন আহবান করা হয় তখন এগুলোর জমি অধিগ্রহণই হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়ে নকশা তৈরি করার পরে সয়েল টেস্ট করে তারপর সিভিল কাজের টেন্ডার করার অনেক পরে এগুলোর টেন্ডার করা উচিত। কিন্তু কি কারণে এগুলো এত তাড়াতাড়ি এবং তারাহুড়ো করে করা হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
ইজতেমার গিজার, কিন্তু ইজতেমা শেষ ৩ মাস আগেই!
দরপত্র আইডি: ৯৮৩৩২৯,২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয় ফেব্রুয়ারিতে। অথচ ১৬ মে আহ্বান করা হয় গিজার লাগানোর টেন্ডার! প্রশ্ন ওঠে—ইজতেমা শেষ হওয়ার ৩ মাস পরে কেন গিজার লাগানোর দরকার পড়ল?
স্থানীয় ঠিকাদারদের বঞ্চনা, ছাত্রলীগের তুষ্টি!
গাজীপুরের স্থানীয় ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান—হালিম সব কাজ নিজের পরিচিত ঠিকাদারদের দিয়েছেন। তার নির্দেশ ছাড়া দরপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ নেই। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে দাপটের সঙ্গে টেন্ডার প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছেন তিনি।
জনগণের প্রশ্ন: দুটি মৃত্যুর দায় কে নেবে?
একজন প্রকৌশলী যিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে দুইটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হলেন, যিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রুলের তোয়াক্কা করেন না, তিনিই কিনা কোটি কোটি টাকার টেন্ডার বিতরণ করছেন? এমন ব্যক্তিকে পেছনে রেখে নতুন বাংলাদেশ কিভাবে গড়ে উঠবে? শোনা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসর প্রধান প্রকৌশলী বেছে বেছে আওয়ামীলীগের লোকজনকে বাচাচ্ছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোঃ আব্দুল হালিম’কে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করা হলেও কল রিসিভ করেনি।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত